লাইফস্টাইল
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কালবৈশাখীর তান্ডবে ৩ হাজার বাড়িঘর বিধস্ত
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে চিলমারী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে থানাহাটের মাছাবান্দা, সবুজপাড়া, নয়ারহাটের বজড়া, দিয়ার খাতা, খেরুয়া, অষ্টমীরচরের মাইচবাড়ী, মুদাফৎকালিকাপুর, রমনার পাত্রখাতা, বাঁধরাস্তা, রানীগঞ্জ, চিলমারী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩ হাজার বাড়িঘর লন্ডভন্ডসহ ধান ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
উপজেলার মাচাবান্দা, নামাচর, উত্তর মাচাবান্দা, পাত্রখাতা, মুদাফৎথানা, পেদিখাওয়ার বিল, রাণীগঞ্জসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাড়ি-ঘরসহ শতশত গাছপালা লন্ডভন্ডসহ ইরি-বোরোর ক্ষেত হেলে পড়েছে। কয়েকদিন আগে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষজন ঘরবাড়ি মেরামত করতে না করতেই আবারো কালবৈশাখীর হানা দিয়েছে এসব এলাকায়। ফলে কালবৈশাখীর তান্ডবের শিকার হওয়ায় এসব মানুষ এখন খোলা আকাশের নিছে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কিন্তু পরপর দু’বার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা এখন পর্যন্ত কোন সরকারী বা বে-সরকারী সহযোগীতা পায়নি।
এছাড়াও ঝড়ে পেকে যাওয়া ধান হেলে পড়ায় কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। অষ্টমীরচর ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব কালবৈশাখীর তান্ডবের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার এলাকায় শতশত বাড়ি-ঘর লন্ডভন্ড হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো খোলা আকাশের নীচে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান আজগর আলী বলেন, ঝড়ে তার ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই কথা জানান বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানগণ। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে যাওয়ায় বুধবার রাত থেকে উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিডিপত্র/আমিরুল