Connect with us

জাতীয়

মাদকের ব্যাপারে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

সরকার মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, মাদক যে ভয়াবহ রূপ নিতে যাচ্ছে তাতে আমাদের মেধা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা ২০৪১ সালে যে বাংলাদেশের রূপ দেখতে চাচ্ছি, আমরা যেতে পারবো না যদি মাদককে প্রতিহত না করি। সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

শনিবার রাজধানীতে পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের দুই দিনের সম্মেলনের আজ ছিল শেষ দিন। আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আসাদুজ্জামান খান।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব ঘটনার তদন্ত করা হবে। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদক বিক্রেতা ও দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করা হচ্ছে। যারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে তাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয়ে থাকে। যেমন র‌্যাবের সঙ্গে ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, এমন ঘটনায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করে থাকেন। এগুলোর বিষয়ে তদন্ত চলছে। বিনাবিচারে কিছু হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো হত্যাকাণ্ড গোপন থাকবে না সবগুলোরই বিচার হবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বড় ধরনের মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার না হলেও গত চার দিনে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ছয়জন।

যশোরে শুক্রবার দিবাগত রাতে র‍্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়। নিহত ব্যক্তিরা মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে র‍্যাব।

কথিত এসব বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের নিহত হওয়ার ঘটনার মধ্যে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাদকের বিষয়ে এ মন্তব্য করলেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমি একটাই কথা বলতে পারি, দেশে কোনো অশুভ শক্তিকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেব না। নির্বাচনের আগের অশুভ শক্তির মাথাচাড়া রোধ করা হবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সবাই যাতে নির্বিঘ্নে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, সে রকম পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনায় বিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রীও আমাদের সেই রকম দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

আসাদুজ্জামান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে খ্রিষ্টান, তার কোনো বিচার ছিল না। সব ধর্মের মানুষের আমাদের সবার রক্ত ভেজা দেশ বাংলাদেশ। এখানে সবার সমান অধিকার।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পুলিশও আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি করে বিচারের আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, মহাখালীতে সাংবাদিক হেনস্তা ও পল্টনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগেও কাউকে ছাড় দেওয়া হয় নাই, এখনো কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

আজকের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন। বার্ষিক প্রতিবেদন পড়েন সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল।

বক্তব্য দেন সাংবাদিক স্বপন কুমার সাহা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা কাজল দেবনাথ, নিমচন্দ্র ভৌমিক, নির্মল চ্যাটার্জি।

এ ছাড়া উদ্‌যাপন পরিষদের জেলা ও উপজেলার ৭২টি কমিটির নেতারাও বক্তব্য দেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *