বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার রাতে মুসলধারে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে সৈয়দপুর গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ সরবারাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পড়ে রাত দুইটার দিকে ৩৩ কেভি প্রধান সরবরাহ লাইনের একটি টাওয়ার বিধ্বস্ত হওয়ার কারনে সেটি সংস্কার করে প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শি পুর্ব কুখাপাড়া মহল্লার আব্দুল খালেক (৪০) বলেন, রাতে মুসলধারে বৃষ্টি শুরু হলে রাত ১২টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। এরই মধ্যে রাত দুইটার দিকে আমাদের বাড়ির পাশের টাওয়ারটি হেলে পড়ে। ফলে সারা রাত বিদ্যুৎ পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মহল্লার কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ওই টাওয়ার ঘেষা একটি পুকুর থেকে মিলন ও বাবলু নামের দুই ব্যাক্তি অবৈধভাবে ভারী মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার কারনে টাওয়ারের নিচের মাটি সরে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ওই মহল্লার সুরত আলী (৬০) বলেন, বালু উত্তোলনের সময় পিডিবিরি কুখাপাড়ায় অবস্থিত সাব স্টেশনে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি।
এদিকে জেলার পাঁচ উপজেলায় ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারনে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হয়। বাবুপাড়া মহল্লার স্কুল শিক্ষক লীনা দে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকার কারনে বাচ্চাদের লেখাপড়া ও রান্না বান্নার কাজে ব্যঘাত ঘটে। গরমের পাশাপাশি পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
নীলফামারী বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ৩৩ কেভি সরবরাহ লাইনের প্রধান টাওয়ারের পাশে ভারী মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারনে, টাওয়ারের নিচের মাটি সরে গিয়ে টাওয়ারটি বুধবার রাত দুইটার দিকে বিধ্বস্ত হয়। এর আগে রাতে ১২টার দিকে বজ্রপাতের কারনে সৈয়দপুর গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এটি সাময়িকভাবে মেরামত করে বিকেল তিনটার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হলেও সেখানে নতুন করে টাওয়ার বসাতে হবে।
বালু উত্তোলনের সময় তার কার্যালয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলেও জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও বালু উত্তোলনকারী মিলন ও বাবলুকে খুজে পাওয়া যায়নি।