Connect with us

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্যের উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে হরতাল ও বিক্ষোভ সমাবেশ

Published

on

শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে জেলা পরিষদ সদস্যকে মারপিটের প্রতিবাদে বুধবার অর্ধদিবস হরতাল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় জনতা, আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনে সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফুলবাড়ি বাজারে এ হরতাল পালিত হয়। এ সময় বাজারের দোকানপাট ও সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। হরতাল শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ফুলবাড়ি উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বড়ভিটা মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহŸায়ক আব্দুল খালেক বসুনিয়া, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সদর ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ, প্রভাষক জাকারিয়া মিঞা, উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য জুলিয়াস আলম সরকার বিলু প্রমূখ।
বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। অপরাধীরা যেন আওয়ামীলীগের কোন অঙ্গ সংগঠনে স্থান না পায় সে ব্যাপারে দলীয় নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানান।
জানা যায়, উপজেলা সদরের জলমহাল ফুলসাগর নিয়ে স্থানীয় মাঝিপাড়ার মৎস্যজীবীদের সাথে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মাঝিপাড়ার মৎস্যজীবীদের সংগঠন ফুলবাড়ী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি হাইকোর্ট থেকে প্রাপ্ত রায়ে জলমহাল ফুলসাগরের ইজারা পায়। যেকোন মূল্যে জলমহাল দখলে রাখার জন্য ফুলবাড়ী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি কৃষ্ণ চন্দ্র বিশ্বাস টাংরুকে বাড়ি থেকে তুলে আনার জন্য উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে শিবলু, সোহেল, বাবু, লাকু, নয়ন, তহিদুল, শাকিলসহ তার দল টাংরুর বাড়িতে যায়। এ সময় তারা টাংরুর কাছে চাঁদাও দাবি করে। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন সেখানে গেলে মেহেদী ও তার দলের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মেহেদীগংরা তার ওপর হামলা করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে টাংরু জানান, আমরা কোর্ট থেকে ফুলসাগরের ইজারা স্বত্ত¡ পেয়েছি। আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে তারা ফুলসাগর দখলে রাখতে চায়। আমার কাছ থেকে তারা চাঁদা দাবি করে বাড়ি থেকে তুলে আনার চেষ্টা করে। রতন ভাই আসায় তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এসময় তারা রতন ভাইকে মারপিট করে। লোকজন আসতে থাকলে তারা পালিয়ে যায়।
এবাপারে ফুলবাড়ী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি কৃষ্ণ চন্দ্র বিশ্বাস টাংরুকে বাড়ি থেকে তুলে ঘটনাটি অস্বীকার করেন ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, অভিযোগ পেলে দ্রæত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও জানান, দোষী ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওসিকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *