Connect with us

বিবিধ

জেএমবি সিরিজ বোমা হামলার ১০ বছর আজ

Published

on

jmb

আজ ১৭ আগষ্ট দেশ ব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার দশ বছর পূর্তি। ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্টের এই দিনে জঙ্গী সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) দেশব্যাপী ৬৩টি জেলায় একই সময়ে বোমা হামলা চালায়। এরই অংশ হিসেবে সাতক্ষীরার পাঁচটি স্থানে বোমা হামলা চালানোর ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে পরদিন সাতক্ষীরা সদর থানায় পৃথক পাঁচটি ও ওই সালের পহেলা অক্টোবর আরো একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে সাতক্ষীরার অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে এসব মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

আসামীরা একাধিক মামলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলখানায় অবস্থান করছে। ধার্য দিনে তাদেরকে আদালতে হাজির না করতে পারা ও গত ৬ মাস যাবৎ বিচারক শুণ্যতার কারণে সাক্ষীরা বার বার ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে স্পর্শকাতর এসব মামলার বিচার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানা সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী ৬৩টি জেলায় প্রায় একই সময়ে বোমা হামলার অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা শহরের তৎকালিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বারান্দায়, শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে, খুলনা রোড়ের মোড়ে ও জেলা ও দায়রা জজ আদালত এলাকায় (পাঁচটি স্থানে) বোমা হামলা চালানো হয়। ঘটনার দিনই সাতক্ষীরা শহরতলীর বাকাল ইসলামপুর চরের পকেটমার রওশন আলীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ একই এলাকার জেএমবি জঙ্গি নাসিরউদ্দিন দফাদারকে গ্রেপ্তার করে।

সারা দেশের মধ্যে সর্ব প্রথম তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে পুলিশ শহরের ইটাগাছার মনিরুজ্জামান মুন্না, আনিসুর রহমান খোকন, মনোয়ার হোসেন উজ্জল, কাসেমপুুরের গিয়াসউদ্দিন, খড়িয়াবিলার মোঃ বেলাল হোসেন, মোঃ আসাদুল হক, খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতরখালি গ্রামের
মাহবুবুর রহমান লিটনসহ নয় জনকে গ্রেপ্তার করে।

সারা দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ মামলার আসামীদের সনাক্ত করা হয়। এসব মামলার অন্য আসামী জে এম বির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুর ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানির ফাসি কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ পড়েছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, এ মামলাটি বর্তমানে কোর্টে বিচারিধীন রয়েছে। তিনি আরো জানান, আইনশৃখংলা বাহিনী সিরিজবোমা হামলার এই দশ বছর পূর্তিতে আর যাতে কোন প্রকার সহিংসতা না ঘটে সে জন্য কঠোর নজর দারীতে রয়েছে।

https://www.youtube.com/watch?v=LaBbaO87OU8&feature=youtu.be

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *