Connect with us

আন্তর্জাতিক

আপনজনদের নিরাপদেই উঠিয়ে দিলেন ট্রেনে, কিন্তু নিজে চাপা পড়লেন ট্রেনের নীচে! (ভিডিওসহ)

Published

on

train

অনলাইন ডেস্ক: এ দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠাটাই স্বাভাবিক। আপনজনদের নিরাপদেই উঠিয়ে দিলেন ট্রেনে, কিন্তু নিজে উঠতে না পেরে সেই ট্রেনের নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হলো এক মাঝ বয়সী ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ে। আর মুম্বাইতে ট্রেনকেই যাতায়াতের লাইফলাইন বলা হয়ে থাকে।
ওয়েব বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢোকার পর ট্রেন কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে। বেশকিছু মানুষ চটপট উঠে পড়েন সেই ট্রেনে। কিন্তু আচমকাই মাঝ বয়সী এক ব্যক্তি ছুটে এসে ট্রেনে উঠার চেষ্টা করেন। হাতে তার দুইটি ব্যাগ। প্রথমে কয়েক সেকেন্ড এক কামরার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে উঠতে পারেননি, এরপরই অন্য কামরার দিকে ছুটে যান তিনি। সঙ্গে থাকা বোরকা পরা দুই নারীকে ট্রেনে উঠিয়েও দিলেন। কিন্তু নিজে উঠতে পারলেন না। তাই চলন্ত ট্রেনে উঠার জন্য দৌড়াতে থাকেন। আচমকাই প্ল্যাটফর্ম থেকে পা ফসকে যায় ওই ব্যক্তির। আর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। চোখের নিমেষেই একেবারে ট্রেনের নীচে চলে যান। নীচে পড়ে যাওয়ার পরও থামানো যায়নি ট্রেনকে।
জানা যায়, মাঝ বয়সী ওই ব্যক্তির নাম সাফিউদ্দিন আবদুল ঘানি। ২ নারীর সঙ্গে মুম্বাইয়ের দাদার স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠছিলেন তিনি। আবদুল ঘানির সঙ্গে থাকা অন্য দু’জন ট্রেনে উঠে গেলেও, আচমকাই পা ফসকে যায় তার। দাদার স্টেশনের ওই ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ার পর পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
সম্প্রতি বোরিভালি স্টেশনে ট্রেনের নীচে চাপা পড়ে এক নারীর মৃত্যুর ছবি দেখে চমকে উঠেছিল ওয়েব বিশ্ব। সেখানেও চোখের সামনে, ট্রেনের নীচে চলে যান ওই নারী। ৫৫ বছরের ওই বৃদ্ধা ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে পা দিয়েই চিত হয়ে পড়ে যান। ট্রেনের গতি কম থাকলেও, আচমকাই ঢুকে ‌যান ট্রেনের নীচে। সোশাল সাইটে ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই, কেঁপে উঠেছিলেন অনেকে।
ট্রেন ধরার জন্য প্রতিদিনই কিছু না কিছু মানুষ ছুটতে থাকেন। কখনো অফিস টাইমে আবার কখনো এমনি সময়েই। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ধরার জন্যই এ প্রতিযোগিতা। দুর্ঘটনার দিন দাদার স্টেশনের ছবিও ছিল সেই একই রকম।

https://www.youtube.com/watch?v=ncwzZ5vJ5js&feature=youtu.be

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *