Connect with us

দেশজুড়ে

নীলফামারী সৈয়দপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৩০০টি দোকান

Published

on

মুকুল, সৈয়দপুর:  সৈয়দপুর রেল ভূমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা দোকান পাট ইমরাত ও মার্কেট নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসাবে  বুধবার সকাল থেকে রেলের বিভাগীয় ষ্ট্যাট অফিসার মোস্তাক আহমেদর নেতৃত্বে শহরের রেলওয়ে ষ্টেশন ও রেল লাইনের পার্শ্বে গড়ে ওঠা প্রায় ৩০০টি দোকান পাট গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ উচ্ছেদ অভিযানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের চিপ ইঞ্জিঃ আনিছুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট নুর-এ আলম, সৈয়দপুর রেল কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক নুর আহমেদ হোসেন, সৈয়দপুর থানার এ,এস,পি (সার্কেল) সাজেদুর রহমান সহ পুলিশ বাহিনী।

রেল সূত্র জানায় সৈয়দপুর রেল বিভাগের আওতায় রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার একর ভূ-সম্পত্তি এসব সম্পত্তির মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬শ একরেরও বেশি সম্পত্তি বেদখলে চলে যায়। রেল বিভাগ ওই সব দখলকারীদের বিরুদ্ধে রেল সম্পত্তির ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানালে কেউই তা কর্ণপাত করেননি। আইন জটিলতা, জনবল সংকট সহ উর্দ্ধেতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না থাকায় দখলকারীরা বে পরোয়া হয়ে ওঠে। নিজ সম্পত্তি ভেবে প্রকাশ্য দিবালোকে দ্বি-তল ভবনের মার্কেট, ইমারাত, দোকান পাটসহ হাজার হাজার ঘরবাড়ি নির্মান করে। শুধুমাত্র আইনি জটিলতা ও জনবল সংকটের কারণেই এতদিন উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু রেল সম্পত্তির দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিনই উদ্ধের্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছিলো।
স্থানীয়রা জানান, বিভাগীয় ষ্ট্যাট অফিসার মোস্তাক আহমেদ সৈয়দপুর শহরে অবৈধ স্থাপনাকারীদের পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তিনি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করছেন না। অবৈধ স্থাপনাগুলি যদি গুড়িয়েই দেওয়া হয় তাহলে সকল অবৈধ স্থাপনা গুলো গুড়িয়ে দেওয়ার জোর দাবী জানান তারা।
বিভাগীয় ষ্ট্যাট অফিসার মোস্তাক আহমেদ জানান সৈয়দপুর শহরের রেল সম্পত্তি দখলকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তর থেকে অভিযোগ তিনি পাচিছলেন। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে মার্কেট ও ইমরাত নির্মাণকারী প্রায় ১শ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং আরও প্রায় হাজারখানীক অবৈধ দখলকারীদের নোটিশ করা হয়েছিল। মামলা ও নোটিশের এক মাস পর অবৈধ স্থাপনা গুলো ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য সৈয়দপুর শহরে মাইকিংও করা হয়। দখলকারীরা মামলা ও নোটিশের তোয়াক্কা না করায় গতকাল প্রায় ৩০০টি দোকানপাট গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে ধারাবাহিক ভাবে মামলা ও নোটিশ করা প্রতিটি ইমরাত, মার্কেট ও ঘরবাড়ি নির্মাণকারীদের গুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি প্রতিবেধকে জানান।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *