দেশজুড়ে
বাগেরহাটের শরণখোলায় মুক্তিযোদ্ধাদের মানবেতর জীবন-যাপন
বাগেরহাটের শরণখোলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন-যাপনের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। আইন থাকলেও প্রয়োগ নেই এ অঞ্চলের অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে। রয়েছে চাকুরীর ক্ষেত্রে অর্থবানিজ্যের অভিযোগ ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো। যাদের অসহায়ত্বের কথা শুনলে চোখে পানি আসে মনের অজান্তেই। জানতে চাইলে শরণখোলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম, এ, খালেক খাঁন জানান, এ উপজেলার ৪৭৪ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে জীবিত রয়েছেন ৩১০ জন। তাদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক জোমাদ্দার, আব্দুর রব ধলু, আব্দুর রউফ হাওলাদার, আবু হানিফ মোললা, আব্দুল জলিল সহ বেশির ভাগ মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থা খুবই করুন বলে জানান তিনি । বসবাস করছেন ভাঙ্গা ঘরে কেউবা খোলা আকাশের নিচে । কেউবা ভূমিহীন আর জীবন রোগে শোকে জর্জরিত। এই দক্ষিনাঞ্চলে থেকে সরকার নির্ধারিত মেডিকেল ভাতায় তারা উন্নত চিকিৎসা নেওয়াও সম্ভবপর নয় বলে জানায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলো। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অভিযোগ করেন , বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের চাকুরির কোঠা রাখলেও তা মানা হচ্ছেনা। আবার কারও মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকরি হলেও মোটা অঙ্কের অর্থ বানিজ্য হয় বলেও জানান তিনি।
যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ। কিন্তু আজ তাদের এ দৈনদশা। তাই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাগণ সরকারের প্রতি এ অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্যা সমাধানের জন্য মেডিকেল ভাতা বাড়ানো, দূর্ণীতিবাজ আমলাদের অপসারন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা জমি বরাদ্ধ দেওয়ার আহবান জানান।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকা মাননীয় মন্ত্রী জনাব এ্যডভোকেট আ, ক, ম মোজাম্মেল হকের সাথে আলাপকালে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। মুক্তিযোদ্ধাদের মেডিকেল ভাতা বাড়ানো ও তাদেরকে পূনর্বাসনের কাজ চলছে। চাকুরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের কোঠা না মানা ও অর্থ বানিজ্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা, তবে তদন্ত করে দেখা হবে। যে কেউ এর সাথে জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডিটর/এমএম