Connect with us

দিনাজপুর

নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের ৭টি দপ্তর চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে

Published

on

এম রুহুল আমিন প্রধান,নবাবগঞ্জ: দিনাজপুরের নববাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের ৭টি দপ্তর দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে। যার কারনে ওই দপ্তরগুলোর কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনসাধারন। উপজেলার হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম অন্যত্র বদলি হলে পাশ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলার হিসাবরক্ষন কর্মকর্তাকে দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করছে। একই ব্যক্তি দুটি উপজেলায় কর্মরত থেকে পেনশন সংক্রান্ত ও সরকারি জরুরী অর্থ বরাদ্দের কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে ওই দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে অডিটর মো. আলী আকবর জানান, এখন পর্যন্ত সেবা নিতে আসা কোন ব্যক্তি হয়রানি হয়নি। তবে বড় উপজেলা হিসেবে শ্রীঘ্রই কর্মকর্তার যোগদান প্রয়োজন। সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসে দীর্ঘদিন ধরে সহকারি সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম ২০১৭ সালের জুন মাসে অবসরে গেলে পদটি শুন্য হয়ে পড়ে। এরপর পাশ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলার সহকারি সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা ইমরান সরকারকে দিয়ে দুই উপজেলার কাজ করতে হচ্ছে। এদিকে ভূমি জরিপ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ কর্ম নিয়ে কৃষকেরা ওই অফিসে গেলে কর্তা বাবুকে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। বিরামপুরে উপজেলার দায়িত্ব পালন করায় তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলায় সময় খুব একটা বেশি দিতে পারেন না। যার কারণে প্রায় ২০ হাজার ৩০ ধারা আপত্তি মামলা জট বেধে রয়েছে। কৃষকেরা অভিযোগ করে জানান, সহকারি সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা না থাকায় স্থানীয় দালালদের খপ্পরে পড়ে সর্বশ্ব হারাচ্ছেন। এছাড়াও প্রাপ্ত জনকাঠামো অনুযায়ী অন্যান্য স্টাফ না থাকায় ভূমি মন্ত্রনালয়ের অধীনে জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তরটি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগীরা। তবে এ বিষয়ে ওই অফিসে সহকারি সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মো. আব্দুস সাত্তার জানান, পড়ে থাকা ৩০ ধারার অনেক মামলা শুনানী অন্তে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর পাইলট প্রকল্প একটি বাড়ি একটি খামার। প্রকল্পের উপজেলা কো অর্ডিনেটর মো. নজরুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত থাকায় ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে প্রকল্পটি। যার কারনে গ্রাম পর্যায়ে নব গঠিত সমিতির সঞ্চয়ের টাকা উত্তলন ও বিতরন নিয়ে অনেক সময় দেখা দেয় জটিলতা। এ বিষয়ে বর্তমান অতিরিক্ত দায়িত্ব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রায় সমিতির ২০ লাখ টাকার অনিয়ম ছিল। বিশেষ তদন্তে সমিতিগুলো ফিরে পেয়েছে সফলতা। তবে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপজেলা সমন্বয়কারী মো. নজরুল ইসলাম জানান, তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব ফিরে পেলে উপজেলা একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পটি ফিরে দাড়াবে। এছাড়াও নতুন সমিতি গুলোতে সঞ্চয় গ্রহণ করে ঋণ বিতরন করা হয়েছে বলে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল বেগম জানান। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে সেচ ও প্রযুক্তি ভিত্তিক আন্ডারগ্রাউন্ড পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মান করে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। দীর্ঘদিন আগে সহকারি প্রকৌশলী শাইজ উদ্দিন অন্যত্র বদলি হওয়ায় পার্শবর্তী ফুলবাড়ি উপজেলার সহকারি প্রকৌশলী আজমল হোসেনকে দিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফুলবাড়ি উপজেলাা থেকে নবাবগঞ্জ উপজেলায় দাপ্তরিক কাজ করা সম্ভব হয় না। চলতি মৌসুমে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবাবগঞ্জ উপজেলায় ১১০ টি বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকুপের মাধ্যমে বোরো উৎপাদন শুরু হবে। কৃষকেরা গভীর নলকুপ গুলো সচল থাকায় বীজতলা তৈরি করেছে। ওই দপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী যোগদান একান্ত প্রয়োজন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এখানে মো. এনামুল হক চৌধুরী যুব কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিল। তাকে ২০১৭ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলায় বদলি করা হয়। ঘোড়াঘাট থেকেই তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলেন রেবেকা সুলতানা। তিনিও ২০১৭ সালে বদলি হয়ে পার্শবর্তী পার্বতীপুর উপজেলায় যান। সেখান থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন। পাট উন্নয়ন অধিদপ্তর ৭ বছর ধরে উপজেলা পর্যায়ে পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার দপ্তর থাকলেও থাকে না কর্মকর্তা। জেলায় একজন কর্মকর্তা দিয়ে পাচ উপজেলার দায়িত্ব পালন করতে হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমান সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *