জাতীয়
নোয়াখালীর ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হেযবুত তওহীদের সংবাদ সম্মেলন
এতে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আন্দোলনটির প্রতিষ্ঠাতা এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর কন্যা রুফায়দাহ পন্নী। আরও উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের আমীর মসীহ উর রহমান, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদুল হাসান।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ গত ২১ বছর সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে জঙ্গিবাদ, ধর্মব্যবসা, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছে। এ কারণে প্রথম থেকেই জঙ্গিবাদী মতবাদে বিশ্বাসী, ধর্ম নিয়ে যারা রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি করে ও বিভিন্ন ধরণের ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী আমাদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আক্রমণ, মারধর, বাড়ি লুট, অগ্নিসংযোগসহ বহু মানুষকে আহত ও নিহত পর্যন্ত করেছে।
প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, গতকাল (সোমবার) নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার পোরকরা গ্রামে জামায়াত-হেফাজত এবং আরও কিছু সংগঠনের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রে উচ্ছৃঙ্খল সসস্ত্র ক্যাডার বাহিনী হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িতে আক্রমণ করে।
হেযবুত তওহীদের এমামের বাড়িতে মসজিদ নির্মাণ কাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আসা ৩ জন কর্মীকে তারা শহীদ করেছে, শতাধিক সদস্যকে আহত করেছে, লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করেছে, ১৫টা মটর সাইকেল জ্বালিয়েছে ও দুইটা বাড়ি জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করেছে।
এই ঘটনা সংঘটনের অসৎ উদ্দেশ্যে গত ১১ মার্চ ১৬ খ্রি তারিখে তারা জুম’আর সময় পোরকরা গ্রামের মসজিদে মসজিদে মুসল্লীদের মাঝে নাম-ঠিকানা বিহীন “হেযবুত তওহীদ একটি কুফরি সংগঠন” শিরোনামের এক উড়ো হ্যান্ডবিল বিলি করে।
তারপর হেযবুত তওহীদ সদস্যদের উক্ত গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য ও বে-আইনী ফতোয়া দিয়ে মুসল্লীদের উত্তেজিত করে তোলে। যার নেপথ্যে কাজ করেছে জামায়াত-হেফাজত পন্থী স্থানীয় কিছু মসজিদের ইমাম।
এর পর থেকেই জামায়াত-হেফাজতের নেতাকর্মীরা হেযবুত তওহীদের কর্মীদেরকে কাফের খ্রিষ্টান ইত্যাদি ফতোয়া দিয়ে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য জনগণকে উসকানি দিতে থাকে এবং বিভিন্ন ক্যাডার ও সন্ত্রাসী বাহিনী জড়ো করতে থাকে।
এই পরিস্থিতি প্রশাসনকে কয়েকদিন ধরে বারবার অবগত করার পরও প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। ১৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে সোনাইমুড়ি থানায় আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম-ঠিকানাসহ লিখিত আবেদন আমরা প্রদান করি।
ঘটনার দিন সকাল ১১.০০ টায় সহিংস ঘটনা সংঘটনের ষড়যন্ত্র নিরসনপূর্বক আইনগত সহায়তা চেয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপারের হাতে ২৪০ জন স্থানীয় ব্যক্তির স্বাক্ষর সংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করি। তথাপি প্রশাসনের চোখের সামনে, তাদের নির্লিপ্ততার সুযোগেই দাঙ্গাবাজেরা এমন ধ্বংসযজ্ঞ ঘটায়।
উল্লেখ্য যে, ২০০৯ সনেও তারা হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে এমনই মিথ্যা ফতোয়াবাজী করে সাধারণ মুসল্লিদের ধর্মবিশ্বাসকে ভুল খাতে প্রবাহিত করে আমাদের ৮ টি বাড়ি লুট করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করে দিয়েছে, যেমন তারা দেশময় এটা করে থাকে। এর পুনরাবৃত্তি ঘটালো গতকাল।