দেশজুড়ে
লক্ষীপুরে গ্রাম পুলিশকে মাধর; ইউপি সদস্যকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন
পরে রাতেই গ্রামের একটি সয়াবিন ক্ষেত থেকে ওই ইউপি সদস্যকে হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এলাকাবাসী। আহত নুরুল আমিন ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও চরমনসা গ্রামের হোসেন আহম্মদের ছেলে। গ্রামপুলিশ ফারুক একই গ্রামের সুলতান চৌকাদারের ছেলে। অভিযুক্ত শাহজাহান একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য।
আহত গ্রাম পুলিশ ফারুক বলেন, দীর্ঘদিন থেকে গ্রামে চুরি-ডাকাতি ঘটনা ঘটছে। গ্রামবাসীদের সহযোগীতায় ৩ চোরকে আটকের পর সিরাজগঞ্জ বাজারে শালিসি বৈঠক বসে। বৈঠক থেকে পাশবর্তী ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. শাহজাহান লোকজন নিয়ে হামলা করে তাদের নিয়ে যায়। এসময় আমাকে মারধর করে ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) নুরুল আমিনকে তুলে নিয়ে যায়। ওই চোরের মধ্যে বেলাল নামের একজন শাহজাহানের ভাগিনা।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. শাহজাহান জানান, তার ৮ বছর বয়সী ভাগিনা বেলালকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শালিসী বৈঠক করেন ইউপি সদস্য নুরুল আমিন। এসময় তার ভগ্নিপতি ও বোনকে ঘটনাস্থলে অপমান করা হলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতহাতির ঘটনা ঘটে। তবে গ্রামপুলিশকে মারধর ও ইউপি সদস্যকে তুলে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর হোসেন ভুলু জানান, আমি ঢাকায় রয়েছি। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাটি আমি শুনেছি। ঢাকা থেকে ফিরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।