ঠাকুরগাঁও
সাংবাদিক নদী হত্যার প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন
Published
6 years agoon
You may like
ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২
Published
9 months agoon
জুলাই ৯, ২০২৩স্টাফ রিপোর্টার:
ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নাসির উদ্দীন (২৫) নামের এক যুবক ভাঙচুর চালিয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে এ ভাঙচুর চালায় ওই যুবক। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের এসআই মামুনুর রশিদ এবং নৈশ্য প্রহরী হরকান্ত বর্মণ আহত হন।
আটককৃত নাসির উদ্দীন হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মারাধার গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে বলে নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
সূত্র জানায়, সকালের দিকে জেলা প্রশাসক ভবনের উপরে উঠে নাসির উদ্দীন। এরপর রাজ মিস্ত্রীর কাজে ব্যবহৃত একটি বেলচা দিয়ে ১০ কক্ষে ৩১ টি থাই গ্লাসের জানালা ও দরজা, মুজিব কর্নারের সব গ্লাস ভাঙচুর করে। এ সময় অনেক শব্দ পেয়ে জেলা প্রশাসকের নৈশ্য প্রহরী হরকান্ত বর্মণ এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করার চেষ্টা করে ওই, যুবক। পরে তিনি পুলিশে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় নাসিরকে বাঁধা দিতে গেলে পুলিশের এসআই মামুনুর রশিদকে বেলচা দিয়ে আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে নাসির উদ্দীনের প্রতিবেশী ইয়াশিন আলী বলেন, মাদরাসায় পড়ালেখা করতেন তিনি। কিছুদিন আগে থেকেই ছেলেটির মাথার সমস্যা দেখা দিয়েছে।
ঠাকুরগাঁও
অন্ধ পরিবারটির পাশে দাড়ালেন ভাষা সৈনিক দবিরুলের পুত্র
Published
11 months agoon
মে ১৩, ২০২৩রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
অন্ধ বাবা, আর প্রতিবন্ধী ভাইসহ পাঁচ পরিবারের সংসারে জন্ম নিয়ে সংসারের হাল টানছেন মেয়ে রিনা রানী। অভাবের সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে প্রতিদিন শ্রম দিচ্ছেন অন্ধ বাবার সাথে। বাড়িতে মায়ের সাথে মাটির জিনিস তৈরির পর হাট-বাজার কিংবা গ্রাম-গঞ্জে ভাঙা সাইকেল যুগে অন্ধ বাবাকে নিয়ে ছুটেন রিনা।
বিক্রি সামান্য আয়ে নিত্যপূর্ণ ক্রয়ে বাড়ি ফেরা এখন তাদের নিত্যদিনের গল্প। বলছিলাম ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা আমজানখোর ইউনিয়নের উদয়পুর বালুবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা সুবেশ চন্দ্র পালের পরিবারের কথা। রিনা রানী ছাড়াও দুই ছেলে রয়েছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুবেশের সংসারে। লক্ষ্মী চন্দ্র (১৪) ও প্রহ্লাদ চন্দ্র (১৭)। পরিবারের সামর্থ্য না থাকায় তারা অন্যের দোকানে কাজ করে।
কয়েক দিন আগে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা সুবেশ চন্দ্র পালকে সঙ্গে নিয়ে বাইসাইকেলে করে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে লাহিড়ী বাজারের পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন বারো বছর বয়সী রিনা রানী। আর সাইকেলের একটি অংশ ধরে পেছন পেছন হাঁটছেন তার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বাবা।
তাদের এমন কস্টের হৃদয় বিদারক দৃশ্য চোখে পড়ে পার্শ্ববর্তী পাড়িয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশ আ.লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সসদ্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি ভাষা সৈনিক এ্যাডভোকেট মরহুম মুহম্মদ দরিরুল ইসলামের ছেলে আহসান উল্লাহ ফিলিপের।
পরে তিনি পরিবারটির বাড়িতে খোঁজখবর নেন। বাস্তবতা বিবেচনায় একটি গবাদিপশু (গরু) প্রদানের আশ্বস্ত করেন। বাস্তবায়নে শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে গরুটি তুলে দেন ওই পরিবাটির হাতে। তবে হঠাৎ এমন উপহার পেয়ে অনেকটা খুশি অসহায় সুবাসের পরিবার ওই স্থানীয়রা।
মুনছুর আলী নামে এক শিক্ষক বলেন, জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ সহচর ও ভাষা সৈনিক দবিরুল ইসলামের ছেলে আহসান উল্লাহ ফিলিপকে আমি ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু জানি ওনার মতো হ্নদয়বান মানুষ যদি এ এলাকায় আরো দশটা থাকতো। তাহলে এই এলাকায় এতো অসহায় মানুষ থাকতো না। আরো উন্নত হতো। তিনি এ পর্যন্ত বহু পরিবারকে সাহায্য করেছে। আজ অন্ধ পরিবারটির পাশে এসে দাড়ালেন।
প্রতিবেশীরা জানান, রিনার বয়স যখন সাত বছর তখন থেকে তার বাবা তাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে ভিক্ষা করতেন। একটি লাঠি নিয়ে রিনা সামনে হাঁটত, তার বাবা সেই লাঠি ধরে পেছনে হাঁটতেন। মেয়েটার বয়স ১১-১২ বছর হওয়ার পর বিভিন্ন লোকজন নানা কথা বলা শুরু করে। এরপর মেয়েটা আত্মসম্মানের কথা বিবেচনা করে মায়ের তৈরি করা মাটির জিনিসপত্র বাজারে বিক্রি শুরু করে। এভাবেই কোনোমতে তাদের সংসার চলছে। ফিলিপ দাদার অসংখ্য ধন্যবাদ যে অন্ধ পরিবারটি পাশে এসে দাড়ালো।
সুবেশ চন্দ্র পাল জানান, আমি অন্ধ মানুষ। মেয়ের সাহায্যে রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করি। যে দুইটা বেটা (ছেলে) আছে একটা প্রতিবন্ধী আরেকটা সবল। মানুষের দোকানত কাজ করে। এলাও মাঝে-মধ্যে মাটির হাড়ি-পাতিল বিক্রি না হলে দোকানে দোকানে ভিক্ষা করিবা যাছু। কাজ তো করিবা পারুনা। হামার কথা শুনেহেনে ফিলিপ দাদা আইচ্চে দেখিবা। একটা গরু দিলে আর কোন সমস্যা হলে ফিলিপ দাদা কহিবা কহিচে।
রিনা রানী জানায়, সমাজের আর দশটা মেয়ের মতো তারও আমারো ইচ্ছে হয় স্কুলে যাওয়ার, পড়াশোনা করে মানুষ হওয়ার। কিন্তু বাবা আর পরিবারের কথা চিন্তা করে বাড়ির পাশে একটি স্কুলে ভর্তি হলেও তৃতীয় শ্রেণি থেকে পড়ালেখা বাদ দেয়। এখন বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি এবং বাড়ির যাবতীয় খরচ করতে দিন কেটে যায়। আমার বয়সী ছেলে-মেয়েরা যখন স্কুলে যায়, মাঠে ঘাটে খেলা করে তখন তাদের দেখে আমার খুবই কস্ট হয়। কান্না পায়। আমারো সহপাঠীদের সাথে স্কুলে যেতে মন চায়। কিন্তু কপাল খারাপ গোটা সংসারটা আমার উপর পড়েছে।
রিনা আরো বলেন, বাবার সাথে হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে মাটির জিনিস বিক্রি করি। বেচাকেনা যা হয় তা দিয়েই চলে সংসার। সেদিন ফিলিপ কাকা আসছিলেন আমাদের খোঁজখবর নিতে। বললেন কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিবে। সত্যি সত্যি একটা আমাদের গরু দিলেন। এই কস্টের দিনে ফিলিপ কাকার উপকারের কথা কোন ভুলবো না।
এ বিষয়ে মো: আহসান উল্লাহ ফিলিপ বলেন, সুবেশ পাল তার কিশোরী মেয়ে নিয়ে ফেরি করে বেড়াচ্ছিলো এমন দৃশ্য দেখে আমার খুবই খারাপ লেগেছে। পরে আমি পরিবারটি খোঁজ নিয়ে জানি তারা খুবই অসহায়। বাস্তাবতা বিবেচনায় আমি তাদের একটি গরু কিনে দেয়। বিত্তবানদের উচিৎ এমন অসহায় পরিবার গুলোর পাশে এসে দাঁড়ানো। আমি দেশবাসীর কাছে আহব্বান করব তারা যেন অসহায়দের পাশে এসে দাড়ায়।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ফসলের মাঠে গমের সবুজ সমারোহ। গেল বছর ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর আরও বেশি জমিতে চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা তাদের।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩৬ হাজার ৬শ’ ৫৭ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। সরেজমিনে, ঠাকুরগাঁও জেলার পাঁচটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর মাঠে মাঠে চোখ জুড়ানো সবুজ ক্ষেতের সমারোহ। সবুজে চোখ রাখলে তা ফেরানো যায় না। ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, গম চাষাবাদ খুব সহজ এবং স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক ফসল। তিনি এ বছর ৫০ শতক জমিতে গমের আবাদ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হবে বলে তিনি আশা করছেন। হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের চন্দ্র মোহন বলেন, গম চাষাবাদে খরচ এবং রোগ বালাই খুব কম হয়। এ বছর আমি দুই একর জমিতে চাষ করেছি, ফলন ভাল হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ি কাশিডাঙ্গা গ্রামের হুমায়ুন কবির জানান, এক বিঘা মাটিতে গম চাষে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা মাটিতে কমপক্ষে ১৬ থেকে ১৮ মণ গম উৎপাদন হয়। গত বছরের মতো এ বছরো গমের মূল্য প্রতি মণ ১ হাজার টাকা হলে বিঘা প্রতি লাভ হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
রানীশংকৈল উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি ২ একর জমিতে গম চাষ করেছি বাম্পার ফলনের আশা করি এবার লাভ হতে পারে। পীরগঞ্জ উপজেলার কৌশানিগঞ্জ নাককাটি গ্রামের মোশারুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় প্রচুর গম আবাদ হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা ভালো দাম পায় তাহলে তাদের মুখে হাসি ফুটবে তাই এবার গমের ফলন বাম্পার হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সুত্র থেকে বলেন, ‘এ ঠাকুরগাঁও জেলার মাটি গম চাষের জন্য উপযোগী। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছরও গমের বাম্পার ফলন হবে’।
-
আন্তর্জাতিক9 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক9 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য8 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে9 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ10 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়8 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়9 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার9 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস