Connect with us

ঠাকুরগাঁও

ছেড়া পতাকা ব্যবহারে চলছে ভানোর গান্ডিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

Published

on

জাহাঙ্গীর আলম, বালিয়াডাঙ্গী: জাতীয় পতাকা শুধু একটি কাপড় নয়। স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক হচ্ছে আমাদের প্রিয় লাল সবুজ পতাকা। জেনে হোক বা অজ্ঞতার কারণে হোক, জাতীয় পতাকার অবমাননা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও সেই অপরাধকে তোয়াক্কা না করে ছেড়া পতাকা ব্যবহার করেই দীর্ঘদিন ধরে অ্যাসেম্বলীসহ না কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর গান্ডিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর এতে একদিকে যেমন পতাকার অবমাননা হচ্ছে অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে ভ্রান্ত ধারনা।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় এমন দৃশ্যই লক্ষ্য করা গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর গান্ডিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ছেড়া জাতীয় পতাকা ব্যবহার করে অ্যাসেম্বলী করিয়ে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যস্তওই স্কুলের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ। যদিও ঈদের ছুটি শেষ হয়ে স্কুল খুলেছে ২ দিন আগে। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত নেই।

৫ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলী শেষ করে প্রধান শিক্ষক মসলিম উদ্দীন বিদ্যালয়ের বাহিরে চলে গেছেন।
এছাড়াও প্রাক-প্রাথমিকের শিশু শ্রেণির ঘর এলোমেলো, দরজা খোলা থাকলেও খোলা হয়নি কোন জানালা, ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা যার যার মত খেলা করতে ব্যস্ত। এছাড়াও ৪র্থ ও তৃতীয় শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ক্লাশে পাঠদান করছেন অন্যান্য সহকারী শিক্ষকেরা ।

কিছুক্ষণ পর বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মসলিম উদ্দীন উপস্থিত হয়ে প্রতিবেদককে জানান, বিদ্যালয়ের টাকা উত্তোলনের চেকে সই করার জন্য ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বাড়ীতে গিয়েছিলাম।

ছেড়া পতাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, পতাকাটি ছিড়ে গেছে লক্ষ্য করিনি আর প্রতিষ্ঠানের নৈশ্য-কাম-প্রহরীও আমাকে বিষয়টি অবগত করেনি। কয়েকদিনের মধ্যে নতুন পতাকার ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে সহকারী শিক্ষকদের দোষারোপ করে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার সহকারীরাই আমাকে বিপদে ফেলার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছেড়া পতাকা কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যবহার করা যাবে না। আমি বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধানের সহিত কথা বলব।

এদিকে ভানোর গান্ডিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ে অ্যাসেম্বলী নিয়মতি না করা, বিদ্যালয়ে সময় শিক্ষক উপস্থিত না থাকাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *