Connect with us

খুলনা

রূপসা উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে চলছে নানা অনিয়ম ও অবৈধ্য অর্থের লেনদেন

Published

on

রুপসা প্রতিনিধি-খুলনা

রূপসা উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে চলছে নানা অনিয়ম ও অবৈধ্য অর্থের লেনদেন। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরিক্ষার ফি এর নামে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে উপজেলার কয়েকটি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এমনি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। জানা গেছে ব্যবহারিক পরিক্ষার জন্য প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের জন্য নানা হারে টাকা নেয়া হয়েচ্ছে। গাজী মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন পরিক্ষার্থী জানান, পদার্থ,রসায়ন,জীব বিজ্ঞান,উচ্চতর গনিত প্রতিটি বিষয়ের জন্য ৭৫ টাকা,তথ্য প্রযুক্তি, শারিরিক শিক্ষা,ক্যারিয়ার প্রতিটি বিষয়ের জন্য ৫০টাকা ও কৃষি শিক্ষার জন্য ১০০ টাকা করে ফি নেয়ার হয়েছে কিন্তু এর জন্য কোন রসিদ দেয়া হয়নি। গাজী মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আজিজা সুলতানার কাছে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা কোন অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছি না ,যা নিচ্ছি তা কেন্দ্র থেকে ধার্য করা । আপনার যদি সম্ভব হয় তাহলে কেন্দ্রর সাথে কথা বলেন। কেন্দ্র সচিব অলিয়ার রহমানের সাথে কথাহলে তিনি জানান প্র্যাক্টিক্যাল খাতা বাবদ প্রতি শিক্ষার্থী বাবদ ২৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে যা বোর্ড এর ধার্য করা। এর বাইরে কোন টাকা নেয়ার নিয়ম নেই যদি কেউ নিয়ে থাকে তা আমার জানা নেই। রুপসা থানা শিক্ষা অফিসার আইরিন পারভিন বলেন প্রাক্টিক্যাল খাতা বাবদ কোন টাকা নেয়ার নিয়ম নেই। যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে তাহলে সেটা নিয়ম বহির্ভুত।আমাদের কাছে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যাবস্থা নিবো। নির্বাহী অফিসার মোঃ ইলিয়াছুর রহমান বলেন প্রাক্টিক্যাল খাতা বাবদ টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নেই। কোন বিদ্যালয়ে টাকা নিচ্ছে কিনা আমার ধারনা নেই তবে যদি কেউ নিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যাবস্থা নিবো। এছাড়া গত কয়েকদিন পূর্বে নৈহাটি গার্লস স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদের কাছথেকে গত ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্য বাধ্যতামূলক ভাবে প্রত্যেকের কাছথেকে ৬০টাকা গ্রহন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে সুধু গাজী মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় নয় নৈহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,বেলফুলিয়া স্কুল সহ রুপসা উপজেলার প্রায় সব ইস্কুলেই চলছে একই অবস্থা। প্রায় প্রতিটি স্কুলের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছে শাসকদলীয় প্রভাবশালী লোকজন। এ ধরনের প্রভাবশালী সদস্যদের নিয়ে তাদের খেয়াল খুশি মত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ হাতিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছেন এমনই গুঞ্জন রয়েছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেক অভিভাবক শিক্ষকদের বিরাগ ভাজন হওয়ার ভয়ে এ সব অন্যায় আবদারের প্রতিবাদ করতে পারছে না। অবিভাবক মহলের দাবি প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে এই অনিয়ম বন্ধ সম্ভব।

জে-থার্টিন-খুলনা

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *