শিক্ষাঙ্গন
দুই দফা দাবিতে বেরোবিতে কর্মকর্তাদের লাগাতার কর্মবিরতি
কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষকগণ একযোগে পদোন্নতির দাবি জানালে সেই সময়ই কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষকবৃন্দের পদোন্নতি নীতিমালা রিভিই (সংশোধন) করা হয় এবং শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। ২০১৫ সনে আবারও কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নীতিমালা সংশোধন করা হয়। পরবর্তিতে ২০১৬ সালের ২রা জুলাই ৫০-তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ইব্রাহীম কবীরকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের রিভিউ কমিটি গঠন করা হলেও পদোন্নতি বাস্তবায়নে কার্যত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, রেজিস্টার মেীখিকভাবে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানালেও উপাচার্য তাতে সায় দেয়নি। তারই প্রেক্ষিতে গত সোমবার কর্মকর্তারা রেজিস্টারের সাথে সাক্ষাত করেন এবং মঙ্গলবার সকালে তাদের দাবি নিয়ে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে উপাচার্য এ বিষয়ে কথা বলতে অসম্মতি প্রকাশ কওে তাদেরকে কক্ষ হতে বের হয়ে যেতে বলেন। এরই প্রেক্ষিতে এবং ঠুনকো অভিযোগে ৫ কর্মকর্তার স্থগিত বেতন প্রদানের দাবির বাস্তবায়নে কার্যত কোন পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতির ঘোষনা দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ কে এম নুর-উন-নবী বলেন, কর্মবিরতির বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তারা তাদের দাবির বিষয়ে লিখিত বা মেীখিকভাবে কিছু জানায়নি তবুও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল কিন্তু তারা তা মানেনি। কর্মবিরতির ফলে আলোচনার আর সুযোগ কোথায় ?