Connect with us

দেশজুড়ে

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

Published

on

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা শহীদ আলাউদ্দিন চত্বর (নিউ মার্কেট)-এ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর ৫৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী  সোমবার পালিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাপের সভাপতি এ্যাড. আব্দুর রহমান-২। বক্তব্য রাখেন ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইদুর রহমান। আরো বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক, প্রফেসর মোঃ ইদ্রিস আলী, মুক্তিযোদ্ধা সরদার কাজেম আলী, মোঃ হায়দার আলী শান্ত,ম ভূমিহীন নেতা আব্দুস সাত্তার, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু সেলিম, প্রমুখ। বক্তরা ন্যাপের ইতিহাস স্মৃতি চারণ করে বলেন, বিগত ২৭শে জুলাই সোমবার বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এর ৫৮তম বর্ষ পূরণ হয়। ১৯৫৭ সালের ঐ দিনে যারা পাকিস্থান ভিত্তিক সর্বপ্রথম গণতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ও অসাম্প্রদায়িক দল হিসাবে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। পাকিস্থানের স্বাধীন ও জোট নিরপেক্ষ বৈদেশিক নীতির প্রশ্নের মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি ১৯৫৭ সালে ৭ই ও ৮ই ফেব্রয়ারী টাঙ্গাইলের কাগমারীতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনের প্রাক্কালে ৫ই ফেব্র“য়ারী কাগমারীতে এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে ভাসানী দৃঢ় কন্ঠে ঘোষনা করেন, আমি কোন প্রকার যুদ্ধজোট বিশ্বাস করি না। বিশ্বশান্তির পরিপন্থি যেকোন প্রকার যুদ্ধজোট মানব সভ্যতা ও মুক্তির পথে বাধা স্বরুপ। এই ফেব্র“য়ারী সন্ধ্যায় কাগমারী সমবেত প্রায় চার হাজার আওয়ামী কর্মির সামনে এক ভাষনে তিনি সিয়াটো, বাগদাদ চুক্তি এবং প্রাক মার্কিন সামরিক চুক্তির অন্ধ বিরোধিতা করেন।

মাওলানা ভাসানী পূর্ব বাংলার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরনের আশু প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহন করার এবং অবিলম্বে পূর্ন আঞ্চলিক, স্বায়ত শাসন দাবী জানান এবং শতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন স্বায়ত চাই। না হলে আসসালামুআলাইকুম। ১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানের আইন সভায় বর্তমান ন্যাপের প্রধান অধ্যপক মোজাফ্ফর আহমেদ পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক স্বায়ত্ব শাসনের তার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধু এই প্রস্তাব জোড়ালো ভাবে সমর্থন করেন। রাজনীতিতে শুরু হয় নতুন মেরু করণ। মাওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ১৯৫৭ সালের ২৫শে এবং ২৬শে জুলাই পুরান ঢাকা রুপমহল সিনেমা হলে এক গণতান্ত্রির কর্মী সম্মেলন আহব্বান করেন। এই কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ভাসানী, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ, আতাউর রহমান, তবির আহমেদ, দেওয়ান মাহাবুব আলী, পীর হাবিবুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, ওলি আহাদ, আহমেদুল কবীর, সৈয়দ আলতাফ হোসেন, পূনেন্দু দস্তিদার, চৌধুরী হারুন-অর-রসিদ, বেগম সেলিনা বানু, ডাঃ এম,এ ওদুদ, হাতেম আলী খান, সৈয়দ আশরাফ হোসেন, মির্জা গোলাম হাফিজ। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আব্দুল গফ্ফার খান, মিয়া ইফতেখার উদ্দিন, জি এম সৈয়েদ আব্দুল মুজিদ সিন্দি, মাহমুদুল হক ওসমানী, আব্দুল সামাদ আচকাজাই, কাউম বকস্ প্রিন্স করিম, আতাউল্লাহ খান, মাহমুদ আলী কামুরী। দুই দিন অধিবেশনের পর ২৭শে জুলাই সারা পাকিস্তান ভিত্তিক সর্বপ্রথম গণতান্ত্রিক ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অসম্প্রদায়িক দল হিসাবে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর আত্মপ্রকাশ ঘটে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *