Connect with us

দেশজুড়ে

আধুনিকতার ছোঁয়া নেই: সমস্যার আরেক নাম কাউনিয়া রেল জংশন

Published

on


কাউনিয়া প্রতিনিধি: চব্বিশ ঘন্টায় ২৬টি ট্রেন চলাচল করে। মালামালসহ যাত্রী পরিবহনে বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা আয় হলেও মাত্র কিছুদিন পূর্বে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ছাড়া প্রতিষ্ঠার ৪৫বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি ঐতিহ্যবাহী রংপুরের কাউনিয়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে। ডিজিটাল যুগেও নেই টিকিট বিক্রির ইন্টারনেট সুযোগ সুবিধা, তাই হরহামেশাই টিকেট যায় কালো বাজারে। সুযোগ সুবিধা না বাড়লেও দিন দিন বাড়ছে যাত্রী দুর্ভোগ আর নাগরিক বিড়ম্বনা। এছাড়াও রয়েছে জনবল সংকট।

স্টেশন সুত্র জানায়, ৮টি আন্তঃনগর ট্রেন, ৮টি মেইল ট্রেন, ৪টি লোকাল ও ৬টি কমিউটার ড্যেমু ট্রেন চলে এই রেল জংশন দিয়ে। অথচ রেলওয়ে জংশন স্টেশনটিতে রয়েছে চরম জনবল সংকট। চলছে ঝুকিপূর্ণ ভবনে কার্যক্রম, গনশৌচাগার এর অভাব, যাত্রী বিশ্রামাগার অপরিচ্ছন্ন, বিদ্যুৎ চলে গেলে ভূতুঁড়ে এলাকায় পরিনত, টোপলাটানা পাটির উপদ্রপ, বিশুদ্ধ পানির অভাব, মুসাফির খানা হকারের দখলে রয়েছে। এছাড়াও গরু ছাগলে বিরাণভুমি এই স্টেশন মাঠ, কেউ নেই এসব দেখার। স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে স্টেশনের চাল ও ছাদ দিয়ে টপটপ বৃষ্টি পড়ে। এতে করে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। আন্তঃনগর ট্রেনের অপেক্ষমান যাত্রী ওয়াহেদুল করীম জানান টিকেটের কালেবাজারীতো রয়েছেই সেই সাথে রয়েছে নেশা খোরদের উৎপাত। শুধু তাই নয় বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে স্টেশনে কাগজপত্রসহ মূল্যবান জিনিষপত্র নষ্ট হবার উপক্রম হয়ে পড়ে। জানা যায়, রেল জংশনটিতে গরু-ছাগলের অবাধ বিচরণসহ নানা সমস্যা থাকলেও গত ২০১৪-১৫অর্থবছরে স্টেশন থেকে ১কোটি ৩৪লাখ টাকা আয় হয়েছে। শুধু এবছরেই নয় প্রতি অর্থবছরেই এই স্টেশন থেকে সরকার আয় করছে কোটি টাকার উপর। যাত্রীদের অভিযোগ, গনশৌচাগার না থাকায় মহিলা যাত্রীদের বিড়ম্বনার শেষ নাই। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই সেখানে। একটি ১ম শ্রেণীর ওয়েটিং রুম থাকলেও অবকাঠামো অপ্রতুল। পরবর্তীতে ২য় শ্রেনীর একটি ওয়েটিং রুম তৈরী করা হলেও পরিস্কার পরিচ্ছনতার অভাবে তা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, ওয়েটিং রুম বেয়ারা ও গেটম্যান দিয়ে টিকিট চেকিং করাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। ২জন সুইপার কাগজে কলমে থাকলেও তাদের কাজে দেখা যায় না। খাবার পানির জন্য দুইটি টিউবয়েল থাকলেও অধিকাংশ সময় তা থাকে নষ্ট। রেলওয়ে মেডিকেলের অস্তিত্ব কতদিন আগের ইতিহাস তা বর্ননা করা অস¤ভব, ফলে ট্রেনে কাটা রোগী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ষ্টাফ কোয়াটার গুলোর অবস্থা অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ, টিন বাশেঁর জোড়াতালিতে বসবাস। যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। যদিওবা কর্তৃপক্ষর যোগসাজগে চুক্তিভিত্তিক এসব কোয়াটার প্রায় দখলে রেখেছেন অবসর প্রাপ্ত ষ্টাফ নয়তো বহিরাগত। যেন সমস্যার আরেক নাম কাউনিয়া রেলওয়ে জংশন।

টিকিট কালোবাজারে বিক্রির কথা অস্বীকার করে ষ্টেশন মাষ্টার বাবু রশিদুল ইসলাম জানান, এ ষ্টেশনে ৩৭জন ষ্টাফ এর বিপরীতে আছে মাত্র ২১জন। সমস্যা আছে আস্তে আস্তে এর উন্নয়নও হচ্ছে। সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *