Connect with us

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মাত্র তিন ঘণ্টায় পৃথিবীর যেকোনো স্থানে

Published

on

মাত্র তিন ঘণ্টায় পৃথিবীর যেকোনো স্থানে

মাত্র তিন ঘণ্টায় পৃথিবীর যেকোনো স্থানে

বিখ্যাত উড়োজাহাজ কোম্পানি বোয়িং এবার রীতিমতো অসম্ভবকে সম্ভব করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। শব্দের চেয়ে ৫ গুণ দ্রুতবেগে চলতে সক্ষম বাণিজ্যিক বিমান তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মার্কিন এই কোম্পানিটি।

বোয়িং জানিয়েছে, এই বিমানটি যাত্রীদের এক থেকে ৩ ঘনটার মধ্যে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। মাত্র ২ ঘণ্টায় লন্ডন থেকে নিউইয়র্কে যেতে সক্ষম হবে এই আকাশযান। বর্তমানে এই দূরত্ব বিমানে ভ্রমণে সময় লাগে ৭ ঘণ্টা।

বিমান প্রস্ততকারক বিশ্বের বৃহত্তম এই সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের এই বিমান তৈরির প্রকল্প এখন পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চূড়ান্ত সফলতা অর্জনের আগে প্রকৌশলীদের বেশ কিছু প্রযুক্তিগত বাঁধা অতিক্রম করতে হবে। শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে চললে বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যা দূর করতে হবে। কারণ, যাত্রীদের নিরাপত্তা যেকোনো সংস্থার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বোয়িং মুখপাত্র জ্যাকসন এই কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, এই স্বপ্ন পূরণে ২০ থেকে ৩০ বছর লাগতে পারে। তাই আগামী প্রজন্ম আকাশে ওড়ার এক নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, নতুন কিছু নির্মাণে বছরের পর বছর লেগে যায়।

প্রচণ্ড গতিসম্পন্ন এই বিমান তৈরির ব্যাপারে বোয়িং ভীষণ আগ্রহী এবং দীর্ঘদিন ধরে তারা এই পরীক্ষা চালাচ্ছে। বছরের শুরুতে বোয়িং স্বচালিত হাইপারসনিক ড্রোনের একটি নকশা অবমুক্ত করে যা সামরিক কাজে ব্যবহার সম্ভব। বাজারে আসার আগে এই বাণিজ্যিক বিমান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে ব্যবহৃত হতে পারে।

বোয়িং জানায়, চূড়ান্ত সফলতা অর্জনের পর তাদের বিমান ঘণ্টায় ৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলতে সক্ষম হবে। তবে বোয়িং ছাড়াও আরো একাধিক কোম্পানি হাইপারসনিক বিমান তৈরির কাজে হাত দিয়েছে। এদের মধ্যে আছে লকহিড মার্টিন এবং এরিওন করপোরেশন। অন্যদিকে স্পেসএক্স এর কর্ণধার এলন মাস্ক বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠান এমন বিমান তৈরির গবেষণা করছে যা আধা ঘণ্টায় নিউইয়র্ক থেকে সাংহাই (প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার) পৌঁছে যেতে পারবে!-সিএনএন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *