চট্রগ্রাম
চবি ছাত্রী আবাসিক হলে ১৫ বস্তা জেহাদি বই উদ্ধার
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার, প্রীতিলতা ও খালেদা জিয়া হলে বিপুল পরিমাণ জেহাদি বই রয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের সহায়তায় বুধবার একযোগে তল্লাশি চালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযান চালিয়ে হলের ইবাদত খানা ও শিবিরের অঙ্গসংগঠন ছাত্রী সংস্থা নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি কক্ষ থেকে ১৫ বস্তার মত জেহাদি বই, বিভিন্ন পত্রিকার সরকার বিরোধী সংবাদের কাটিং, সাংগঠনিক ডায়েরি ও বায়তুল মালের টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ সময় প্রীতিলতা হল থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও একটি মেমোরি কার্ড জব্দ করার পর ১১২ নম্বর কক্ষ তালাবন্ধ করে দেয় প্রশাসন। অভিযানের সময় অনেক ছাত্রী সংস্থার কর্মীকে সাংকেতিক ভাষায় মোবাইলে কথা বলতে দেখা যায় বলে জানা গেছে। সন্দেহের এক পর্যায়ে শামসুন নাহার হলের বর্ধিত ভবনের পাশের ঝোপঝাড় থেকে আরো দুই বস্তা বই উদ্ধার করা হয়। পরে এসব বই জব্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযান প্রসঙ্গে জানতে ওই তিনটি হলের প্রভোস্টদের বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও শামসুন নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সৈয়দা সায়মা আরেফিন সৌম বলেন, হলে অভিযানের সময় রুদ্ধ শ্বাস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ সময় নারী পুলিশকে আমরা সহায়তা করেছি। কয়েকটি কক্ষ থেকে প্রচুর জেহাদি ও ছাত্রী সংস্থার সাংগঠনিক বই ও বায়তুল মালের টাকা পাওয়া গেছে। হলে এতদিন ধরে একসাথে থেকেও বুঝা যায়নি এখানে এত বেআইনি কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রশাসনকে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রীতিলতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্য নির্বাহী সদস্য কাজী ফারিয়া মুনতাহা মহী বলেন,যে কক্ষগুলো থেকে এমন বই উদ্ধার করা হয়েছে তাদের বেশির ভাগই হলের বৈধ শিক্ষার্থী নয়। ঐ কক্ষ গুলোতে নতুন করে যাচাই বাছাই করে সিট বরাদ্ধ দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এরকম অভিযান চালিয়ে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করা সহজ হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোকাদ্দেস মিয়া বলেন,আমাদের কোন ধরনের ভূমিকা ছিল না , আমরা শুধু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও মহিলা পুলিশকে সহায়তা করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, অভিযান চালিয়ে আমরা প্রচুর ছাত্রী সংস্থার সাংগঠনিক বই উদ্ধার করেছি। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩০জন ছাত্রীকে নজরদারীতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও যাদের কক্ষ থেকে এ ধরনের বই পাওয়া গেছে তাদের ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।