Connect with us

মতামত

যশোর বোর্ডের ৪০ হাজার মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীর শিক্ষা জীবন বাঁচান

Published

on

Jessore_48020150810001855যশোর বোর্ডের এইচ এস সি রেজাল্ট ও খাতা পূণঃ মূল্যায়নের নামে কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যমূলক অবহেলায় ৪০ হাজার মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীর জীবন ধ্বংশ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা:

যশোর শিক্ষা বোর্ডের পূণঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫। এবার যশোর বোর্ড এর এইচ এস সি ফলাফল বিপর্যায় ঘটেছে। এই বোর্ডের অধীন প্রায় ৪০ হাজার ছাত্র/ছাত্রী যার এস এস সি তে জিপিএ ৫ পেয়েছিল, এই সব মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের এবার এইচ এস সি তে ফল বিপর্যায় ঘটেছে। নিয়ম অনুযায়ী তারা ৪০,৮২০ জন ফল পূণঃনিরিক্ষনের জন্য বিষয় প্রতি ১৫০/= হারে ফি জমা দিয়ে আবেদন করে। এই হিসাবে যদি ১ জন ছাত্র/ছাত্রী একটি বিষয় চ্যালেঞ্জ করে তাহলে টাকার অংক দাড়ায় ১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। কিন্তু অনেক ছাত্র/ ছাত্রী একাধিক বিষয়ে অর্থ জমা দিয়েছে। সেই অনুপাতে কয়েক কোটি টাকা বোর্ডের কোষাগারে জমা হয়েছে। এই বিপুল পরিমান অর্থের বিপরীতে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী মাত্র ২৪৪ জন ছাত্র/ছাত্রীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। আর বাকীদের মোবাইলে কমন মেসেজ দিয়েছে যে, আপনার ফল অপরিবর্তত।

এই ৪০ হাজার মেধাবী ছাত্র/ছাত্রী যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও তাদের সাংবিধানিক অধিকার আছে উন্নত শিক্ষা গ্রহনের। তাদেরকে এই ফল বিপর্যয়ের মাধ্যমে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি হওয়ার জন্য ভর্তি পরিক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ছাত্র/ছাত্রীদের জীবন ধ্বংশ করারএই দায়-দায়িত্ব থেকে যশোর বোর্ড এড়িয়ে যেতে পারেন না।

একারনেই একজন সচেতন নাগরীক হিসেবে কিছু প্রশ্ন এসে যায়, ১। এই বিপুল সংখ্যক ছাত্র/ছাত্রী যারা খাতার চ্যালেঞ্জ করার জন্য আবেদন করেছে, আসলেই কি তাদের খাতা পরিক্ষীত হয়েছে? আর এর পদ্ধতিই বা কি? ২। নাকি খাতা মূল্যায়নের নামে ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে? ৩। না কি কয়েক কোটি টাকা অর্থ বানিজ্যের উদ্দেশ্যেই যশোর বোর্ড ইচ্ছাকৃতভাবে এই ফল বিপর্যয় ঘটিয়েছে? ৪। ৪১ হাজার আবেদনের বিপরীতে ২৪৪ জনের ফল পরিবর্তন, এ কোন প্রহসন?

এমতাবস্থায় যশোর বোর্ডের শিক্ষা ব্যবস্থায় এই প্রশ্ন পদক আচারন ও মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের জীবন নিয়ে খেলা করার পিছনে আসলে কি উদ্দেশ্য লুকায়িত আছে তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী মহাদয়ের এ বিষয়ে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, খুলনা।
মোবা: ০১৭১১-২৮০৮১৪

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *