রাণীশংকৈল সংবাদদাতা : ঠাকুরগাওয়ে আট শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাতে পারেনা। কিন্তু এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদেও প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পিছিয়ে থাকেনা। একুশে ফেব্রুয়ারী এলেই তারা কলা গাছ, টুকরো ইট বা বাঁশ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করে শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকে। দির্ঘদিনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে- ঠাকুরগাও জেলায় সহস্রাধিক মাধ্যমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ রয়েছে। জেলা শহর ও উপজেলা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মিত হলেও অবহেলিত বেশীর ভাগ গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। যা প্রায় ৮ শতাধিকের বেশী। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছেনা। মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা উপজেলা শহরের শহীদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারলেও সমস্যায় পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা। আর এই কারণে একুশে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জেলার বিভিন্ন প্রাইমারি স্কুলের শিশুরা ইট, কলাগাছ বা বাঁশ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দৃশ্য দেখা যায়। নিজের স্কুলে শহীদ মিনার না থাকায় কলিগাও প্রাথমিক স্কুলের শিশুরা ইট দিয়ে শহীদ মিনার নির্মান করার প্রস্তুতি দেখা গেছে। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার ফজলে আলম বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মান করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
৩০১ আসনের এমপি মোছাঃ সেলিনা জাহান লিটা বলেন, বিষয়টি বেদনাদায়ক, আমরা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুব শিঘ্রই শহীদ মিনার নির্মানের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।