Connect with us

ঢাকা বিভাগ

ফেসবুকে অপুষ্টিতে অসুস্থ্য শিশুর ছবি ও স্ট্যাস্ট্যাস : পাশে দাড়ালেন সৌদিআরব প্রবাসীসহ ৩ জন

Published

on

সুইটি আক্তার. মাদারীপুর প্রতিনিধি ॥madaripur-news-1(2)

মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা এমদাদ মৃধার দশ মাস বয়সের রমজান মৃধা নামের শিশুটির অপুষ্টির সমস্যার কথা নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাস্ট্যাস ও ছবি পোস্ট করেন সাংবাদিক আয়শা আকাশী। তা দেখে সৌদিপ্রবাসীসহ ৩ জন শিশুটিকে সহযোগিতার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা এমদাদ মৃধার স্ত্রী রোকেয়া বেগম শিশু রমজানকে নিয়ে চিকিৎসার সাহায্যের জন্য সাংবাদিক আয়শা আকাশীর খোজে তার বাড়িতে আসেন। আয়শা আকাশী শিশুটির ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেই ছবি ও স্ট্যাস্ট্যাস দেখে মাদারীপুরের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী জিএম পলাশ, ঢাকা থেকে মনিরুল ইসলাম ও নেত্রকোনা থেকে মশিউর রহমান তালুকদার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তারা বিকাশের মাধ্যমে শিশুটির জন্য আর্থিক অনুদান পাঠান। ইতিমধ্যে সেই টাকায় শিশুটিকে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া হয়েছে। এছাড়াও শিশুটির জন্য পুষ্টিকর খাবার কেনা হবে বলে জানা যায়।
শিশুটির মা রোকেয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন দিন মজুর। তিন সন্তান আমার। সংসারের খাবার যোগার করতেই হিমশিম খেতে হয়। রমজানকে ডাক্তার দেখানো কিংবা পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে পারিনা। তাই রমজান দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে সাংবাদিক আয়শা আকাশী আপার মাধ্যমে কয়েকজনের সহযোগিতা পেয়ে রমজানকে চিকিৎসা করাচ্ছি। আমার সমস্যা থাকায় রমজানকে মায়ের দুধটুকুও খাওয়াতে পারিনা। তাই ডাক্তার একটি দুধের নাম লিখে দিয়েছে। এখন ঐ দুধ কিনে খাওয়াতে পারবো। এতে হয়তো রমজানের কিছুটা হলেও পুষ্টি পূরণ হবে।
এসময় ঐ মা কান্নাজণিত কন্ঠে আরো বলেন, এভাবে যদি মানুষ মানুষের পাশে দাড়ায় তাহলে অনেকের উপকার হয়। কিছুটা হলেও দুঃখ দুর হয়।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক আয়শা আকাশী বলেন, শিশুটি এতোটাই অপুষ্টির শিকার যে শিশুটিকে দেখে খুব মায়া হয়। তাই ফেসবুকে শেয়ার করি। শেয়ার করার পর মাদারীপুরের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী জিএম পলাশ, ঢাকা থেকে মনিরুল ইসলাম ও নেত্রকোনা থেকে মশিউর রহমান তালুকদার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তাই আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *