ফিচার
সৈয়দপুরে ভেজাল লাচ্ছা সেমাই তৈরির ধুম
শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী: ঈদ উৎসব সেমাই ছাড়া পূর্ণতা পায়না। কেবল ঈদ নয় সেমাই সারাবছর নানা আয়োজনে খাওয়া হয়। নীলফামারী জেলার বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল লাচ্ছা তৈরির ধুম পড়েছে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যত্রতত্র তৈরি এসব লাচ্ছা সেমাই বাজারজাত করা হচ্ছে দেদারছে।
ভেজাল বিরোধী অভিযান না থাকায় বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়াই এসব লাচ্ছা সেমাই বিক্রি করা হচ্ছে খোলা অবস্থায় ও ক্ষতিকর প্যাকেটজাত পলি প্যাকেটে। অতি নিম্নমানের উপাদানে তৈরি এসব লাচ্ছা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকরা।
আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সৈয়দপুর শহরের পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য লাচ্ছা সেমাই কারখানা। শহরের নিয়ামতপুর, কাজীরহাট, নতুন ও পুরাতন বাবুপাড়া, মিস্ত্রীপাড়া, বাঁশবাড়ি, গোলাহাট, মুন্সিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে শতাধিক কারখানা। এছাড়াও বিভিন্ন হোটেল, কনফেকশনারীতেও লাচ্ছা তৈরী করা হচ্ছে। যত্রতত্র লাচ্ছা সেমাই তৈরির মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিবছরই ঈদে শহরের এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীরা কোন সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তৈরি করছে লাচ্ছা সেমাই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধিকাংশ লাচ্ছা তৈরীর কাখানাগুলো বিএসটিআই-এর অনুমোদন ছাড়া প্রতিষ্ঠিত নামি দামি অনেক কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে স্থানীয়ভাবে তৈরী এসব লাচ্ছা বাজারজাত করে আসছে মালিকরা। মানুষের খাওয়ার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এসব লাচ্ছা সেমাই সৈয়দপুর শহরের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় হাটবাজার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা উপজেলা শহরে অবাধে পাঠানো হচ্ছে।
বিশেষ করে ভেজাল বিরোধী অভিযান না থাকায় লাচ্ছা সেমাই তৈরির ধুম পড়েছে। শহরের অলিগলিতে অস্থায়ী কারখানায় দিনরাত চলছে সেমাই তৈরির কাজ। আর অধিক মুনাফার আশায় এসব লচ্ছছায় ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্মমানের ব্যবহার অনুপযোগি ময়দা, পামওয়েলসহ অতি নিম্মমানের তেল। কারিগররাও অপরিচ্ছন্ন। বাঁশে সারি সারি সাজিয়ে খোলা আকাশের নিচে রোদে শুকানো হচ্ছে সেমাই। সেখানে কাক ও অন্যান্য পাখি পাখি অবাধে বিচরণ করছে। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের দাপটে শহরে হাতেগোনা বৈধ কারখানা কর্তৃপক্ষ চরম বিপাকে পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট এন্ড কনফেকশনারী প্রস্তুতকারক সমিতির নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আখতার সিদ্দীকি পাপ্পু বলেন, অবৈধ মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কারনে তাদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। তাদের লাচ্ছার দাম মৌসুমী ব্যবসায়ীদের তুলনায় বেশী হওয়ায় বিক্রি শুণ্যের কোটায় নেমে এসেছে। তারা অচিরেই এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
-
আন্তর্জাতিক9 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক9 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য8 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে9 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ10 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়8 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়9 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার9 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস