Connect with us

জাতীয়

আন্দোলন দমাতে গুম-হত্যার অবাধ লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে -রিজভী

Published

on

rijvi 2স্টাফ রিপোর্টার:

আন্দোলন দমাতে সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘গুপ্তহত্যার অবাধ লাইসেন্স’ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গত কাল এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “অবৈধ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংস্থাগুলো আবারো কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে বিরোধী নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে হত্যা করছে। এভাবে তারা দেশকে হত্যা ও লাশের মহামারীর দেশে পরিণত করার জন্য পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন করছে।” দলীয় প্যাডে পাঠানো এই বিবৃতিতে রিজভী অভিযোগ করেন, “গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে ‘মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে’ হত্যা করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগে নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর ইমরুল কায়েসকেও একইভাবে হত্যা করা হয়েছে।” শুধুমাত্র বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকারি বাহিনীগুলোকে মানবতাবিরোধী গুমহত্যার অবাধ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।অবশ্য গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, নুরুজ্জামান জনি নিহত হন খিলগাঁও বালুর মাঠে পুলিশের অভিযানের সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে। শাহবাগে পুলিশের গাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলায় জনি জড়িত ছিলেন বলেও পুলিশের দাবি। আর সোমবার ভোরের দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনির কাঁচাবাজার এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন নড়াইল পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্থানীয় জামায়াত নেতা ইমরুল কায়েস (৩৮)। তার বিরুদ্ধে নড়াইলে পুলিশের উপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আটটি মামলা রয়েছে। সারাদেশে ‘যৌথ বাহিনী’ অভিযানের নামে নেতা-কর্মীদের ওপর ‘নির্যাতন চালাচ্ছে’ অভিযোগ করে গত কাল ভোর ৬টা থেকে আগামী কাল ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকা ও খুলনা বিভাগের সব জেলায় হরতাল ডেকেছে বিএনপি ও শরিকরা। ৫ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করতে না পেরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডাকা লাগাতার অবরোধের মধ্যেই এ হরতাল আহ্বান করলো বিএনপি। এই অবরোধ-হরতালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটছে, যাতে এ পর্যন্ত অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। নাশকতাকারীদের ঠেকাতে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ‘যে কোনোভাবে’ নাশকতা বন্ধের জন্য সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে নাশকতায় প্রাণহানির জন্য অবরোধ আহ্বানকারী খালেদা জিয়াকে দায়ী করে তার বিচারের কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বিএনপির অভিযোগ, সরকারের লোকজনই নাশকতা চালিয়ে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে। রিজভী তার বিবৃতিতে বলেন, “একদিকে হত্যাকাণ্ড, অন্যদিকে সরকারি এজেন্টদের দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে নাশকতা সৃষ্টি করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপাতে হরদম মিডিয়াতে প্রচার চালানো হচ্ছে।” তবে এতে কোনো লাভ হবে না মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “আওয়ামী লীগ যা বলে এবং প্রচার করে ঠিক তার উল্টোটাই জনগণ বিশ্বাস করে।” রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের ‘পদত্যাগই’ চলমান সংকট থেকে উত্তরণের ‘একমাত্র পথ’। “জনগণের একটাই দাবি- সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা। সংকট নিরসন করতে হলে সকলের অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে”, বলেন তিনি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *