Connect with us

পটুয়াখালী

পটুয়খালীর গলাচিপায় খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত টোল আদায়

Avatar photo

Published

on

 মোঃ আল আলেম বিশ্বাস। নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পটুয়খালীর গলাচিপায় খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলাগাছিয়া-গলাচিপা নদীর উপরে ইচাদী টু আমখোলা খেয়া পারাপারে সরকারি নির্ধারিত অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদ করলে ভাইয়া বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় সাধারণ মানুষকে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই এ খেয়া দিয়ে গলাচিপা-দশমিনা উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বিশেষ দিবস, মেলা ও ঈদের সময় জনপ্রতি ২০ টাকা, মটর সাইকেল ২৫ টাকা আর বাইসাইকেল ১০ টাকা করে আদায় করা হয়। হাতের মালামালেও অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয় এ খেয়া পারাপারে। তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নৌকায় পারাপারের জনপ্রতি ৬ টাকা, মোটরসাইকেল ১৫ টাকা ও বাইসাইকেল ৫ টাকা করে খেয়াঘাটে নেওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিটি খেয়াঘাটের দৃশ্যমান স্থানে টোল চার্ট প্রদর্শনের নিয়ম থাকলেও কোথা টোল চার্ট টানানো নেই। এদিকে তিন বছর আগে ভাড়ার মটর সাইকেল চালানো বাদ দিয়ে বাংলা ১৪২৪ খ্রি: জন্য আমখোলা ও  ইচাদী খেয়াঘাট ৪ লাখ ৪১ হাজার টাকায় ইজারা নেন জুয়েল আহমেদ। জুয়েল ইজারা নেয়ার পর থেকেই প্রকাশ্যে সরকারি এ নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ঘাটে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভাইয়া বাহিনীর প্রধান জুয়েল-জাফর ও তার বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হয়। স্থাণীয় ব্যবসায়ী রফিকুল আমিন বলেন, জুয়েল খেয়া ইজারা নেয়ার পর থেকে ঘাটের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে। বেশির ভাগ সময় জুয়েলের ভাই জাফর বসে এই খেয়া ঘাটে। কেউ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে ভাইয়া বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়। আমরা উভয় পারের মানুষ ভাইয়া বাহিনীর হাতে জিম্মি। আমখোলা খেয়া পারাপারে ঘাটে অপেক্ষমান ইচাদী এলাকার পারুল বেগম বলেন, ভাই খেয়ায় চল্লিশ জন যাত্রী না হলে খেয়া ছাড়েনা। আর মুমূর্ষ রোগী নিয়ে খেয়ার কাছে এসে খেয়া ছাড়তে বললে চল্লিশ জন যাত্রীর (চারশ টাকা) দেওয়া হলে খেয়া ছাড়ার শর্ত দেওয়া হয়। অনেকে রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে বাধ্য হয়েই তিন/চার শত টাকা দিয়ে পারাপার হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বলেন, এক লোক অতিরিক্ত টাকা নেয়ার প্রতিবাদ করলে জুয়েল-জাফর ভাইয়া বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হন। পরে চাঁদাবাজির মামলা করার হুমকি দেয় ভাইয়া বাহিনীর প্রধান জাফর। এ ব্যাপারে আমখোলা খেয়া ঘাটের টোল আদায়কারী জাফর বলেন, বেশি টাকায় ইজারা নিয়েছি। এ ছাড়া প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করতে হয় তাই অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছি। প্রশাসন জানে আমরা বেশি টাকা নেই। টোল চার্ট টানানোর প্রয়োজন নেইতো? কত টাকা দিতে হবে তাতো মুখেই বলছি টানাতে হবে কেন? এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী অফিসার তৌসিফ আহমেদ জানান, গলাচিপার প্রায় সব খেয়াঘাটেই অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ রয়েছে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হাফিজ বলেন, বিষয়টি শুনে উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে দ্রুত তদন্তের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমানিত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আমরা যেখানে অনিয়ম দেখছি সেখানে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। প্রয়োজনে ওইখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
j-thirteen,khulna

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

বাউফলের সেই লাল মিয়ার পাশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

Avatar photo

Published

on

মানবতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন। সংবাদ প্রকাশের পর বাউফলের সেই হতদরিদ্র লাল মিয়া হাওলাদারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

শনিবার দুপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সরজমিনে উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা অসহায় দরিদ্র লাল মিয়া হাওলাদারের বাড়িতে যান। এসময় তিনি লাল মিয়াকে শীতবস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং তাকে সরকারি ব্যয়ে ঘর নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

এরআগে গত শুক্রবার বাংলাদেশেরপত্র অনলাইনসহ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় ‘আসমানী কবিতার রহিমদ্দির ঘরকেও হার মানায় বাউফলের লাল মিয়ার ঘর’ শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন সরেজমিনে নিজের চোখে সবকিছু দেখে দরিদ্র লাল মিয়াকে কম্বলসহ তার নিজের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। লাল মিয়াকে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় নিয়ে আসাসহ ঘর তৈরি করার জন্য আরও আর্থিক সাহায্য প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন মানবিক কর্মকাণ্ডে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন লাল মিয়া।

এদিকে অর্থিক সহায়তা ও ঘর পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ইউএনওকে ধন্যবাদ জানান লাল মিয়া।

 

আসমানী কবিতার রহিমদ্দির ঘরকেও হার মানায় বাউফলের লাল মিয়ার ঘর

 

 

Continue Reading

দেশজুড়ে

আসমানী কবিতার রহিমদ্দির ঘরকেও হার মানায় বাউফলের লাল মিয়ার ঘর

Avatar photo

Published

on

বাউফলে তীব্র শীতে দুর্বিষহ ষাটোর্ধ্ব লাল মিয়ার জীবন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
প্রবল শৈত্যপ্রবাহ ও কনকনে শীতে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে বাউফল উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র লাল মিয়া হাওলাদার। লাল মিয়ার বসত ঘরটি যেন পল্লী কবি জসিমউদদীন এর ‘আসমানী’ কবিতার রসুলপুরের রহিমদ্দি’র ভেন্না পাতার ভঙ্গুর ঘরকেও হার মানায়।

সরজমিনে দেখা যায়, ষাটোর্ধ্ব লাল মিয়ার শীতের কষ্ট লাঘবে এক মাত্র ভরসা পাতার ঘর। তাও চারপাশ পলিথিন বেষ্টিত বেড়া। গ্রামে ছোট চায়ের দোকান দিয়ে কোন রকম সংসার চালান তিনি। তার দুই ছেলের এক ছেলে কোন খোঁজ খবর নেয় না। আর এক ছেলে ইটের ভাটায় কাজ করে তাদের দেখাশোন করে।

লাল মিয়ার এ দুর্বিষহ জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বুড়ো মানুষ। অতি দরিদ্র বলে কেউ খোঁজ নেয় না। শুনেছি সরকার থেকে অনেকেই ঘর পায় আমি পাই নি। এই শীতে বউ-পোলা নিয়ে কোনরকম মানবেতর জীবনযাপন করছি। দেশের নাগরিক হিসেবে আমি যেন সরকারের থেকে সকল সুযোগ সুবিধা পাই’।

সরকার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিত্তশালীদের নিকট তার পরিবারের থাকার জন্য ঘরের ব্যবস্থা করার আবেদন জানান তিনি।

Continue Reading

দেশজুড়ে

বাউফলে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

Avatar photo

Published

on

পটুয়াখালীর বাউফলে শিমুল বেগম নামের এক নারীর (২৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজ রোড এলাকায় শিমুলের বাবার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিমুল বেগম দুবাই প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রী। জুবায়ের (১০) ও জুনায়েদ (৭) নামের দুই সন্তান রয়েছে এই দম্পতির।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ১২ বছর আগে বাউফল সদর ইউনিয়নের গোসিঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলামের সঙ্গে শিমুলের বিয়ে হয়। শিমুলের স্বামী ঢাকায় ষ্টিল শীটের ব্যবসা করতেন। প্রায় ৬ মাস আগে ব্যবসায় লোকসান দিয়ে তিনি দুবাই চলে যান। এরপর থেকে শিমুল কালাইয়া কলেজ রোড এলাকায় তার বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। রোববার সকালে এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে পুলিশ বেড রুম থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় শিমুলের লাশ উদ্ধার করে।

শিমুলের বাবা বাবুল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, শিমুলের স্বামী নজরুল দেশে ব্যবসা বানিজ্য করে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ধারদেনা পরিশোধ না করেই দুবাই চলে যায় নজরুল। এরপর পাওনাদাররা শিমুলকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এ নিয়ে স্বামী নজরুলের সঙ্গে শিমুলের প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ কারনে শিমুল রোববার ভোরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যা না-কি আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Continue Reading