ফিচার
ঈদে ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য ৩০ হাজার কোটি টাকার পোশাক বিক্রি
নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশের বাজারে ঈদ উপলক্ষ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার পোশাক বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা । এ জন্য আনেক আগ থেকেই পোশাক তৈরী, আমদানি ও বিপণনের মহাকর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে।
তুলা বা রেশম থেকে সুতা তৈরী। তারপর তাতে রং মাখানো, কাপড় বোনা, নকশা আঁকা, কাপড় কাটা। সবশেষে নানা ডিজাইনের পোশাক তৈরী। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ শেষে ক্রেতাদের হাতে পৌঁছাচ্ছে নানা বাহারী রং ও ডিজাইনের ঈদ পোশাক।
অভ্যন্তরীণ পোশাক প্রস্তুতকারক মালিক সমিতি, ফ্যাশন এন্টারপ্রেনিয়ার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ফ্যাশন উদ্যোগ), অর্থনীতিবিদ ও আমদানিকারকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এবারে ঈদে ৩০ হাজার কোটি টাকার পোশাক বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে।
এ সব উদ্যোক্তাদের কথার সত্যতা মেলে রাজধানীর বিভিন্ন বিপণী বিতানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখে। ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর প্রতিটি বিপণী বিতান সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকছে। ক্রেতাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে বিপণী বিতানগুলো।
ফ্যাশন হাউসগুলোর কল্যাণে ক্রেতাদের মনে শক্ত অবস্থান তৈরী করেছে দেশী নানা ডিজাইনের, নানা ব্র্যান্ডের পোশাক। তবে নামী-দামী ব্র্যান্ডের বাইরে যে বাজার, তার আকার সবচেয়ে বড়। আর এ বাজারের সিংহভাগজুড়েই রাজত্ব করছে দেশীয় পণ্য। রাজধানীসহ সারা দেশের স্থায়ী-অস্থায়ী সব বাজার, দোকান ছড়িয়ে ফুটপাত পর্যন্ত এর বিস্তৃতি। কিন্তু তৈরী পোশাকের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও বাজারমূল্য নিয়ে তেমন কোনো পরিসংখ্যান নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘স্থানীয় বাজারে তৈরী পোশাকের বাৎসরিক প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। যা টাকার অংকে প্রায় ৬২ হাজার চার শ’ কোটি টাকা।’
অভ্যন্তরীণ তৈরী পোশাক প্রস্তুতকারক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন মালিক তার সংগঠনের নিজস্ব গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘প্রতিটি মানুষ বছরে ৩টি পোশাক কিনলে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৪৮ থেকে ৫০ কোটি পিস পোশাকের প্রয়োজন হয়। যার অর্ধেকই বিক্রি হয় ঈদে। সে হিসাব শুধু ঈদেই পোশাক বিক্রি হয় প্রায় ২৪ কোটি পিস।’
তিনি আরও জানান, ‘বাংলাদেশে প্রায় ১৫ হাজার অভ্যন্তরীণ পোশাক কারখানা থেকে এ সব পোশাক সরবরাহ করা হয়। এ সব পোশাকের মূল্য ২০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৭ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে। গড়পড়তা দাম এক হাজার টাকা হলে এর বাজার মূল্য দাঁড়ায় ২৪ হাজার কোটি টাকা বলে জানান অভ্যন্তরীণ তৈরী পোশাক প্রস্তুতকারক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন মালিক।