রাজনীতি
জ্ঞানের অভাবে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন: অর্থমন্ত্রী
আলাদা বেতন স্কেলের দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনকে অযৌক্তিক ও দুঃখজনক বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেছেন, “নিজেদের বেতন স্কেল সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবে তারা আন্দোলন করছেন। এই কর্মবিরতির কোনো জাস্টিফিকেশন নেই। তারা জানেই না পে- স্কেলে তাদের জন্য কি আছে, কি নেই।”
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাড়াতে আর কোনো বেতন কাঠামো করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মন্ত্রিসভায় অষ্টম বেতন কাঠামোয় অনুমোদন দেয়ায় অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত কে শুভেচ্ছা জানান। সেসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের সমালোচনা করেন। নতুন পে-স্কেলে কীভাবে শিক্ষকদের মর্যাদাহানি হয়েছে-সে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি শিক্ষকদের পদোন্নতিতে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন তিনি।
শিক্ষকদের অভিযোগ, সপ্তম বেতন কাঠামোতে সচিব, মেজর জেনারেল ও সিলেকশন গ্রেডের অধ্যাপকরা একই গ্রেডে থাকলেও নতুন কাঠামোতে তাদের পদাবনতি হয়েছে। এ অভিযোগে মঙ্গলবারও দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষকরা।
তাদের এই আন্দোলনের সমালোচনা করে এক পর্যায়ে মুহিত বলেন, “শিক্ষকদের করাপট প্রাকটিস নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।” শিক্ষকদের দুর্নীতির উদাহরণ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “যেমন প্রত্যেকটি শিক্ষক প্রফেসর হয়। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, প্রফেসর (পদে) তাদের ইচ্ছেমত প্রমোশন দেয়। অসংখ্য প্রফেসর হয়েছে দেশে। প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও লেকচারার। এদের মধ্যে লেকচারার সবচেয়ে কম। নিচে ১০ জন হলে উপরে এক হাজার। এটা কোনো সার্ভিস হল? শুধু উপরে পদোন্নতি হবে। এটা ঠিক করা দরকার।”
সরকারি চাকুরেদের বেতন সম্মানজনক হওয়ায় দুর্নীতি কমবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি পে-স্কেল দেব, যেটা বাজারের সঙ্গে গ্রহণযোগ্য হবে। বাজারের সমান হবে না। কারণ এই যে প্রায়ই বলা হয়, সরকারি চাকুরেদের বেতন কম, এজন্য তারা একটু ঘুষ টুস খায়, যাতে এই জিনিটা চলে যায়। কিছু মানুষ আছে যারা সব সময় দুর্নীতি করে। সেটা কোনো দিনই বন্ধ হবে না। তবে এদের দুর্নীতি বন্ধ করতে জনগণের মতামত নিতে হবে। কারণ টাকাটা জনগণই দেয়।”
অর্থমন্ত্রীসরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়ায় দ্রব্যমূল্য বাড়ার আশঙ্কা নেই বলেও জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, মূল্যষ্ফীতি নামছে, এটা নামতে থাকবে। আবার বাজারে উৎপাদন বাড়বে। কিন্তু দাম বাড়ানো এখানকার ব্যবসায়ীদের পেশা হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের কাজ প্রফিট মার্জিন বাড়ানো। বাংলাদেশে যত প্রফিট মার্জিন, অন্য কোনো দেশে নেই। দ্রব্যমূল্য যদি বাড়ে সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, তবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর
-
আন্তর্জাতিক9 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক9 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য8 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে9 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ10 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়8 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়9 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার9 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস