জাতীয়
ইসলামবিদ্বেষীদের কতিপয় অপপ্রচারের জবাব
আতাহার হোসাইন
পৃথিবীতে ইসলামের আগমন ঘটেছে মানবজাতিকে যাবতীয় অন্যায়, অবিচার, অশান্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে। ইসলামের সংস্পর্শে এসে আরবের আইয়্যামে জাহেলিয়াত দূরীভূত হয়েছিল, দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত আরবজাতি আসীন হয়েছিল পৃথিবীর শিক্ষকের আসনে। অর্ধপৃথিবীতে এমন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যে, মানুষ রাতে ঘুমোনোর সময় ঘরের দরজা বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করত না, স্বর্ণালঙ্কার পরিহিতা যুবতী মেয়ে একা শত শত মাইল পথ পাড়ি দিতো চোর-ডাকাতের ভয় ছিল না, আদালতে মাসের পর মাস অপরাধ সংক্রান্ত কোন মামলা আসত না, নারীরা পুরুষদের সঙ্গে থেকে জাতীয় কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ করতেন, ভিন্নমতের ও ভিন্ন ধর্মের মানুষ পূর্ণ মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিয়ে বসবাস করতেন। এমন সুখ-শান্তি ও নিরাপত্তাপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিল যে ইসলাম, আশ্চর্যের ব্যাপার হলেও সত্য যে, সেই ইসলামের বিরুদ্ধেই আজ অপপ্রচার করা হয় ইসলাম নাকি অমানবিক ধর্ম! ইসলাম ভিন্নমতের মানুষ হত্যা বৈধ করেছে (!) ইত্যাদি। পৃথিবীজুড়েই ইসলামবিদ্বেষী একটি শ্রেণি এ ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। বস্তুত তারা তাদের অপপ্রচারে আল কোর’আনের কয়েকটি আয়াতকে নির্দেশ করে যে যুক্তিগুলো তুলে ধরেন সেগুলো নিছক একচোখা দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় ব্যক্ত করে। ইসলামবিদ্বেষীদের বহুল উত্থাপিত এমনই কিছু কোর’আনের আয়াত হচ্ছে-
১। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়। (৮:১২)
২। যারা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। (৫:৩৩)
৩। যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। (৯:১৪)
৪। তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্যধর্ম। (৯:২৯)
৫। হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহলো নিকৃষ্ট ঠিকানা। (৯:৭৩)
এই আয়াতগুলো উপস্থাপন করে ইসলামবিদ্বেষীরা বোঝাতে চান যে, ইসলাম মোটেও শান্তির ধর্ম নয়, ইসলাম রক্তপাতকে উৎসাহ দেয়, মানুষ হত্যা বৈধ সাব্যস্ত করে। কিন্তু আসলেই কি তাই? আসুন আল কোর’আনের এই আয়াতগুলোর প্রকৃত ব্যাখ্যা জেনে নেই। আয়াতগুলো কোন পরিস্থিতিতে, কী লক্ষ্যে নাজিল হয়েছিল সে প্রশ্নের উত্তরেই নিহিত রয়েছে ইসলামবিদ্বেষীদের অপপ্রচারের জবাব।
প্রকৃতপক্ষে উপরোক্ত নির্দেশনাগুলো রাষ্ট্রীয় দণ্ডবিধি। বর্তমান পৃথিবীতে যে সকল জাতিরাষ্ট্র আছে এবং সেগুলোর সংবিধানে যে দণ্ডবিধি আছে এগুলো হুবহু এ ধরনেরই। মানুষের তৈরি আইনেও রাষ্ট্রে শান্তি বজায় রাখার জন্য কঠোর কঠোর দণ্ডের ব্যবস্থা রাখা হয়। ইসলামবিদ্বেষীরা যেসব রাষ্ট্রকে আদর্শ রাষ্ট্র বলে মনে করে সেসব রাষ্ট্রেও রাষ্ট্রের জন্য যারা হুমকিস্বরূপ তাদের সকলকেই কঠিন দণ্ড প্রদান করা হয়।
এবারে আসি উপরোক্ত কোরানিক হুকুমগুলো কোথায় প্রয়োগ হবে সেই বিষয়ে-
“আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়। (৮:১২)”
উপরোক্ত আয়াতটি যুদ্ধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যুদ্ধের ময়দানে কে কাকে কোথায় আঘাত করবে তা যোদ্ধাদের বিষয়। যে যেখানে সুযোগ পাবে সে সেখানে আঘাত করবে। এখানে আল্লাহ মো’মেনদেরকে বিজয় লাভের জন্য কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছেন মাত্র। এটা ভিন্নমতের জন্য নয়, প্রতিপক্ষ যোদ্ধাদের জন্য। এই আয়াতে ভিন্ন ধর্মের বা ভিন্ন মতের মানুষকে জোড়ায় জোড়ায় কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে যারা অপব্যাখ্যা করেন তারা নিছক ইসলামের প্রতি বিদ্বেষবশতই এই বিভ্রান্তি ছাড়ানোর কাজে লিপ্ত হন, তারা আর যাই হোক মুক্তমনা নন।
“যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। (৫:৩৩)”
এখানে আল্লাহ এবং রসুল হচ্ছেন রাষ্ট্রব্যবস্থা। রসুল যখন মদীনাভিত্তিক নব্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হলেন তখন অপরাপর রাষ্ট্রপ্রধানের মতোই তিনি যুদ্ধ, সন্ধিচুক্তি ইত্যাদি করেছেন। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করে এবং অশান্তি বিস্তার করে তাদের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত শাস্তি কি মানুষের দেওয়া শাস্তির থেকে কঠিন হয়ে গেল? রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারীদেরকে মানুষের তৈরি আইনও কোন ধরনের করুণা প্রদর্শন করে না। ‘জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি’ শুধুমাত্র এই ধুয়া তুলে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিল। যারা উক্ত আয়াতের কথা বলে ইসলামকে অমানবিক প্রমাণ করতে ব্যস্ত তাদেরকেও আমরা দেখি, রাষ্ট্রবিরোধী ভূমিকা রাখার অপরাধে ফাঁসির দণ্ড না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে। অথচ রাষ্ট্রের শত্র“র বিরুদ্ধে আল্লাহ প্রদত্ত দণ্ডকে এরা অবিচার মনে করে! কী সাংঘাতিক দ্বিচারিতা!
“যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। (৯:১৪)”
এখানে যারা রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের কথা বলা হচ্ছে। আপনি যা মনে আসবে তাই বলবেন, সত্য মিথ্যার ধার ধারবেন না, মানুষের বিশ্বাসে আঘাত হানবেন আর রাষ্ট্র আপনাকে দুধ দিয়ে গোসল করাবে এমন আশা না করাটাই উত্তম। এমনটা করলে সেটা বোকামী হবে। যারা রাষ্ট্রের মধ্যে ফেতনা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাবে তাদেরকে প্রশ্রয় দেওয়াই বড় অপরাধ। কারণ এই ফেতনাবাজ শ্রেণির অপকর্মের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা ন্যায়বিচার না পেয়ে নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিতে পারে, যা জন্ম দিবে আরও বড় কোনো অন্যায়ের। সে হিসেবে আল্লাহ যে শাস্তি নির্দিষ্ট করে দিচ্ছেন বৃহত্তর জনগণের কল্যাণের কথা ভাবলে সেটাকেই যৌক্তিক মনে হয় না কি?
“তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্যধর্ম। (৯:২৯)”
ভিন্নধর্মের মানুষের প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝাতে ইসলামবিদ্বেষীরা এই আয়াতটিকে ব্যাপকভাবে কাজে লাগায়। তাদের মতে, এই আয়াতে আল্লাহ আহলে কিতাব অর্থাৎ ইহুদি-খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এটা বলে তারা বোঝাতে চান যে, ‘ইসলাম ভিন্নধর্মের মানুষকে সহ্য করে না। যতক্ষণ ভিন্নধর্মের মানুষ ইসলামে প্রবেশ না করবে ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার আদেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ।’ বস্তুত তারা জেনে অথবা না জেনে ইসলামের বিরুদ্ধে যে কালিমাটি লেপন করতে সচেষ্ট হন তার কোনই ভিত্তি নেই। অন্যান্য আয়াতের মতো এই আয়াতেরও অপব্যাখ্যা করা হয়।
এখানে সকল আহলে কিতাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার কথা বলা হচ্ছে না, বলা হচ্ছে ওই সকল লোকের বিরুদ্ধে যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না এবং আল্লাহর নির্দেশিত হারাম-হালালের (তাদের নিজেদের ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী) তোয়াক্কা করে না। রাষ্ট্র যেহেতু গঠন করা হয়েছে স্রষ্টার সার্বভৌমত্বের উপরে, কাজেই একজন ব্যক্তি ভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী হলেও সমস্যা নেই, যদি সে তার নিজের ধর্মের বিধান মেনে চলে। যারা নিজেদেরকে আহলে কিতাব কিংবা যে কোন মতবাদের অনসারীই দাবী করবে কিন্তু তাদের কিতাব কিংবা সংবিধানে বর্ণিত হারামকে হারাম বলে মানবে না, হালালকে হালাল বলে মনে করবে না, নিজেদের ইচ্ছেমত হালাল-হারাম নির্ধারণ করবে- তারা অবশ্যই ভণ্ড এবং মিথ্যুক। তাদের ভণ্ডামীর শাস্তি রাষ্ট্রকে অবশ্যই প্রদান করতে হবে। যেমন করে বর্তমান পৃথিবীর যে কোনো রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করে, কেউ ঘুষকে বৈধ বলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করে তবে রাষ্ট্র কি সেখানে চুপ করে বসে থাকবে? থাকবে না। রাষ্ট্র ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে অবশ্যই শাস্তি প্রদান করবে। প্রয়োজনে ওদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রশক্তি অস্ত্রধারণ করতেও দ্বিধা করবে না। এই শিক্ষাটিই আল্লাহ মো’মেনদেরকে প্রদান করছেন উপরোক্ত আয়াতে।
“হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা। (৯:৭৩)”
এখানে বুঝতে হবে কাফের কে? ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হলেই তারা কাফের বিষয়টি আসলে তা নয়। কুফর শব্দের অর্থ ঢেকে রাখা, অস্বীকার করা; অর্থাৎ যাবতীয় সত্য, ন্যায়, হক্বকে অস্বীকার করা, প্রত্যাখ্যান করা। রাষ্ট্রের শত্র“র সাথে, রাষ্ট্রের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেও যারা রাষ্ট্রের আনুগত্য করে না তাদের সাথে এবং যারা রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে তলে তলে ষড়যন্ত্র করবে তাদের সাথে কঠোর না হয়ে কি রাষ্ট্র তাদেরকে ঘরে বসিয়ে খাওয়াবে? এইটুকু সাধারণ জ্ঞান নিশ্চয়ই ইসলামবিদ্বেষীদের রয়েছে।
আল্লাহর দেওয়া উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ না করা হলে রাষ্ট্রে অবশ্যই অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। শান্তি থাকবে না। সমষ্টিগত শান্তির জন্য রাষ্ট্রকে অবশ্যই অপরাধীদের পাকড়াও করতে হবে, শাস্তি প্রদান করতে হবে, সেটা স্বল্প পরিসরে হোক বা বৃহৎ পরিসরেই হোক। এটা যারা অস্বীকার করতে চাইবে তারা হীনম্মন্যতায় আক্রান্ত মানুষ। এদের মেরুদণ্ড নেই। এরা রাষ্ট্র কি জিনিস তা বোঝে না। এরা নৈরাজ্যবাদী। রাষ্ট্রের হাতে এই বৈধ রক্তপাতকে যারা অস্বীকার করবেন তাদের প্রতি অনুরোধ হচ্ছে আগে পৃথিবীর সব সেনাবাহিনী এবং তাদের করা যুদ্ধ এবং অস্ত্রকে অবৈধ প্রমাণ করুন। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ক) অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধানের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। খ) বহিঃশত্র“র হাত থেকে রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য সেনাবাহিনী। আমরা দেখছি, আধুনিক প্রায় সব রাষ্ট্রেই অভ্যন্তরীণ গোলযোগ, বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি দমনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিনিয়ত এক প্রকার যুদ্ধ করে যাচ্ছে। মানুষ মরছে, জেলে যাচ্ছে, ফাঁসিতে ঝুলছে। আবার বহিঃশত্র“র হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্যও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যায়কারীদেরকে কঠোর শাস্তি প্রদান করাকে যদি সন্ত্রাস বলা হয় তবে ইসলাম সেই অর্থে সন্ত্রাসী ধর্ম, সব রাষ্ট্রই সন্ত্রাসী, সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনীও অবৈধ। এমনকি এভাবে বিচার করলে পৃথিবীতে থাকা অধিকাংশ ধর্মই সন্ত্রাসী ধর্ম।