বৈশাখী মেলায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত রাঘবেন্দ্রপুর ও তিলকপাড়া গ্রামের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে রবিবার সকাল ১০টার দিকে তালেব আলী (৪৫) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত তালেব আলী চকনদী গ্রামের পচা মামুদের ছেলে।
গুরুতর আহতদের মধ্যে উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের তিলকপাড়া গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে লিখন মিয়াকে (১১) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া একই গ্রামের চেংটু মিয়ার ছেলে আজাদুল (২২), ইসমাইল হোসেনের ছেলে আশরাফুল (২৫), তোফা মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (১৬), ইদিলপুর ইউনিয়নের রাঘবেন্দ্রপুর গ্রামের সফু মিয়া (৪০), সিরাজুল ইসলাম (৩২) শাহাবুল হোসেন (২৮) ও বকুমিয়া (২০) আয়নাল মিয়ার ছেলে আল আমিন (১৪) সহ বাকীদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসানুর রহমান ও ধাপেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন জানান, ঢাক ঢোল পিটিয়ে রাঘবেন্দ্রপুর গুচ্ছ গ্রামে শুক্রবার বৈশাখী মেলার আয়োজন করে ওই এলাকার ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মাদসহ কতিপয় যুবক। এ মেলায় ১০-১২ বছরের কিশোররা তাস দিয়ে চুক চুকি নামক একটি জুয়া খেলা বসায়। রাঘবেন্দ্রপুর গ্রামের কয়েকজন কিশোর ও যুবকের ওই জুয়া খেলায় টাকা খোয়া যায়। তারা টাকা খোয়া যাওয়াকে কেন্দ্র করে মেলা সংলগ্ন ধাপেরহাট ইউনিয়নের তিলকপাড়া গ্রামের ওই জুয়া আয়োজনকারী শিশু-কিশোরদেরকে মারপিট করে।
পরবর্তীতে ওই বিষয়টি দুই গ্রাম বাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে দুই গ্রামবাসী সংর্ঘষে জড়িয়ে পরলে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়। এসময় মেলার আয়োজক ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মাদকে আটক করে লাঞ্চিত করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
তিনি আরো জানান, শনিবার ১০টার দিকে রাঘবেন্দ্রপুর গ্রামের আয়নাল মিয়ার ছেলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আল আমিন তিলকপাড়ায় মাদ্রাসায় গেলে তাকে আটক করে মারপিট করে তিলকপাড়ার কতিপয় যুবক। খবর পেয়ে ধাপেরহাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আল আমিনকে উদ্ধার করে আনে। এদিকে এঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবারও দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সাদুল্যাপুরের ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।