কক্সবাজার
পাচারকারীদের গ্রেফতারে ভূমিকা রাখায় রাজ্জাককে অপহরণ
শুক্রবার সকালে টেকনাফে ৪২ বিজিবি হেডকোয়াটারে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান, অধিনায়ক আবুজার আল জাহিদ। নায়েক রাজ্জাককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পিলখানা হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানানো হয়। শুক্রবার সকালে টেকনাফ থেকে সড়ক পথে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, ‘ নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে যখন তারা ধরছিল তখন ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে তারা তার নাকে কামড় মারে। পরবর্তীতে সেজন্য তিনি দুর্বল হয়ে যায়। এজন্য তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় বিজিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা অনেকটা নিশ্চিত হয়েছেন পরিকল্পিতভাবে বিজিবি নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কারণ এই রুটেই ইয়াবা পাচার রোধে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছিলেন নায়েক আব্দুর রাজ্জাক।
৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, ‘যারা এই ব্যবসায় জড়িত তাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল নায়েক আব্দুর রাজ্জাক। এটা অনুমেয়, আমার মনে হয়, এটা একটা কারণ হতে পারে।’
এদিকে তুলে নেওয়ার পর নায়েক আব্দুর রাজ্জাকের ছবি ফেসবুকে আপলোড করার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ। আর এর জবাবে মিয়ানমার জানিয়েছে, তৃতীয় কোনো পক্ষ এ ছবিটি প্রচার করেছে। কারণ ছবিটি যে ফেসবুকে পেজে আপলোড করা হয়েছিল তা তাদের ফেসবুক পেজ নয়।
৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, ‘ছবিটা অবশ্যই তাদের ক্যাম্প থেকে তুলা হয়েছিল এটা বোঝা যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো তাদের কাছে আটক থাকা অবস্থায় ছবিটি প্রকাশ হয়েছে। যেটা আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুনের পরিপন্থী। তারা বলেছে, এ ব্যাপারে তারা নোটিশ করেছে। তারা স্বীকার করছে এটা তাদের ক্যাম্প থেকে বের হয়েছে। বিজিপি এ বিষয়ে একটা উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।’
এক্ষেত্রে বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন, সবদিক বিবেচনা করে তারা ফলপ্রসূ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে ফেরত আনতে পেরেছেন।