দেশজুড়ে
জিয়ানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় ডাক্তাররা তাদের চেম্বারে বসে আছে, রোগীরা লাইন দিয়ে দাড়িয়ে ডাক্তার দেখাবার জন্য অপেক্ষা করছে। ডাক্তারা অনেক সময় পর রোগী দেখলেও শুধু ব্যবস্থা পত্র দিয়ে রোগীদের খালি হাতে ফার্মেসী থেকে ঔষধ নিতে বলছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে ১৪ কিঃ মিঃ দূরের চন্ডিপুর কলারন থেকে ডাক্তার দেখাতে এসে ৭৫ বছরের আ. মজিদ হাওলাদার বলেন “মুই ডাক্তার দেহাইছি মোরে কোন ঔষুধ দেয় নায়”। এভাবে প্রতিদিন শত শত লোক ঔষধ না পেয়ে শুকনা মুখে খালি হাতে ফিরে যায়। তেমনি জরুরী কোন রোগীকে এখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায় না। তাদেরকে ১৮ কিঃ মিঃ দুরে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়।
এ বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শংকর কুমার জানান, ডাক্তার আছে, জনবল আছে শুধূ ঔষুধ সরবরহ ও ইনডোর চালু হলে এ এলাকার মানুষের কিছুটা স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া যেত। কিছু দিন আগে একটি এ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে ।
উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেন, আমাদের এলাকার পিরোজপুর-২ আসনের এমপি ও বন ও পরিবেশে মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু মহোদয়কে যাবতীয় সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। হয়তবা কিছুদিনের মধ্যে হাসপাতালটি সম্পূর্ণরূপে চালু হতে পারে। যদি চালুকরা সম্ভব না হয় তবে এলাকার লক্ষ্যাধীক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। এলাকা বাসীর দাবী দ্রুত জিয়ানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ সরবরহ সহ ইনডোর ও আডটডোর চালু হলে এলাকা বাসী দীর্ঘ দিনের প্রতিক্ষিত স্বাস্থ্য সেবা পেত।