Connect with us

ফিচার

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে ‘মোজাইক ভাইরাসে’ মাসকালাই বিনষ্টঃ হতাশ কৃষক

Published

on

শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে শতশত একর জমির মাসকলাই মোজাইক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। মোজাইক ভাইরাসে ফসল নষ্ট হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।
সরেজমিন নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা, কেদার, নারায়নপুর ও বল্লভেরখাস ইউনিয়নের ছোটবড় ২৩টি চর ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। চরাঞ্চলের কৃষকরা জানান, মাসকালাই হচ্ছে চরের মানুষের প্রধান ফসল। সেই ফসল ভাইরাসে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হতাশা গ্রস্থ হয়ে পরেছেন তারা।
নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃৃষিবিদ মাসুদুর রহমান জানান, উপজেলার চরাঞ্চলে মাসকালাই মোজাইক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হচ্ছে। এর কারন হিসাবে তিনি বলেন, যে সব কৃষক স্থানীয় বীজ দিয়ে দেরীতে মাসকালাই চাষ করেছেন তাদের ক্ষেত বেশি হারে মোজাইক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যারা আগাম চাষ করেছে তারা কিছু পেয়েছে। নারায়নপুরের কুষক জহির উদ্দিন বলেন, এবারে মাসকালাই চাষের শুরুতে প্রকৃতি ও পরিবেশ খুবই অনুকুলে থাকায় মাসকালাইর আবাদ ভাল হয়েছে। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন এই আশায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছিল । কিন্তু ফুল আসার পর মলিন হয়ে যায় সেই কৃষকের মুখ। তারা দেখেন মাসকালাইয়ের ফুলের পরিবর্তে সমস্ত গাছ হলুদ হয়ে মরে যেতে থাকে।
কচাকাটা ইউনিয়নের ধনীরামপুর চরের কৃষক কেছমত আলী বলেন, ‘এবার বন্যার সময় চরাঞ্চলে পলিমাটি পরে তাতে আমরা মাসকালাই লাগাই গাছ খুব সুন্দর হয়েছে। কিন্তু এমন রোগ এর আগে দেখে ন্াই । আমার ২০বিঘা জমির মাসকালাই নষ্ট হয়ে গেছে।
কেদার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান জানান, চরের মানুষের প্রধান জিবিকা হচ্ছে কালাই চাষ। এবারে ভাইরাসে সেই কালাই নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা খুবই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
চৌদ্দঘুরি চরের কৃষক হুরমুজ সেখ জানান, তিনি ১০বিঘা জমির মধ্যে মাসকালাই চাষ করেছেন কিন্তু ১কেজি মাসকালাই তার ঘরে তুলতে পারেননি।
অপর কৃষক আব্দুর রহমান জানান, ৮বিঘা জমিতে হালচাষ, কামলা কৃষাণ, বীজ- সার মিলে বিঘাপ্রতি ২হাজার টাকা খরচ করে ৪মণ থেকে ৫মণ কালাই পেতাম। যা বিক্রি করে খাবারসহ সংসার চালাতাম। এবার সব শেষ।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মকবুল হোসেন জানান, এবার জেলায় ২৭২০হেক্টর জমিতে মাসকালাই চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার মেঃটন। মোজাইক ভাইরাস যাতে অন্য কোথাও ছড়িয়ে পরতে না পারে তার জন্য জাবপোকা ও সাদামাছি নিয়ন্ত্রন করার জন্য কৃষককে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *