Connect with us

দেশজুড়ে

মনোহরদীতে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে লক্ষ-লক্ষ টাকা উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ

Published

on

নরসিংদী প্রতিনিধি: পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার নাম করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার প্রায় ৩০০ জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী এক বছর আগে এ জন্য টাকা নিলেও এখনোও সংযোগ দিতে পারেন নি।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের মাঝামাঝির দিকে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের মনতলা পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়া, পূর্বপাড়া, নয়াপাড়া ও পাড়াতলা এলাকার ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়। জনপ্রতি ৫ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মনতলা এলাকার বাকিউল ইসলাম প্রায় ১৫০ জনের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। তিনি মনতলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। খিদিরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান ৫০-৬০ জনের কাছ থেকে নিয়েছেন জনপ্রতি ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা করে। একই এলাকার লিয়াকত আলী কয়েকজনের কাছ থেকে ৫ হাজার এবং শফিক মেম্বার ও মুকুল মিয়া সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।
মনতলা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, মসজিদের বিদ্যুৎ-সংযোগের জন্য আমরা এক বছর আগে খলিলের কাছে ৬ হাজার টাকা জমা দিয়েছি। কিন্তু এখনো সংযোগ আসে নি। মনতলা বাজারের ব্যবসায়ি কালাম মিয়া বলেন, ‘আমি পীরপুর এলাকার তাজুল ইসলামের (বিদ্যুতের মিস্ত্রি) কাছে এলাকার ৪০ জনের সংযোগের জন্য মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা তুলে দিয়েছি। তিনি (যুবলীগ নেতা) খলিলের হয়ে কাজ করেন।
জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমি ৬ হাজার টাকা করে নেই নাই। কেউ দিছে ৩ হাজার, কেউ দিছে ৪ হাজার। বাকির (অধ্যক্ষ বাকিউল) নিছে সাড়ে ১২ হাজার টাকা থেকে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। আপনারা কেউই ওইটা দেখেন না।’
অধ্যক্ষ বাকিউল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি প্রথমে পরিচয় জানতে চান। সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি ‘ভুল নম্বর’ বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর আর ফোন ধরেন নি। এছাড়াও লিয়াকত আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা ধরেন নি।
পল্লী বিদ্যুতের মনোহরদী আঞ্চলিক কার্যালয় বলছে, সংযোগ প্রতি অফেরতযোগ্য আবেদন ফি ১০০ টাকা দিতে হয়। এর বাইরে সদস্য ফি হিসেবে ৫০ টাকা ও মিটার জামানত হিসেবে ৬০০ টাকা নেওয়া হয়, যা ফেরতযোগ্য।
জানতে চাইলে কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. লুৎফুল বারী বলেন, ‘এলাকাবাসীকে সচেতন করতে আমরা একাধিকবার মাইকিং করিয়েছি, যাতে তাঁরা দালালদের মাধ্যমে প্রতারিত না হয়।’ তিনি আরও বলেন, খিদিরপুর ইউনিয়নের সংযোগের জন্য টাকা নেয়ার বিষয়ে তাঁরা অবগত নন। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগও দেয় নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *