দেশজুড়ে
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা: বাদ পরেছে ১৩ হাজার শিক্ষার্থী
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আল-মোজাহিদুল মারদুল বলেন, গত বছর ভর্তি ফরমের মূল্যে ছিল ৬০০ টাকা ২০১৭/২০১৮ সালে ভর্তি ফরমের মূল্যে নেওয়া হচ্ছে ৭০০ টাকা। এর বিরুদ্ধেও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন আন্দোলন করে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে প্রশাসনের সুনিদিষ্ট কোন বক্তব্যে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে কৃষকের সন্তান তা ছাড়া বন্যায় কবলিত বাংলাদেশের অবস্থা তেমন ভাল নেই । এই ব্যাপারে আমরা বলতে চাই যে, ২০১৭/২০১৮ সালে যারা ৭০০ টাকায় ভর্তি ফরম ক্রয় করেছে তারা প্রত্যেককেই ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে। অন্যথায় ১৩ হাজার পরীক্ষীর ৭০০ টাকা করে ফেরত দেওয়ার জন্য ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন আন্দোলন করে যাবে। গত দুই বছর আগে ও এই রকম পরিস্থিতি হয় পরে আবার সকল পরীর্ক্ষী ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পায়।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুবর্না ব্যানার্জী বলেন, যেহেতু প্রশাসন সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় চলে সেহেতু অবশ্যই তাদের কথা ভাবতে হবে এবং সুর্নিদিষ্ট জবাবদিহি করতে হবে। বাংলাদেশ কুষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রয়েছে সেই সুনাম আমরা নষ্ঠ হতে দিতে পারি না। কাজেই অবশ্যই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
ভর্তির বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সাধারন শিক্ষার্থীরা মনে করছে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন আয় বৃদ্ধির কৌশল। প্রায় তের হাজার আবেদনকারীর টাকা ফেরত দেওয়ার দাবী জানান তারা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছ করতেই সমষ্টিগতভাবে জিপিএ বাড়িয়ে মেধার ভিত্তিতে প্রায় ১৩হাজার আবেদনকারীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ যাওয়া আবেদনকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার কোন প্রক্রিয়া না থাকায় টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহŸায়ক প্রফেসর ড. সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, যারা আবেদন করেও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না তাদের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। যারা আবেদন করছে তাদের সকলের টাকা ফেরৎ দেওয়াও সম্ভব নয় । আবেদনকারীদের টাকার একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে ব্যয় করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি আর ও জানান আগামী ৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টিঁ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।