Connect with us

দেশজুড়ে

রাজৈরে পুলিশ ও বাদীর তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ আসামী জামাল মুন্সীর লাশ উদ্ধার।

Published

on

banglanews24.comরাজৈর (মাদারীপুর) সাংবাদদাতা: 
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামে একটি সংঘর্ষের মামলার ১৩ নং আসামী জামাল মুন্সী শনিবার বিকালে পুলিশ ও বাদীর তাড়া খেয়ে নিজেকে রক্ষা করতে বাড়ীর পাশে কুমার নদীতে ঝাঁপ দেয়ার পর নিখোঁজ হয়। ২ দিন পর আজ সোমাবার সকালে নদীর ভাটিতে ২০ কিলোমিটার দুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভেরার বাজার নামক স্থানে মধুমতি নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুলাই মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বিদ্যানন্দী গ্রামে বাচ্চু মাতুব্বরের ভাগ্নে সাকিব মাতুব্বরের (১২) পায়ে জোক লাগে । এর চিকিৎসা করা নিয়ে বাচ্চু মাতুব্বর ও সানো মোল্য¬ার মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ হয় । এ সংঘর্ষে দুই থেকে তিনজন আহত হয় । এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাচ্চু মাতুব্বর বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ১৭ জনকে আসামী করে রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করে । ওই মামলার ১৩ নং আসামী ছিল জামাল মুন্সী ।
গত শনিবার (৩০.৭.২০১৬) জামাল মুন্সী দুপুরে জহুরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই অমল কুমার রায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মামলার আসামী জামাল মুন্সীকে ধরতে গোয়ালবাথান গ্রামে নদীর পাড়ের বাড়ীতে যায়। পুলিশ ও বাদী পক্ষের লোকজন তাকে ধরার জন্য তাড়া করে । এসময় আসামী জামাল মুন্সী ও সিরাজুল হক মুন্সী নিজেদেরকে রক্ষা করতে বাড়ীর পাশে কুমার নদীতে ঝাঁপ দেয় । পরে সিরাজুল হক মুন্সী সাতঁরিয়ে নদীর অপর প্রান্তে উঠলেও জামাল মুন্সী পুলিশ ও বাদীর ভয়ে পাড়ে না উঠতে পেরে উপস্থিত সকলের সামনে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় । সোমবার গোপালগঞ্জ মর্গের কাজ সম্পন্ন করে লাশ বাড়ীতে আনার পর এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। গর্ভবতী স্ত্রী, সন্তান ও স্বজনদের আহাজারীতে উপস্থিত সকলে অশ্র“সজল হয়ে পড়ে।
ওসি মোঃ কামরুল হাসান লাশ উদ্ধার হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *