Connect with us

জাতীয়

জিএসপি ফিরে না পেলে তা হবে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র -অর্থমন্ত্রী

Published

on

SAMSUNG CAMERA PICTURESচাঁদপুর প্রতিনিধি:
আমেরিকায় অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বা জিএসপি ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে যে শর্তগুলো ছিল তা ইতিমধ্যে পূরণ করা হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এই সুবিধা ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। জিএসপি ফিরে না পেলে এর জন্য একমাত্র রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রই দায়ী থাকবে বলেও মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, জিএসপি সুবিধা বাতিল করলেও বাংলাদেশ সাত বিলিয়ন ডলার রফতানি করে। আমেরিকায় বাংলাদেশের পণ্যের বাজার উন্মুক্ত রয়েছে।
গতকাল দুপুরে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার হাসিমপুরে ড. মুহাম্মদ মানসুরউদ্দীন মহিলা কলেজের কৃতী ছাত্রী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম, রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. গোলাম হোসেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সীমিত স¤পদ চালিকা শক্তি। এখন বৈষম্যের হার হ্রাস পেয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণের হার ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ দেশের এলিটরা যদি উদার হন তাহলে দেশকে আরো এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে এলিটদের এগিয়ে আসতে হবে।” মন্ত্রী বলেন, “দেশের ৫০ শতাংশ নারী। নারী পেছনে পড়ে থাকলে আমাদের ৫০ শতাংশ পুরুষ কিছুই করতে পারবে না। তাই বর্তমান সরকার নারীর শিক্ষা ও কর্মদক্ষতায় অত্যন্ত মননশীল।” তিনি বলেন, ‘আমাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ। এখন চিন্তা করতে হবে, এটিকে কিভাবে ৮ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত করা যায়। এই প্রবৃদ্ধিতে যেতে হলে নারীদের এগিয়ে যেতে হবে।” মুহিত বলেন, “আমাদের সৌভাগ্য, কৃষক-শ্রমিকদের দক্ষতা-পরিশ্রমে দেশ আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমাদের রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে।” বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, “সরকারের উন্নয়নের ধারায় গ্রামগুলো এখন শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমাদের রফতানি আজকে দাঁড়িয়েছে, ৩০ দশমিক ২ বিলিয়নে। রিজার্ভ ২২ বিলিয়নে। সবদিক থেকেই আমরা পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের তুলনায় এগিয়ে আছি।”
জিএসপি স¤পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেক দেশেই আমেরিকায় জিএসপি সুবিধা পায় না। জিএসপি সুবিধার জন্য আমাদের যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল ইতিমধ্যে তার সবগুলোই পূরণ হয়েছে। তাই জিএসপি সুবিধা না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আশা করা হচ্ছে, আমরা শিগগির জিএসপি সুবিধা পাবো।” তিনি বলেন, “আজকে নারী ও তাদের কর্মদক্ষতায় আমরা ভারত থেকে এগিয়ে রয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের যেই রূপকল্প ঘোষণা করেছে তা রূপান্তরিত হবেই। আমরা শিক্ষাখাতে এগিয়ে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।” দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বলেন, “এই সরকারের আমলেই বিনামূল্যে বই দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার হাত ধরে শিক্ষার প্রচার-প্রসার ঘটছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম-সুখ্যাতি করেছে।” রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু সবচাইতে বড় অবদান রেখেছেন। আর বঙ্গবন্ধুর এই অবদানকে ভালো করে শেখ হাসিনার সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে নারী শিক্ষার প্রসার ঘটেছে।” শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহসানুল হক চৌধুরী। বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃরা কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বই উপহার তুলে দেন। প্রথিতযশা লোকসাহিত্যিক, লোকগাথা সংগ্রাহক এবং লোকসাহিত্যিক গবেষক মরহুম অধ্যাপক ড. মনসুরউদ্দীনের নামে কচুয়ার হাশিমপুর গ্রামে ২০০৯ সালে ড. মনসুরউদ্দীন মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কলেজটি শতভাগ পাস করে আসছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *