দেশজুড়ে
তিস্তা পাড়ে দিন মজুরের কন্যা বাকপ্রতিবন্ধী খাদিজা আক্তার
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী তিস্তা নদীর ওপাড়ে অবস্থিত লালমনিরহাটের সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চরজুম্মপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র খলিলুর রহমানের বাকপ্রতিবন্ধী যুবতী মেয়ে খাদিজা আক্তার জন্ম থেকেই দারিদ্রতার মাঝে অসহায় জীবন যাপন করছে।
বাকপ্রতিবন্ধী খাদিজার পিতা মাতা বলেন, আমরা দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি। সংসার জীবনে আমরা ৫ সন্তানের জনক জননী। সন্তানের মধ্যে ৪জনই বাকপ্রতিবন্ধী তার মধ্যে ২জন ছেলে ১জন মেয়ে ০৭, ১০, ১১ বছর বয়সে মারা যায়। বর্তমানে জীবিত ২ সন্তানের মধ্যে বাকপ্রতিবন্ধী খাদিজা ও ১বছরের ছেলে রয়েছে।
বাকপ্রতিবন্ধী খাদিজার পিতা মাতা দু:খ করে বলেন অনেক দু:খ কষ্ঠ করে অভাবের মাঝে পরিবার ছালাচ্ছি। বাকপ্রতিবন্ধী খাদিজাকে পারছিনা সু-চিকিৎসা, ভাল খাবার ও পরিচ্ছন্নতা দিতে একটু সহযোগিতার জন্য অনেক বার বিভিন্ন অফিস মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে গিয়াছি শুধু আস্বাস দিয়ে যায়। কিন্তু কেউ কোন প্রকার সহযোগিতায় আসেনি।
বাকপ্রতিবন্ধী খাদিজার পিতা মাতা ও এলাকাবাসী সরকারের কাছে বাকপ্রতিবন্ধী খাদিজার জন্য সরকারী আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।
লালমনিহাট সদর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মশিউর রহমান মন্ডল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাকপ্রতিবন্ধী বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
লালমনিহাট জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন, সরকার বাকপ্রতিবন্ধদের শতভাগ সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সেই তুলনায় অচিরেই শতভাগ প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় নিয়ে আসবে সরকার। বাকপ্রতিবন্ধী খাদিজার বিষয়টি সরকারী সুযোগ সুবিধার আওতায় আনার আশ্বাস দেন।