দেশজুড়ে
আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত হচ্ছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর
সূত্রমতে, দেশের অভ্যন্তরীন বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে যাত্রীর দিক থেকে বর্তমানে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের অবস্থান শীর্ষে রয়েছে। রংপুর বিভাগের ৮ জেলার প্রায় সাত’শ যাত্রী প্রতিদিন সৈয়দপুর বিমানবন্দর হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করছেন। ঢাকা-সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন পাঁচটি যাত্রীবাহী বিমান চলাচল করছে। তবে বাংলাদেশ বিমানের একটি মাত্র এয়ারবাস এই রুটে যাতায়াত করছে। এই রুটে বৃদ্ধি পেয়েছে বিমান যাত্রীর সংখ্যা। বর্তমানে যাত্রী চাহিদার তুলনায় বিমানের সংখ্যা অর্ধেক। এছাড়াও প্রাইভেট বিমানগুলোর টিকেটের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০টি বিমান এই পথে চলাচল করতে পারবে। অভ্যন্তরীন অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোর তুলনায় বর্তমানে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় তুলনামূলক বেশি হচ্ছে।
বিশিষ্টজনদের মতে, এই বিমানবন্দর থেকে নেপালের কাঠমুন্ডু, ভুটান এবং ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে আকাশ পথে যাতায়াত করতে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট সময় লাগে। এছাড়া কার্গো সার্ভিস চালু হলে উত্তরাঞ্চলের শাক-সবজি ও ফলমূল অল্প সময়ের মধ্যে নেপাল ও ভুটানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এর ফলে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব, তেমনি রংপুর বিভাগের সবজি চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
এসব বিষয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক শাহীন আহমেদ জানান, এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জাপানভিত্তিক সংস্থা জাইকার অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে ডিভিওআর। বিমানবন্দরকে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয়েছে। বিমানবন্দর এলাকাকে কড়া নজরদারিতে রাখতে ১৫টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বিমানবন্দরের টার্মিনালে স্থাপন করা হয়েছে স্ক্যানিং মেশিন ও আরসিও গেট। নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে আছে হ্যান্ডমেটাল ডিডেক্টর। যা দিয়ে যাত্রীদের দেহে নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশি চালানো হয়। তিনি আরও জানান, রানওয়ের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন ৩৭ জন আনসার ও ৩১ জন পুলিশ। সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিজস্ব ১২ জন সশস্ত্র নিরাপত্তা প্রহরী কাজ করছে। বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে এরইমধ্যে কয়েক দফা সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। যাচাইকারী প্রতিনিধি দল সন্তুষ্ট হয়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে। অধিগ্রহণের ব্যয় বাবদ অর্থ ছাড়ের জন্যও প্রতিনিধি দলও সুপারিশ করেছে বলেও জানান তিনি। এখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নীলফামারী জেলা প্রশাসনকে জমি অধিগ্রহণে নির্দেশনা দিলেই মূল কাজ শুরু হয়ে যাবে। তবে নির্দেশনা খুব দ্রুত পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক।