Connect with us

ফিচার

বিশ্ব সেরা ১০ জন ধনী ব্যাক্তি

Published

on

বিশ্ব সেরা ১০ জন ধনী ব্যাক্তি

বর্তমান পৃথিবীতে ধনী ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে, সাথে বাড়ছে প্রতিযোগিতাও। এখন সারা বিশ্বের সেরা ৮৫ ধনীর সম্পদের পরিমাণ দরিদ্র সাড়ে তিনশত মানুষের সম্পত্তির সমান। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে গোটা বিশ্বে মোট ১ হাজার ৪২৬ বিলিওনিয়ার রয়েছে। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫.৪ ট্রিলিয়ন। এসব তথ্য উপাত্ত আমাদেরকে প্রতিনিয়তই ভাবিয়ে তোলে। তবে কি আর করার?  চলুন জেনে নেই সেরা ১০ বিলিনিওনিয়ার সম্পর্কে খুবই অল্প কিছু কথাঃ

১. কার্লোস স্লিম হেলু এবং পরিবারঃ কার্লোস স্লিম হেলু এবং পরিবার আছেন নম্বর তালিকায়। তিনি থাকেন মেক্সিকো সিটিতে।সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সম্পদের পরিমাণ ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৯৪০ সালে জন্ম নেওয়া এই টেলিকম ব্যবসায়ী হোটেল ব্যবসা ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসা দিয়ে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেন। মূলত ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল তার জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সময়ে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন ফ্রান্স টেলিকম এবং সাউথ ওয়েস্টার্ন বেল করপোরেশনের সঙ্গে। আর কাজটি ছিল সরকারি। সুতরাং সফলতার সিঁড়ি খুব সহজেই পেয়ে যান। পরবর্তী সময়ে এই কাজের সুবাদে অন্যান্য বেসরকারি টেলিফোন সংস্থাও তার দিকে হাত বাড়ায়। ধীরে ধীরে তার ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে গোটা লাতিন আমেরিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ব্যক্তি জীবনে ছয় সন্তানের জনক কার্লোস ছোটবড় দু’একটা ঘটনা ছাড়া খুব একটা সমালোচিত হননি। টেলিকম ব্যবসা দিয়ে তার উত্থান ঘটলেও এখনো ধরে রেখেছেন সেসব আদি ব্যবসা। এখনো মেক্সিকোতে রয়েছে তার হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও বেশ কয়েকটি হাউজিং কোম্পানি। ৭৪ বছর বয়সেও দক্ষ হাতে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন কার্লোস স্লিম হেলু ।

২. বিল গেটসঃ শুধু বিশ্বের সেরা মেধাবীদের অন্যতম নন, শীর্ষ ধনীদেরও একজন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জনক এবং মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস । তিনি বাস করেন মার্কিন  যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ১৯৫৫  সালে তিনি ওয়াশিংটনের এক  উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই প্রখর মেধার অধিকারী ছিলেন গেটস। কোনো একটি বিষয় তার মাথায় ঢুকলে সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনো কাজে মনোনিবেশ করতেন না। ২০ বছর ধরে শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ১৫ বারই প্রথম স্থানটি ছিল বিল গেটসের দখলে। কিন্তু ২০০৮ সালে মেক্সিকার টেলিকম ব্যবসায়ী কার্লোস স্লিমের পেছনে পড়েন তিনি। পরবর্তী চার বছর শীর্ষ ধনীর আসনটি কার্লোস স্লিমের দখলেই ছিল। এ বছর তিনি আবার ফিরে আসেন তার শীর্ষস্থানে। অ্যাপল ও গুগলের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বাজারে পিছিয়ে পড়তে থাকায় বেশ ক’বছর দাতব্য ও সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যস্ত থাকার পর গেটস গত বছর থেকে তার প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের প্রোডাক্ট ম্যানেজারদের সঙ্গে সময় দিয়েছেন বেশি। 

৩. এমান্সিও ওর্তেগাঃ  এই তালিকায় এমান্সিও  ওর্তেগা আছেন ৩ নম্বর পর্যায়ে।  ১৯৩৬ সালে স্পেনে জন্মগ্রহণ করেন  এই ব্যবসায়ী।তিনি থাকেন স্পেনের লা করুনায়। তার  বাবা ছিলেন রেল কর্মচারী। এ কারণে স্পেনের কোনো শহরেই স্থায়ী হতে পারেননি তারা। ছুটে বেড়িয়েছেন স্পেনের এক শহর থেকে আরেক শহরে।ফ্যাশন হাউসকে ঘিরে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ ঠান গড়ে তুলছেন সবাই এমান্সিও ওর্তেগাকে গুরু মানেন। কারণ রীতিমতো ফ্যাশন বিপ্লব ঘটিয়েছেন এই স্প্যানিশ ধনকুব। তিন সন্তানের জনক ওর্তেগার মোট সম্পদের পরিমাণ ৬৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১১ সালের তিনি বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন হাউস ইন্ডিট্যাক্স চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ ছাড়া তিনি স্পেনের  জারা ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার। বর্তমানে ফ্যাশনের গণ্ডি পেরিয়ে বিভিন্ন  সেক্টরে পা দিচ্ছেন তিনি। তার  মালিকানায় রয়েছে এপিক হোটেল, একটি ৫৪তলার বিলাসবহুল ভবনসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।

 ৪. ওয়ারেন বাফেট : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ারেন বাফেট এই তালিকায় আছেন ৪ নম্বর পর্যায়ে।১৯৩০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওমাহা শহরে জন্ম নেয় বাফেটে ব্যবসায় প্রশাসনে গ্রাজুয়েশন করেন ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কায় থেকে আর মাস্টার্স করেন অর্থনীতিতে কলাম্বিয়া ইউনিভার্ সিটি থেকে। তিনি জীবনে প্রথম শেয়ার কিনেছিলেন মাত্র ১১ বছর বয়সে। ছোটবেলায় তিনি প্রতিবেশীদের ঘরে ঘরে পেপার বিলি করতেন। ১৯৫৮ সালে বাফেটে একটি বাড়ি কিন বাস করছেন।বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৫৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি তার সম্পদের ৯৯ ভাগ জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য দান করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। ব্যবসা জগতে ‘ওমাহার বিচক্ষণজন’ বলে পরিচিত হলেন ওয়ারেন বাফেট। তাকে বিংশ শতকের সবচেয়ে সফল বিনিয়োগকারী হিসেবে বিবেচন া করা হয়। তিনি মাল্টি-বিলিয়ন ডলার কনগ্লোমারেট ‘বার্কশায়ার হ্যাথাও’-এর মূল মালিক এবং চেয়ারম্যান।

৫. ল্যারি এলিসনঃ ল্যারি এলিসন আছেন এই তালিকায় ৫ নম্বর পর্যায়ে। তিনি থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ার উডসাইডে।দুই সন্তানের জনক ৬৯ বছর বয়স্ক ল্যারি এলিসনের সম্পদের পরিমাণ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার পুরো নাম লরেন্স জোসেফ এলিসন। তবে প্রযুক্তি বিশ্ব তাকে একনামে চেনে ল্যারি এল িসন হিসেবেই। ১৯৪৪ সালের ১৭ আগস্ট জন্মগ্রহণ করা ল্যারি তার শিক্ষাজীবনে ছিলেন অত্যন্ত অমনোযোগী। বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভর্তি হলেও শেষ পর্যন্ত সফলভাবে তিনি শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি। এর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোতে পড়ার সময়ে তিনি প্রথম পরিচিত হন কম্পিউটার ডিজাইনের সঙ্গে। ১৯৬৪ সালে তিনি স্থায়ীভাবে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়াতে চলে আসেন। সত্তরের দশকে তিনি এমডাল করপোরেশনে কাজ শুরু করেন। এখানে তার একটি কাজ ছিল সিআইএ’র জন্য ডাটাবেজ তৈরি করা। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি উৎসাহী হয়ে ওঠ েন ডাটাবেজ নিয়ে কাজ করতে। ১৯৭৭ সালে তিনি গড়ে তোলেন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরিজ। পরে ১৯৭৯ সালে এরই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ওরাকল। তিনি ওরাকল করপোরেশনের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী।

৬. চার্লস কোচঃ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভাই হলেন কোচ ভাইয়েরা। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রাইভেট কোম্পানির কোচ শিল্পগোষ্ঠীটি মালিক তারা। তাদের কোম্পানির বর্তমান মূল্য ১১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কোচ ভাইদের মধ্যে বড় চার্লস ডি গানাহ কোচ বা চার্লস কোচ ‘কোচ ইন্ডাস্ট্রির সহ- স্বত্বাধিকারী, বোর্ড চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জন্ম পহেলা নভেম্বর ১৯৩৫। এমএসসি করেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে। পড়াশোনা শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেন আন্তর্জাতিক ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট ফর্ম অরথুর ডি. লিটিলে। ১৯৬১ সালে তিনি ফিরে আসেন উইচিতায় এবং বাবার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান রক আইল্যান্ড ওয়েল এন্ড রিফাইনিং কোম্পানিতে যোগদা ন করেন। কোচের ব্যবসায় দর্শন হলো বাজারভিত্তিক ব্যবস্থাপনা (এমবিএম)। যা তিনি ২০০৭ সালে বিশদভাবে তুলে ধরেন তার গ্রন্থ ‘সায়েন্স অফ সাকসেস’-এ। সর্বশেষ তথ্যানুসারে দুই সন্তানের জনক ৭৮ বছর বয়স্ক চার্লস কোচের সম্পদের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস অঙ্গরাজ্যের উইচিতা শহরে। ব্যবসার পাশাপাশি জনদরদি হিসেবেও চার্লসের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তিনি বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি।

৭. ডিভিড কোচঃ শীর্ষ ধনীদের তালিকায় বড় ভাই চার্লস কোচের পরেই রয়েছেন ডিভিড হ্যামিলটন কোচ বা ডিভিড এইচ. কোচ। মার্কিন এই দাপটে ব্যবসায়ী, মানবমিত্র, রাজনৈতিক কর্মী এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস অঙ্গরাজ্যের উইচিতা শহরে ১৯৪০ সালের তেসরা মে। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা কর েন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে। বড় ভাই চার্লস কোচের সঙ্গে তিনিও ‘কোচ ইন্ডাস্ট্রি’র সহ- স্বত্বাধিকারী। কোচ ইন্ডাস্ট্রিতে দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের খনি, জ্বালানি ও রাসায়নিক খাতে কানসালট্যান্টভিত্তিক কোচ শিল্পগোষ্ঠীটির বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। সর্বশেষ তথ্যানুসারে তিন সন্তানের জনক ৭৩ বছর বয়স্ক চার্লস কোচের সম্পদের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। ২০১৩ সাল থেকে তিনি নিউইয়র্ক শহরের সবচেয়ে বিত্তশালী ব্যক্তি। দানবীর হিসেবে ডিভিড কোচের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। লিংকন সেন্টার, নিউইয়র্ক প্রেসব্রাইটান হাসপাতাল, আমেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রিসহ বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের তহবিল জোগান। মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে কোচ ভাইদের রয়েছে যথেষ্ট প্রভাব। রিপাবলিকান দলের সমর্থক কোচ ভাইয়েরা তহবিল জোগান দলীয় তহবিলেও।

৮. শেলডন অ্যাডেলসনঃ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাসিনো মুঘল এবং লাস ভেগাস, ম্যাকাও এবং সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন হোটেলের মালিক শেলডন অ্যাডেলসন ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক। জুয়ার সম্রাট বলা হয় তাকে। ২০১৩ সালে অ্যাডেলসন প্রতিদিন গড়ে আয় করেছেন ৪১ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ৩০৫ কোটি টাকা। গত বছর তার আয় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়ায় তিনি এই বছর জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায়। বর্তমানে পাঁচ সন্তানের জনক ৮০ বছর বয়স্ক অ্যাডেলসন থাকেন লাস ভেগাসে। তার জন্ম ১৯৩৩ সালে ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে। বাবা ছিলেন ট্যাক্সিচালক আর মা ক্যাটারিনের দোকান চালাতেন। ১২ বছর বয়সে ২০০ মার্কিন ডলার নিয়ে দৈনিক পত্রিকার ব্যবসা শুরু করেন। সিটি কলেজ অফ নিউইয়র্কের ড্রপ- আউট এই ছাত্র ৫০টির মতো ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা করেছেন। মার্কিন রাজনীতিতে রয়েছে তার একটা শক্ত অবস্থান। ক্যাসিনো ডেভেলপার শেলডন অ্যাডেলসন ২০১২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেন রিপাবলিকান প্রার্থীকে হোয়াইট হাউসের কর্তা করার জন্য। বর্তমানে তিনি তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান লস ভেগাস স্যান্ডাসের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়ি ত্ব পালন করছেন।

৯. ক্রিস্ট ওয়াল্টন এবং পরিবারঃ ৩৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক এক সন্তানের জননী ৫৯ বছর বয়সী ক্রিস্ট ওয়াল্টন। তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী। ২০০৫ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মার্কিন চেইন স্টোর জায়েন্ট ওয়াল-মার্ট করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়াল্টনের ছেলে জন টি. ওয়াল্টন মারা গেলে তার স্ত্রী ক্রিস্ট ওয়াল্টন ১৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক হন। ছেলে লুকাস ওয়াল্টনকে নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ের ওয়াইওমিং অঙ্গরাজ্যে বসবাস করেন। ১৯৫৫ সালে জন্ম নেওয়া ক্রিস্ট ওয়াল্টনের আয়ের উৎস বিশ্বের সবচেয়ে বড় চেইন স্টোর ওয়াল-মার্ট ও ফার্স্ট সোলার কোম্পানি। বর্তমানে ওয়াল- মার্টের রয়েছে ১১,০০০টি স্টোর। এতে রয়েছে ২.২ বিলিয়ন কর্মচারী। গত বছর বিশ্বজুড়ে ওয়াল-মার্টের বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখান থেকে ট্যাক্সাদ দিয়ে ক্রিস্ট ওয়াল্টনের আয় হয় ৬৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দাতব্য কর্মকাণ্ডে ক্রিস্ট ওয়াল্টনের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার তিনি সহায়তা করেছেন মানবকল্যাণে। বর্তমানে তিনি বেশ কিছু সামাজিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব ও তহবিল গঠনে ভূমিকা পালন করে থাকেন।

১০. জিম ওয়াল্টনঃ জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরকানাস অঙ্গরাজ্যের নিউটাউনে ১৯৪৮ সালের। সর্বশেষ তথ্যানুসারে চার সন্তানের জনক ৬৬ বছর বয়স্ক জিম ওয়াল্টনের সম্পদের পরিমাণ ৩৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। থাকেন আরকানসাসের বেনটোনভিলে। মার্কিন চেইন- স্টোর জায়েন্ট ওয়াল-মার্ট করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়াল্টনের ছোট ছেলে জিম ইউনিভারসিটি অফ আরকানসাস থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে গ্রাজুয়েশন করে ১৯৭২ পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন। ১৯৭৫ সালে ওয়াল্টন এন্টারপ্রাইজের প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। ওয়াল-মার্টের বোর্ড অফ ডিরেক্টরের দায়িত্ব পান ২০০৫ সালে। বর্তমানে তিনি পারিবারিক মালিকানাধীন আরভেস্টে ব্যাংকের সিইও। ১.৮ বিলিয়নের সম্পদের এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস, কানসার্স, ওকলাহোমা ও মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে। ২০১২ সালে আরভেস্টে ব্যাংকের আয় ছিল ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওয়াল-মার্ট-আরভেস্টে ব্যাংক ছাড়াও জিম ওয়ালটনের মালিকানায় রয়েছে সংবাদপত্র ফার্ম কমিউনিটি পাবলিসার্স ইন্টার করপোরেশন (সিপিআই)। ২০১৩ সালে বিশ্বজুড়ে ওয়াল-মার্টের বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; সেখান থেকে ট্যাক্সাদ দিয়ে জিমের আয় হয় ৪৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্যবসার পাশাপাশি জনদরদি হিসেবেও তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। ২০০৮-২০১৩ পর্যন্ত তিনি তার ভাই- বোনদের সঙ্গে মিলে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার দান করেছেন ওয়াল্টন ফ্যামিলি ফাউনডেশন থেকে।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *