Connect with us

দেশজুড়ে

নড়াইলে ভুমিকম্পে ৪ টি স্কুল ভবনে ফাটল; ঝুকিপূর্ণ ভবনে আতঙ্কে শিক্ষার্থীদের স্কুল ছেড়ে দেবার উপক্রম

Published

on

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:  ২৫ ও ২৬ এপ্রিলের টানা দুদিনের ভ’মিকম্পে নড়াইল সদরের ৪টি মাধ্যমিক স্কুলের ভবনে ফাটল ধরেছে । মূল ভবনের পিলার সহ অন্যান্য স্থানে ফাটল ধরে ও ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় শিক্ষক সহ অভিভাবকেরা আতঙ্কে রয়েছেন । ছাত্র-ছাত্রীরা ভ’মিকম্পের আতঙ্কের কথা ভূলতে পারছে না । স্কুল ধসে পড়ার ভয়ে ৪টি স্কুলের প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে অনেকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে । নড়াইলের সদর উপজেলার মুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভুমিকম্পে ভবনে ফাটল ধরায় ৫৫০ শিক্ষার্থীর লেখাপড়া ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিস্তারিত উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে টানা দুই দিনের ভুমিকম্পে বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনের আগে থেকে ফাটল ধরা কয়েকটি পিলার ও দেয়ালে নতুন করে কয়েকটি স্থান ফেটে যাওয়ায় যে কোন সময়ে ভেঙ্গে পড়ার আশংকা করছেন শিক্ষক সহ ছাত্রছাত্রীরা । দোতলা এই ভবনের ৬ষ্ট থেকে ১০ম শ্রেনীর ক্লাস ও প্রাকটিক্যাল সহ কম্পিউটার ক্লাস থাকায় সেগুলোতে ক্লাস বন্ধ হয়ে গেছে । লেখাপড়ার ক্ষতি হবার আশংকা থাকা সত্ত্বে ও দোতলায় উঠতে সাহস পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা । ১৮৫৭ সালে জমিদারী আমলে প্রতিষ্ঠিত নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের এখানে ছাত্রছাত্রী রয়েছে ৫ শতাধিক এই বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি এমনিতেই জরাজীর্ন । তার উপর ২ বারের ভুমিকম্পে ৯ম শ্রেনীর ক্লাসরুম সহ কয়েকটি রুমের ছাদের ভীম সহ ৩টি ভবনের কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে । যে কোন সময় স্কুল ভবনটি পড়ে যেতে পারে এই ভয়ে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস চলার সময়ে ভবনের দিকে চেয়ে ক্লাস করে । এতে করে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে বলে ছাত্রছাত্রেিদর অভিযোগ । এছাড়া পরিবারের লোকেরা ভুমিকম্প আতঙ্কে তাদের স্কুলে ও পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না । একইভাবে ভ’মিকম্পে শহরের সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান তিন তলা ভবনটিতে অনন্ত ১০টি জাইগায় ফাটল ধরেছে। এঝাড়া ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন সবাই এই বিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রী রয়েছে ২ হাজারের বেশি। সদরের মাইজপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দোতলা ভবনে (মুল ভবন) ফাটল ধরায় আতঙ্ক বিরাজ করছে বিদ্যালয়ের ৭ শতাধিক শিক্ষার্থীর।স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা আতঙ্কে দিন কাটালে ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন ভিন্ন কথা ।মাত্র ১টি স্কুল পরিদর্শন করে তিনি বলছেন দুটি স্কুল ঝুকিপূর্ন হলে ও বাকি দুটি মারাতœক নয় । তবে তিনি আবার ও ভ’মিকম্প হলে শিক্ষকদের কে আহবান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের সাহস জোগানোর । স্কুলগুলো থেকে দ্রুত বিদ্যালয় সংস্কারের আবেদন জানানো হলে ও কর্তৃপক্ষের কোন তড়িৎ পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না । এই অবস্থায় হতাশ অভিভাবকেরা তাদের ছেলে মেয়েদের ঝুকির মধ্যে বিদ্যালয়ে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত বিদ্যালয়গুলো সংস্কারের ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা সচল রাখা হোক অন্যথায় এই স্কুল গুলোর কয়েকহাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ।

 

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *