Connect with us

দেশজুড়ে

গাবতলীর ইউপি চেয়ারম্যান তারাজুলের দাফন সম্পন্ন

Published

on

PIC.TARAJULগাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া গাবতলীর সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান জেলা আ.লীগ নেতা মো. তারাজুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন- মোট চারপর্যায়ে নামাজে জানাজা শেষে মরহুমের লাশ তাঁর পারিবারিক কবরসস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান তারাজুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারি হেলাল উদ্দিন তারাজুলকে গুলি করার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী বগুড়ার আদালতকে দিয়েছেন।
জানা গেছে, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জেলা আ.লীগ নেতা গাবতলীর সোনারায় ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ তারাজুল ইসলামের গ্রামের বাড়ী গাবতলীর সোনারায় ইউনিয়নের আটবাড়িয়া গ্রামে হলেও তিনি দীর্ঘদিন থেকে স্বপরিবারে বগুড়া শহরের রহমান নগরে বসবাস করতেন। গত ৮ জুলাইয়ে তারাজুল চেয়ারম্যান তার স্ত্রী ও শিশুপুত্র তাহমিদকে নিয়ে গ্রামের বাড়ী আটবাড়িয়ায় বেড়াতে যান ঈদ করতে। এরপর তিনি রাত দেড়টায় স্ত্রী-পুত্রদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এর ঠিক দেড় ঘন্টা পর অর্থাৎ রাত ৩টায় একদল সন্ত্রাসী কৌশলে ঘরের জানালা খুলে তারাজুলকে পরপর ৩টি গুলি করে। ১টি গুলি তারাজুলের মাথায় ঢুকে যায় এবং ১টি গুলি হাতে লাগে। অপর ১টি গুলি তারাজুলের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা আরজু মান্দ বানু শাপলার পেট ঘেষে লাগে। গুরুতর জখম তারাজুলকে প্রথমে বগুড়া শজিমেক হাসাপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সিরাজগঞ্জ এনায়েতপুর হাসাপাতালে নেয়া হয়। এরপর ওই রাতেই হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেখানে সিটি ক্যান করার পর চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা খারাপ বুঝতে পেরে অস্ত্রপাচার করতে অপারগতা প্রকাশ করে বগুড়ায় ফিরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। স্কয়ার হাসপাতাল ছাড়াও ঢাকায় অন্যান্য হাসপাতালও অস্ত্রপাচার করতে অপারগতা প্রকাশ করায় অবশেষে গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যান তারাজুল ইসলামকে অত্যাধুনিক এ্যাম্বুলেন্সযোগে বগুড়ায় ফিরে আনা হয়। পরে বগুড়া শহরের কানছগাড়ী তেস্‌লা নিউরোসাইন্স হাসপাতালে অপাশেনের মাধ্যমে মাথা থেকে একটি গুলি বের করা হয়। এরপর থেকেই তারাজুলকে ওই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ঘটনার ৪দিন পর গুলিবিদ্ধ তারাজুলের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা আরজুমান্দ বানু শাপলা বাদী হয়ে গত ১২ জুলাই অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে গাবতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই সোনারায় ইউনিয়নের তাতুড়া গ্রামের মোনে-জার রহমানের ছেলে আ.লীগ সমর্থক জাহাঙ্গীর আলম (৪০)কে গ্রেফতার করে ৩দিনের রিমান্ড নেয় পুলিশ। আর তারাজুল চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারি হেলাল উদ্দিনকে আটক করে নিয়ে যায় বগুড়ার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন।
এই হেলালই গতকাল ২৩ জুলাই শনিবার জুলাই দুপুরে বগুড়া-৩ আদালতে তারাজুলকে গুলি করার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। ভাগ্যের কী পরিহাস ওইদিন রাত সাড়ে ৮টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তারাজুল। রবিবার সকাল সোয়া ১১টায় মরহুমের ১ম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বগুড়া আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে। এরপর ২য় নামাজে জানাজা দুপুর সাড়ে ১২টায় গাবতলী উপজেলা পরিষদ চত্বরে, ৩য় নামাজে জানাজা বাদ যোহর পীরগাছা হাইস্কুল মাঠে এবং ৪র্থ নামাজে জানাজা বিকেল ৪টায় মরহুমের গ্রামের বাড়ী সোনারায় ইউনিয়নের আটবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশগ্রহণ করেন জেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজনু, শহর আ.লীগের আহবায়ক রফি নেওয়াজ খান রবিন, সাবেক এমপি আমিনুল ইসলাম সরকার পিন্টু, বগুড়া বিএমএ এর সভাপতি আ.লীগ নেতা ডাঃ মোস্তফা আলম নান্নু, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এএইচ আজম খান, থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান প্রমূখ। এ সময় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও হাজার হাজার মুসল্লী উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *