Connect with us

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

জাকারবার্গ ক্ষমা চাইলেন

Published

on

জাকারবার্গ ক্ষমা চাইলেন

জাকারবার্গ ক্ষমা চাইলেন

মার্ক জাকারবার্গের নীরবতাঅনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল ফেইসবুকের সংকট চলাকালে। সেগুলোর জবাব দিতে বুধবার নিজের প্রোফাইলে একটি বিবৃতি পোস্ট করেছেন তিনি।

বিবৃতির প্রথমেই তিনি স্বীকার করে নেন তার সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কটি ভুল করেছে। তাদের ভুলের কারণে ব্যবহারকারীদের ডেটা অপব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে রাজনৈতিক তথ্য বিশ্লেষণকারী ফার্ম ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকাল। প্রতিষ্ঠানটি এক রাজনৈতিক দলের পক্ষে ডেটাগুলো ব্যবহার করেছে। ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে তিনি বিশ্বাস ভঙ্গ করারও অভিযোগ আনেন।

ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষা দিতে তিনি কিভাবে নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছেন তাও তিনি তুলে ধরেন। তবে এই পদক্ষেপ আরও আগে না নেওয়ার আফসোসও তার লেখায় ফুটে ওঠে।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাকারবার্গ বলেন, থার্ড পার্টির কাছে তথ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেইসবুক সবচেয়ে বড় ভুল করেছে।

তবে কংগ্রেসের শুনানিতে অংশ নিতে যাওয়ার আগেই সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় তিনি স্বস্তিও প্রকাশ করেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার ডেটা অপব্যবহারের বিষয়টি ব্যবহারকারীদের আরও আগেই জানানো উচিত ছিলো।

২০১৪ সালে ফেইসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে থার্ড পার্টি ডেভেলপারদেরকে নির্দিষ্ট পরিমাণে কিছু ডেটা পাওয়ার সুযোগ করে দেয়। এর আগেই ২০১৩ সালে ডেটা সাইন্টিস্ট অ্যালেকজান্ডার কোগান একটি ফেইসবুক অ্যাপ বানিয়ে তা দিয়ে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তথ্য গ্রহণ করেন। পরে সেই তথ্যগুলো তিনি আচরণ বিষয়ক রিসার্চ গ্রুপ এসসিএল ও এর শাখা প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার হাতে তুলে দেন। থার্ড পার্টির কাছে তথ্যগুলো তুলে দিয়ে তিনি ফেইসবুকের নীতিমালা লঙ্ঘন করেন।

ফেইসবুক এই ঘটনা জানতে পেরে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকাকে ডেটাগুলো মুছে দিতে বলে। তারা সেসময় ডেটা মুছে দেওয়ার কথা জানায় ফেইসবুককে। কিন্তু সেই তথ্য পরে কাজে লাগানো হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার কাজে। এ কাজের সঙ্গে জড়িত এক অধ্যাপক ক্রিস্টোফার ওয়াইলি ডেটা রেখে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললে পুরো বিষয়টি সামনে চলে আসে। ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা না দিতে পারায় তোপের মুখে পড়ে ফেইসবুক।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *