Connect with us

রংপুর

বেরোবিতে আমরণ অনশন অব্যাহত-হাসাপাতালে ভর্তি ৩, অসুস্থ ৯ 

Avatar photo

Published

on

বেরোবিতপন কুমার রায়,বেরোবিঃ উপাচার্যকে অপসারণ ও শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচারের দাবিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চতুর্থ  দিনের আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে । আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় একই দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও অপসারণ সমাবেশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত রবিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু করা টানা অনশন কর্মসূচির ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নয় জন।এছারাও সময় গড়ার সাথে সাথে অসুস্থের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত নিরাপত্তা শাখার কর্মচারী আব্দুল ওহাব এবং ল্যাব এ্যাটেনডেন্ট আব্দুল মালেক মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহজাহান আলীকে মঙ্গলবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে অসুস্থতা সত্ত্বেও অনশন করছেন  রসায়ন বিভাগের শিক্ষক তারিকুল ইসলাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান (রিপন), ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মিল্লাদ হাসান, মো. হাবিবুর রহমান, এবং কর্মচারী আসাদুজ্জামান কবির ।

এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশ  থেকে দ্রুত উপচার্যকে অপসারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘যে উপাচার্য ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থেকে উদ্ভুত সমস্যার সমাধানের কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করে দিনের পর দিন ঢাকায় অবস্থান করে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিক আছে বলে মন্তব্য করেন তার উপাচার্যের পদে থাকার কোন নৈতিক অধিকার নেই। যে উপাচার্য সন্ত্রাসী দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে পারে তাঁর মত নির্লজ্জ উপাচার্য আমরা চাইনা।’ সমাবেশ স্থল থেকে বক্তারা আরো বলেন, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ার জন্য উপাচার্যই দায়ী। তিনি শিক্ষকদের সাথে কোন ধরনের আলোচনা ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করেছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হয়ে গেলেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা এখনো অনিশ্চিত। শুধুমাত্র উপাচার্যের উদাসীনতার কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে সৃষ্টি হয়েছে প্রায় এক বছরের সেশনজটসহ অচলাবস্থার।

গত রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের সামনে এই অনশন শুরু করেন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেওয়ার পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঢাকায় অবস্থান করায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরাপত্তার বিষয়ে সাড়া না দেওয়ায় আবারো নিরাপত্তাহীতায় ভুগছেন অনশনকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে অনশনকারীদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার বিষয়ে জানালেও তারা নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করে। তবে অনশনের নিরাপত্তার বিষয়ে রংপুরের পুলিশ সুপার ও রংপুর কোতয়ালি থানার ওসিকে অনশনকারীদের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, সেশনজট নিরসন ও অবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণসহ আট দফা দাবিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে একই স্থানে কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী অনশন কর্মসূচি শুরু করলে উপাচার্যপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বহিরাগতরা তাদের সেখান থেকে উঠে যাওয়ার হুমকি দেয়। কিন্তু অনশনকারীরা তাদের অবস্থানে অনঢ় থাকলে মধ্যরাতে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এ সময় শিক্ষকদের ডরমিটরি থেকে তাদের বাঁচাতে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক এইচএম তারিকুল ইসলাম এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে ওই দুই শিক্ষকসহ অন্তত ১৯ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ছয় জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা রবিবার মেডিকেল থেকে রিলিজ নিয়ে এসে একই স্থানে আবার অনশন শুরু করেন। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একাত্মতা ঘোষণা করেন। এছাড়াও উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলন করা ‘সমন্বিত অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ’ সমর্থন দেয়।

অনশনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনাসহ শিক্ষার্থীদের কিছু যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনশনে বসেছিলাম কিন্তু উপাচার্যের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কিছুটা সুস্থ হয়ে আবার আমাদের দাবি নিয়ে বসেছি। এবার শুধু ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা নয়, যে উপাচার্য সন্ত্রাসী দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে পারে তাঁর অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব।’ ‘আমাদের দাবি একটাই উপাচার্যের অপসারণ। তাঁর মত অযোগ্য উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

উল্লেখ্য, উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবীকে অপসারণের দাবিতে গত তিন মাস থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা। গত ২৭ অক্টোবর ২০১৪ তারিখ থেকে শিক্ষক সমিতি বিভিন্ন দাবিতে এই আন্দোলন শুরু করলেও তাতে উপাচার্য কর্ণপাত না করায় পরে এটি সর্বজনীন আন্দোলনে রূপ নেয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষক সমিতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে আন্দোলন পরিচালনার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে ‘সমন্বিত অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ’ গঠন করা হয়। আন্দোলন শুরু হওয়ার পরেই উপাচার্য তাঁর একক সিদ্ধান্তে ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করেন। গত ৪, ৫ ও ৬ ডিসেম্বর  এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। দ্রুত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণসহ হল, ক্যাফেটেরিয়া অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাক দেয় শিক্ষার্থীরা। এসব আন্দোলনে মূলত অচল হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. একেএম নূর-উন-নবী’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই ঢাকায় পড়ে আছি। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৮৩ টি নতুন পদ এবং শিক্ষকদের বকেয়া পাওনাদি(খাতা দেখার সম্মানী) বাবদ বেশকিছু টাকাও অনুমোদন নিয়েছি। অনশনরতদের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি বিনয়ের সাথে বলতেছি, আপনারা অনশন ভঙ্গ করুন। এভাবে চলতে পারে না। অনশন ভঙ্গ করে আসুন আমরা আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

লালমনিরহাটে টাখনুর নিচে প্যান্ট ঝুলে থাকায় বর্বরোচিত হামলা, আহত ৭

Avatar photo

Published

on

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
‘টাখনুর নিচে প্যান্ট ঝুলে আছে কেন?’ এই বিষয় নিয়ে তর্ক জুড়ে দিয়ে লালমনিরহাটে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর। এতে হেযবুত তওহীদের ৭ সদস্য রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে লালমনিরহাটের পাটুরিয়া বাজারে উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে গণসংযোগকালে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।

সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, দাড়ি টুপি পড়া কয়েকজন লোক, হ্যান্ডবিল হাতে প্রচারকার্যে নিয়োজিত হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর চড়াও হয়ে তাদের স্থান ত্যাগ করতে বলছে। একজন পাঞ্জাবি টুপি পরিহিত দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে উত্তেজিতভাবে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা কিসের কথা বলেন, ইসলাম কি আলাদা? জবাবে হেযবুত তওহীদের কর্মীকে বলতে শোনা যায়, ‘ইসলাম আলাদা হবে কেন? ইসলামতো আল্লার রসুল (সা.) প্রেরিত এক ইসলামই।’ এরপর পাঞ্জাবি টুপি পরিহিত দাড়িওয়ালা সেই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের টাখনুর নিচে কাপড় কেন?’ এই বলে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রচারকর্মীদের।

জবাবে হ্যান্ডবিল হাতে থাকা হেযবুত তওহীদের এক সদস্যকে বলতে শোনা যায় যে, ‘আমরা অন্যায় কিছু করছি না। গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন? আমরা কোনো অন্যায় করলে থানায় যান’।

পরমুহূর্তেই পাঞ্জাবি পড়া দাড়িওয়ালা অপর এক ব্যক্তি তাকে ধাক্কা দেয় এবং তাদের সাথে থাকা লোকজনকে লাঠি নিয়ে আসতে বলে। পরক্ষণেই ৪-৫ জন করে কয়েকটি দল লাঠিসোটা, লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। ভিডিওতে উস্কানি দেওয়া ব্যক্তির হাতে লোহার পাইপ লক্ষ করা যায়। এবং পাইপের মাথা বাঁকানো দেখা যায়। যা দ্বারা বোঝা যায় কাউকে আঘাত করার পর পাইপটি বেঁকে গেছে।

স্থনীয়রা জানায়, হেযবুত তওহীদের লোকেরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাদের প্রচারকার্য চালাচ্ছিল। এসময় কয়েকজন হুজুর এসে তাদের প্রচারকার্যে বাধা দেয়। তাদের সুরত ও লেবাসে চরমোনাই পীরের অনুসারী বলে মনে হয়। ‘টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলে আছে কেন?’ এমন প্রশ্ন তুলে তর্ক জুড়ে দেয় তারা। কথায় কথায় ঘটনাস্থলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে হুজুরদের নির্দেশে একদল লোক হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর হামলা করে। হামলায় হেযবুত তওহীদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। জানা যায়, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

লালমনিরহাটের জেলা আমীর একরামুল হক বলেন, চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা প্রচারকার্য চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ পাঞ্জাবি, টুপি পরা কয়েকজন লেবাসধারী লোক এসে আমাদের কাজে বাঁধা দেয়। আমরা তাদের বলি, আমরা কোনো অন্যায় করছি না। আমরা যা করছি প্রশাসনকে জানিয়ে করছি। আমরা যদি কোনো অন্যায় করে থাকি তাহলে আপনি থানায় যান। আপনার আমাদের কাজে বাধা দেবার কোনো রাইট নাই। এই কথা শুনে তারা আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পড়নের প্যান্ট টাখনুর নিচে ঝুলে পড়ল কেন? এটা কেমন ইসলাম এসব কথা বলে তাদের আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা লোকেদের লাঠি নিয়ে আসতে বলে। পরক্ষণেই ৪-৫ জনের কয়েকটি দল হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর হামলা চালায়।

হেযবুত তওহীদের রংপুর বিভাগীয় আমীর মশীউর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রশাসনকে অবগত করে শান্তিুপূর্ণভাবে জনসংযোগ করছিল হেযবুত তওহীদ। হঠাৎ বিনা উস্কানিতে লেবাসধারী ধর্মান্ধ একটি গোষ্ঠী কর্মসূচিতে বাধা দেয়। ৭জন সদস্যকে তারা বেদম প্রহার করেছে। যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

লেবাসধারী এই ধর্মব্যবসায়ীরা আসলে চায়না প্রকৃত ইসলামটা মানুষ জানুন। তাহলে তাদের ধর্মব্যবসা, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের মুখোশ খুলে যাবে। সেজন্যই পরিকল্পিতভাবে তারা আমাদের এই জনসংযোগে হামলা করেছে। হামলাকারীদের লেবাস দেখে, পোশাক-আসাক দেখে মনে হচ্ছে তারা চরমোনাই পন্থী। তবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তথ্য সংগ্রহ চলছে। এ বিষয়ে লালমনিরহাট থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, উগ্রবাদ, ধর্মান্ধতা, ধর্মব্যবসা, অপ-রাজনীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, হুজুগ, গুজব এবং নারী নির্যাতনসহ সকল প্রকার অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে দেশব্যাপী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ। চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লালমনিরহাটেও গণসংযোগ করে আন্দোলনটির নেতাকর্মীরা। গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে লালমনিরহাটের পাটুরিয়া বাজারে ‘বাংলাদেশসহ সমগ্র মানবজাতির সংকট ও পরিত্রাণের পথ’ নামে সচেতনতামূলক একটি হ্যান্ডবিল প্রচার করছিলেন হেযবুত তওহীদের সদস্যরা।

Continue Reading

দেশজুড়ে

রংপুরে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেলেন হেযবুত তওহীদের তিন সদস্য

Avatar photo

Published

on

রংপুরে হেযবুত তওহীদের প্রচার কার্যে বাঁধা প্রদান করে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করা হয় সংগঠনটির তিন সদস্যের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ সাত বছর মামলার রায়ে ওই তিন সদস্যকে অব্যহতি দেন আদালত।

রবিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর জুডিশিয়াল-১ আদালতের বিচারক হাসিনুর রহমান মিলন এ রায় দেন। এসময় আদালতে অব্যহতি প্রাপ্ত দুই সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

অব্যহতি প্রাপ্তরা হলেন, বদরগঞ্জের দিলালপুর নাহিরি এলাকার শহিদুল্লাহ’র ছেলে শরিফুল ইসলাম, বরগুনা জেলার নান্নু মিয়ার ছেলে আল আমিন, দিনাজপুর ফুলবাড়ী থানার কুসলপুর এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে শামিনুর ইসলাম।

আদালত ও মামলা বিবরণে জানাযায়, বিগত ২০১৫ সালের ১৫ই নভেম্বর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলাধীন গোপীনাথপুর শালবাড়ী বাজারে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের জনসচেতনতামূলক কাজ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রতিকতা, উগ্রবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র প্রকাশনা বিক্রয়কালে স্থানীয় একটি মসজিদের খতিবের ইন্দনে কয়েকজন উগ্রপন্থী লোক বাধা সৃষ্টি করে। ওই উগ্রপন্থীরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আটক করে। পরে স্থানীয় পুলিশ এসে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায় এবং ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দেন।

দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর মামলা চলাকালে মামলার বাদী বদরগঞ্জ থানার এসআই তৈয়ব আলী সরকারসহ মোট চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল (১৬ এপ্রিল) হেযবুত তওহীদ সদস্যদের মামলা থেকে বেকুসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।

মামলার আইনজীবী এ্যাডভোকেট বদরুল আমিন সেলিম বলেন, হেযবুত তওহীদ একটি বৈধ আইনমান্যকারী সংগঠন। তাদের প্রচার কাজে সরকার কর্তৃক কোন বিধিনিষেধ নেই। আমার মক্কেলের উপর ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে হয়রানীমূলক মামলা করা হয়েছিলো। আমরা সেই বিষয়টি আদালতকে বুঝাইতে সক্ষম হয়েছি। আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।

এবিষয়ে হেযবুত তওহীদ রংপুর জেলা সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস শামীম বলেন, ‘হেযবুত তওহীদ একটি আইনমান্যকারী আন্দোলন। আইনমান্যকারী আন্দোলন হয়েও দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর ধরে একটি মিথ্যা মামলার ঘানি টানতে হলো আমাদের। এটা আমাদের বিচার বিভাগের একটা নেতিবাচক দিক। এতে নির্দোষ মানুষ অকারণে হয়রানির শিকার হয়। পার পেয়ে যায় উগ্রবাদীরা। আমরা বিচার প্রক্রিয়ার এই দীর্ঘসূত্রতার অবসান দাবি করি। সেই সাথে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোও ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। আমরা চাই দ্রুত সেগুলোরও নিষ্পত্তি করা হোক।’

Continue Reading

দেশজুড়ে

রেইনবো হসপিটালের তথ্য সেন্টার এখন রংপুরে

Avatar photo

Published

on

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ওপার দেশ ভারতের সুনামখ্যাত রেইনবো হসপিটালের তথ্য সেন্টার এখন রংপুরে। অর্থোপেডিক্স, পিডিয়াট্রিক্স নিউরোলজি এবং নিউরোসার্জারি, গ্যাস্ট্রোএন্ট্রলজি এবং লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, পিডিয়াট্রিক হেমাটো, লেপারোসকপি, পিডিয়াট্রিক ইউেনটি, ইনসেনটিভ কেয়ার, নবজাতকের বিশেষ পরিচর্যা, পিডিয়াট্রিক পালমোনোলজি, এন্ডোপ্লাজমিকসহ উর্বরতা পরিচর্যাসহ সার্বিক সুবিধা বিষয়ে আলোচনা হয়।

ভারতের অত্যাধুনিক রেইনবো হাসপাতালের তথ্য ডেস্কটি রংপুর নগরীর ধাপ কাকলী লেন মেডি সাপট বিডি প্রতিষ্ঠানে চালু হয়েছে। এই হাসপাতালটি ভারতের হায়দারাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লীসহ ১৬ টি রাজ্যে এর ইউনিট রয়েছে। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে সুনামের সাথে তারা চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।

রংপুর থেকে কিভাবে এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বাংলাদেশী রোগীরা পাবেন সে বিষয়ে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি হোটেলে মতবিনিময়ে রংপুরের তথ্য ডেস্কের প্রধান ধীরেজ বিশ্বাস বলেন, দেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না থাকায় বাহিরের দেশে গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে নানামুখী সমস্যায় পড়েন রোগিরা। তাই বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করতে যাওয়ার আগেই হাসপাতাল, চিকিৎসা সেবার মান, অর্থ ব্যায়ের পরিমান, বাঙালিদের খাবারের তালিকা, থাকার সু’ব্যবস্থা, ভাষাগত সমসস্যা দূর করতে রংপুরের তথ্য সেন্টার থেকে এই হাসপাতালের তথ্য সেবা পাওয়া যাবে এবং বিদেশে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে আর সমস্যায় পরতে হবে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির তথ্য কর্তৃপক্ষ।

Continue Reading