Connect with us

ঢাকা

আশুলিয়ায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির গলাকাটা লাশ উদ্ধার;চার সহকর্মী আটক

Published

on

আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ আশুলিয়ায় বিরোধপূর্ন বাংলোবাড়ির কুয়োয় বালু চাপা অবস্থায় ফারুক আহমেদ নামের এক কেয়ারটেকারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে দঃগাজীরচট আড়িআড়ার মোড় এলাকা থেকে গলাকাটা লাশটি উদ্ধার হয়। নিহিত ফারুক ফেনী জেলার মীরগঞ্জ সদর থানার মৃতঃ মোস্তফা কামালের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত ফারুকের ৪ সহ কর্মি রকি (৩২), ইয়াসিন(২৯), আল আমিন(২৮) ও নেছার উদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। আটকের সময় তাদের থাকার ঘড় থেকে চারটি ধারালো ছুরি ও রামদা উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফারুক ওরিয়েন্টাল গ্রæপের মালিক মতিন সাহেবের বিশ^স্ত কেয়ারটেকার ছিলেন বলে জানায় তার স্ত্রী মুনিরা । বুধবার সন্ধ্যায় ফারুকের সাথে তার ফোনে শেষ কথা হয় । ফারুকের ভাই শিপন জানায় নিখোজের পরথেকে তাকে অনেক খোজা খুজি করা হয় কিন্তু কোথায়ও তাকে খুজে পাওয়া যায়নি । শুক্রবার সকালে এলাকার কিছু ছেলে বাংলোবাড়ির বাউন্ডারির ভেতর পরিত্যাক্ত কুয়োর পাশে প্রথমে রক্ত মাখা জুতো দেখতে পায়, পরে কুয়োর ভিতরে বালু চাপা দেয়া মৃত দেহের পা দেখতে পায়। এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসি তার চার সহকর্মিকে আটক করে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ ফারুকের বালু চাপাদেয়া গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। ফারুকের ভাই শিপনের অভিযোগ, তার ভাইকে হত্যা করেছে তার সহকর্মিরা এবং তার স্ত্রী মুনিরা জানান ফারুক মতিন সাহেবের বিশ্বস্ত থাকায় বাকি ৪ জন কেয়ারটেকারকে ফারুকের অধীনে রাখেন মতিন সাহেব। ঠিকমতো ডিউটি না করায় রকি, ইয়াসিন ও নেছারের বিরুদ্ধে কয়েকদিন পূর্বে মালিক মতিনের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন ফারুক। এ নিয়ে রকির সাতে ফারুকের দন্দ হয় এবং ক্ষিপ্ত হয়ে রকি তাকে হত্যার হুমকিও দেয়।
তিনি আরও জানান, জমিটির অপর মালিক ওই এলাকার মৃত ইমান উদ্দিনের ছেলে ১০-১২ দিন আগে ফারুককে মারধোরের হুমকি দিয়েছিল বাসায় এসে। আরো জানা যায় নিহত ফারুক ২০১২ সালের একটি অস্ত্র আইন ১৯ এ/এফ এর মামলায় সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামি। মামলা সূত্রঃ বিঞ্ঝ ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জর্জ বিষেশ ট্রাইবুনাল নং-১৩৮,২০১২ইং। এ মামলায় ১৮/৪/২০১৭ ইং তার সাত বছরের সাজা হয়। এ সাজার রায়ের পর তাকে পলাতক দেখানো হয়।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একেএম শামীম জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *