ঢাকা বিভাগ
রাজৈরে পুলিশ ও বাদীর তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আসামী নিখোঁজ ।
মোঃ ইব্রাহীম
রাজৈর (মাদারীপুর) সংবাদদাতা।
মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামে একটি মামলার আসামী জামাল মুন্সী (৫০) শনিবার বিকালে পুলিশ ও বাদীর তাড়া খেয়ে কুমার নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে । স্বজনরা শনিবার বিকাল থেকে আজ রোববার পর্যন্ত লাশ উদ্ধারে নদীর ভাটিতে সন্ধ্যান চালিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুলাই মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বিদ্যানন্দী গ্রামে বাচ্চু মাতুব্বরের ভাগ্নে সাকিল মাতুব্বরের (১২) পায়ে জোক লাগে । এর চিকিৎসা করা নিয়ে বাচ্চু মাতুব্বর ও সানো মোল্যার মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ হয় । এ সংঘর্ষে দুই থেকে তিনজন আহত হয় । এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাচ্চু মাতুব্বর বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ১৭ জনকে আসামী করে রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করে । ওই মামলার ১৩ নং আসামী ছিল জামাল মুন্সী । শনিবার (৩০.৭.২০১৬) জামাল মুন্সী দুপুরে জহুরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই অমল কুমার রায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মামলার আসামী জামাল মুন্সীকে ধরতে গোয়ালবাথান গ্রামে নদীর পাড়ের বাড়ীতে যায়। এ সময় পুলিশ ও বাদী পক্ষের লোকজন তাকে ধরার জন্য তাড়া করে । আসামী জামাল মুন্সী ও সিরাজুল হক মুন্সী নিজেদেরকে রক্ষা করতে বাড়ীর পাশে কুমার নদীতে ঝাঁপ দেয় । পরে সিরাজুল হক মুন্সী নদী পার হয়ে অপর প্রান্তে উঠলেও জামাল মুন্সী পুলিশ ও বাদীর ভয়ে পাড়ে উঠতে না পেরে উপস্থিত সকলের সামনে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় । স্বজনরা লাশ উদ্ধারে নদীর ভাটিতে সন্ধ্যান চালিয়ে যাচ্ছে। নিখোঁজ জামাল মুন্সীর গর্ভবতী স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানদের আহাজারীতে উপস্থিত সকলে অশ্র“সজল হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে রাজৈর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, আমি বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । জামাল মুন্সীর খোজ পাওয়া গেলে পরিস্থিতি অনুযায়ী আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে । রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি ।