Connect with us

দেশজুড়ে

মুস্তাফিজের আগমনে সাতক্ষীরায় আজ ‘ঈদ আনন্দ’

Published

on

4a0f7eef617a2a1dd42422dc09127fd5-Mustafizur-with-his-jershi---3

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের তেঁতুলিয়া গ্রামের মানুষ অধীর অপেক্ষায় বিস্ময়-প্রতিভা​ মুস্তাফিজুর রহমানের জন্য। আজ (শনিবার) চার মাস পর তিনি সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে আসছেন। চার মাস আগে গ্রামের সাধারণ এক তরুণ হিসেবে পাড়ি দিয়েছিলেন ঢাকায়। এই চার মাসে মুস্তাফিজ এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। গ্রামের গর্ব। তাঁকে কীভাবে বরণ করে নেওয়া হবে, সেটাই যেন ভেবে পাচ্ছে না তেঁতুলিয়ার মানুষ।
পুরো গ্রামে উত্সবের আমেজ। মুস্তাফিজের বন্ধু তেঁতুলিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান জানালেন, ঈদুল ফিতরের আগে বাড়িতে আসার কথা ছিল মুস্তাফিজের। টিকিটও কেটে ​ফেলেছিলেন। বন্ধুকে তখন বরণ করে নিতে নানা আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডের পর টেস্টেও অভিষেক হয়ে যায়। ঈদটা বাড়িতে আর করা হয়নি। কিন্তু সেই কষ্ট মুস্তাফিজ ভুলে গেছেন টেস্টেও অবিস্মরণীয় অভিষেক দিয়ে।
আজ (শনিবার) মুস্তাফিজ বাড়িতে আসার খবরে গ্রামের মানুষ আনন্দে ভাসছে। তাদের যেন তর সইছে না কখন আসবেন মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজের আরেক বন্ধু মেহেদি হাসান জানালেন, ঢাকা থেকে নয়টার একটি বিমানে করে যশোরে আজ আসবেন মুস্তাফিজ। যশোর বিমানবন্দরেই তাঁকে অানতে ১১০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যাবেন তেঁতুলিয়া গ্রামের কয়েক শ মানুষ। ঢোল, তবলা আর মাইক নিয়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলে চেপে হবে দীর্ঘ শোভাযাত্রা।
সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের কাজীরহাট, কলারোয়া ও সখীপুর মোড়ে সংবর্ধনা দেবে ওই এলাকার মানুষ। গ্রামে পৌঁছানোর পর তেঁতুলিয়া হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ফুল ছিটিয়ে বরণ করা হবে। স্থানীয় মাঠে দেওয়া হবে সংবর্ধনা। এর পর ১৬ আগস্ট তেঁতুলিয়া-বরেয়া গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে দেওয়া হবে আরেকটি সংবর্ধনা। করা হবে নানা আয়োজন।
মুস্তাফিজের ক্রিকেটার হয়ে ওঠা তাঁর ভাইয়ের কল্যাণে। সেই সেজ ভাই মোখলেছুর রহমান জানালেন, ‘ওকে প্র্যাকটিস নিয়ে যেতাম বলে অনেক বকাবকি শুনেছি। ওকে নিয়ে এখন গোটা দেশ গর্ব করে। এতেই আমার ভালো লাগে। ঈদে মুস্তাফিজ বাড়িতে আসতে না পারায় সময় সব ভাই-বোন ঈদের আনন্দ করতে পারেনি । চার মাস পরে মুস্তাফিজ বাড়ি আসছে। শুধু আমাদের বাড়িতে নয়, গোটা এলাকায় চলছে ঈদ আনন্দ।’

মুস্তাফিজের বাবা আবুল কাশেম জানালেন, ‘মুস্তাফিজ যখন বাসা থেকে গিয়েছিল তখন ও ছিল আমাদের পরিবারের। এখন মানুষের মন জয় করে ফিরছে। সে এখন আর আমাদের মুস্তাফিজ নয়, সে এখন গোটা দেশ ও জাতির। তার পরও তো আমার সন্তান। এ জন্য একটা আলাদা অনুভূতি হচ্ছে।’ মা মাহমুদা খাতুন জানালেন, ‘ছোট ছেলের প্রতি সবার টান থাকে, ছোট ছেলের জন্য মন খারাপ হয়। তবুও করার কিছু নেই। সে অনেক দিন পর বাড়িতে ফিরছে । দেশের মুখ উজ্জ্বল করে।’
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান জানান, মুস্তাফিজের পাশাপাশি সাতক্ষীরার আরেক গর্ব সৌম্যকেও সংবর্ধনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মুস্তাফিজ-সৌম্য শুধু সাতক্ষীরার নয়, সারা দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে বিশ্ববাসীর সামনে। তাঁদের যোগ্য সম্মান দিতে প্রস্তুত সাতক্ষীরার মানুষ।বাংলাদেশেরপত্র/এডিপি/এ

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *