Connect with us

দেশজুড়ে

পঞ্চগড়ে প্রতিবন্ধীর জমি দখল করে ইটভাটা নির্মানের অভিযোগ

Published

on

নিজস্ব প্রতিনিধি, পঞ্চগড়ঃ- পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার একজন প্রতিবন্ধী, ভুমিদস্যূ দ্বারা নিগৃহীত হয়ে বিচারের আশায় পথে পথে ঘুরছে। তার লক্ষ লক্ষ টাকার জমীর উপর অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মান করেছে এক প্রভাশালী ব্যবসায়ী।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, জেলার সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের টুনিরহাট বৈরাগী পাড়া গ্রামের মৃত কামালউদ্দীনের পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী জাহানারা বেগম তার মাতার নিকট হতে রেজিঃ মূলে দূই একর ৬৬ শতক জমি প্রাপ্ত হয়ে ভোগ দখল করে আসছে। যার রেজিঃ দলীল নং ৩৮১৯ ও বন্টন দলীল নং ২১৯২ এবং মৌজা- কাজী পাড়া, জে এল নং-১৭. এস এ খতিয়ান নং ৩১০, ৩১৩ ও ৩৮৮। তার মধ্যে ২ একর ৩২ শতক জমির উপর একই উপজেলার কামাত পাড়া গ্রামের মৃত তবিবর রহমানের পুত্র মোঃ আফিরুল হক একই মালিকের অন্য ওয়ারিশের কিছু জমি ভাড়া নিয়ে সুকৌশলে তার জমির উপর ইটভাটা নির্মান করে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, জমির মালিক প্রতিবন্ধি ও অসুস্থ ব্যক্তি হওয়ায় উক্ত জমি অন্যায়ভাবে সম্পুর্ন গায়ের জোরে দখল করে অবৈধভাবে মেসার্স এস এস ব্রিকস নামে ইটভাটা এবং জমির উপর ঘরও নির্মান করে ঐ ভুমিদস্যূ। এবং জমির মাটি খনন করে মাটির উর্বর ক্ষমতা নষ্ট করে। এমনকি জমির মালিক বাধা দিতে গেলে তাকে প্রান নাশের হুমকি ধমকি প্রদান করে।
জমির মালিক প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবেদককে কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন   “এ ব্যপারে আমি স্থানীয় জন প্রতিনিধি থেকে শুরু করে পুলিশ, প্রশাসন ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিগত কয়েক বছর ধরে হাজির হয়ে লিখিতভাবে অবগত করেও কোন সুষ্টু বিচার পায়নি।” সরকারের দপ্তরে অভিযোগের কথা জান্তে চাইলে তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ভুমি মন্ত্রী, আই জি ঢাকা, ডি আই জি রংপুর, র‌্যাব-১৩ অধীনায়ক, দূর্নীতি দমন কমিশন এ লিখিত অভিযোগ করেও কোন সমাধান মিলেনি।
এ ব্যাপারে অত্র ইউনিয়ন চেয়াম্যানের কাছে মুঠো ফোনে জান্তে চাইলে তিনি ঘটনার সততা স্বীকার করেন এবং ঘটনাটি ডিসি এবং সদর ইউ এন ও পর্যায়ে বিচারাধীন রয়েছে উল্লেখ করেন।
 অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আফিরুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তিনি ইটভাটা জাহাঙ্গীরের জমির উপর করেননি। বিস্তারিত জান্তে চাইলে তার সময় নেই বলেই সটকে পড়েন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *