Connect with us

বিবিধ

মস্তিষ্ক আরো সজাগ ঘুমে!

Published

on


রকমারি ডেস্ক:
একজন মানুষ ঘুমিয়ে থাকলেও তার মস্তিষ্ক আরো সজাগ থাকে। জেগে থাকা মানুষের মস্তিষ্ক যে প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারে, ঠিক একইভাবে সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে ঘুমিয়ে থাকা মানুষের মস্তিষ্ক। শুধু তাই-ই নয়, মস্তিষ্ক তখন আরো বেশি সক্রিয় থাকে। বরং ঘুমানোর সময়টা কাজে লাগায় মস্তিষ্ক। শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে মানুষ ঘুমালেও তার মস্তিষ্ক আরো বেশি সজাগ থাকে। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও প্যারিসের একদল বিজ্ঞানী গবেষণা চালিয়ে এ তথ্যের প্রমাণ পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জেগে থাকলেও একজন ব্যক্তি যেভাবে সঠিকভাবে, ঘুমের মধ্যেও সেভাবে একই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছেন। শুধু তাই-ই নয়, ঘুমিয়ে থাকলেও মানুষের মস্তিষ্ক জটিল কোনো বিষয় তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান করতে সক্ষম। এ বিষয়ে তাদের গবেষণা সে ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ঘুমের মধ্যে একজন মানুষের মস্তিষ্ক কীভাবে এ সুযোগ গ্রহণ করে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। গবেষক দলের একটি নিবন্ধ ‘কারেন্ট বায়োলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষক দল তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাম (ইইজি) নামে একটি যন্ত্র ব্যবহার করেন। এই ইইজি দিয়ে তারা ঘুমন্ত মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্রম রেকর্ড করেন। এ সময় গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষের মুখ দিয়ে উচ্চারিত শব্দ ও যন্ত্র দিয়ে প্রাণীর ডাক শোনানো হয়। এরপর জানতে চাওয়া হয়, এটি কিসের শব্দ ও এর অর্থ কী। এ সময় মস্তিষ্কের দেওয়া প্রতিটি শব্দের উত্তরের ম্যাপ তৈরি করে নির্দিষ্ট শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তাদের একটি অন্ধকার ঘরে নিয়ে চোখ বুজে থাকতে বলা হয়। তারা এক সময় ঘুমিয়ে পড়লে তখন আগে শোনানো শব্দের অর্থ জানতে চাওয়া হয়। আশ্চর্যজনকভাবে ধীরগতিতে হলেও উত্তর ছিল একবারেই সঠিক। এ সময় অংশগ্রহণকারীর শরীর ছিল নিথর ও অচেতন। এ বিষয়ে প্যারিস থেকে আগত গবেষক দলের সদস্য সিদ কৌদিয়ার বলেন, আমরা দেখাতে সক্ষম হয়েছি যে, ঘুমিয়ে থাকা মস্তিষ্ক আরো অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। একসময় যা ভাবা হতো তার চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় পাওয়া গেছে ঘুমন্ত মস্তিষ্ককে। তিনি বলেন, প্রাত্যহিক জীবনে ঘুমন্ত অবস্থাতেও আমাদের মস্তিষ্ক সুনির্দিষ্ট শব্দ যেমন- ঘড়ির অ্যালার্ম, ঘড়ির শব্দ সেটা উঁচু কিংবা স্বল্প ডেসিবেলের হলেও সমানভাবে গ্রহণ করতে পারে। সিদ কৌদিয়ার জানান, দিনের বেলার স্বল্প ঘুমের (ঝহড়ড়ুব) সময় একইভাবে সঠিকভাবে উত্তর দিতে সক্ষম হয় মস্তিষ্ক। তিনি জানান, স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সংবেদকে (ঝবহংব) শ্রেণীবদ্ধভাবে ভাগ করতে পারে ঘুমিয়ে থাকা মস্তিষ্ক। তিনি আরো জানান, মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা সম্পর্কে পরবর্তীতে আরো গবেষণা করা হবে। ঘুমিয়ে থাকার সময় মস্তিষ্ক কীভাবে আরো সক্রিয় থাকে, তা নিয়েও গবেষণা চালানো হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *