Connect with us

বিনোদন

যুদ্ধ নিয়ে হলিউডে সাড়া জাগানো কিছু ছবির কথা

Avatar photo

Published

on

ছবি: অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট চলচিত্র

অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট

বিনোদন ডেস্ক:

অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট
উপন্যাসটি লিখেছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ফেরত জার্মান সেনা এরিক মারিয়া রেমার্ক। ১৯৩০ সালে লুইস মাইলস্টোন একই নামে তৈরি করেন মার্কিন ছবিটি। কাহিনি আবর্তিত হয় বিশ্বযুদ্ধ ফেরত এক তরুণ জার্মান সেনার বয়ানে। যুদ্ধে কী ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাকে, সেগুলোই সে বলছিল জার্মান স্কুলপড়ুয়া শিশুদের। যুদ্ধে মৃত ও পঙ্গু যোদ্ধাদের কষ্টের কথা জানতে পারে তারা। তাদের কাছে যুদ্ধের নিরর্থকতা পরিষ্কার হতে থাকে।

ছবি: হোটেল রুয়ান্ডা চলচিত্র

হোটেল রুয়ান্ডা

হোটেল রুয়ান্ডা
২০০৪ সালে রুয়ান্ডার গণহত্যা নিয়ে টেরি জর্জের ছবিটি মুক্তি পায়। হুতু ও তুতসি সম্প্রদায়ের উত্তেজনা গৃহযুদ্ধে পরিণত হওয়া ঘিরে ছবির কাহিনি আবর্তিত হয়। জাতিবিদ্বেষ ও গণমাধ্যমের প্রচারণায় হুতুরা নির্বিচারে তুতসিদের হত্যা করছিল। এর মধ্যে একজন হুতু, যার স্ত্রী একজন তুতসি, কীভাবে মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সে গল্পই দেখা যায় ছবিতে।

ছবি: দ্য ব্যাটল অব আলজিয়ার্স চলচিত্র

দ্য ব্যাটল অব আলজিয়ার্স

দ্য ব্যাটল অব আলজিয়ার্স
ঐতিহাসিক এ ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৬৬ সালে। আলজেরিয়া স্বাধীনতার জন্য ফ্রান্সের বিরুদ্ধে প্রায় সাত বছর যে যুদ্ধ করেছিল, কাহিনির প্রেক্ষাপট সেখানে। ছবিতে দেখানো হয় ফরাসি সৈনিকদের নিপীড়ন ও আলজেরীয় যোদ্ধাদের প্রতিরোধ। আলজেরিয়ার সরকারের সহযোগিতায় ছবিটি পরিচালনা করেন ইতালীয় নির্মাতা জিলো পন্তেকরভো।

দ্য ক্রেনস আর ফ্লায়িং
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে মর্মস্পর্শী এ ছবি মুক্তি পায় ১৯৫৭ সালে। এটিই একমাত্র সোভিয়েত ছবি, যেটি কান উৎসবে পাম ডি’অর জিতে নিয়েছিল।

ছবি: দ্য ক্রেনস আর ফ্লায়িং চলচিত্র

দ্য ক্রেনস আর ফ্লায়িং

মিখাইল কালাটোজোভের এ ছবিটি দেখায়, বিশ্বযুদ্ধ রুশ জনগণের মনস্তত্ত্বে কী প্রভাব ফেলেছিল। দুদিন আগেও ভেরোনিকা ও বোরিস তাদের নতুন জীবনের রঙিন স্বপ্ন দেখছিল। মস্কোর রাস্তায় এক সকালে যখন তারা হাঁটছিল, দূর থেকে হঠাৎ আকাশে দেখা গেল ক্রেন। তখনো তারা জানে না, মস্কোয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। ভেরোনিকাকে না জানিয়েই বোরিসকে চলে যেতে হয় যুদ্ধে।

ছবি: অ্যাপোকেলিপস নাউ চলচিত্র

অ্যাপোকেলিপস নাউ

অ্যাপোকেলিপস নাউ
১৯৭৯ সালে মুক্তি পায় ভিয়েতনাম যুদ্ধের গল্প নিয়ে ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার এ ছবি। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার নামে কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল ভিয়েতনামিদের ওপর, তার একটি চিত্র পাওয়া যায়। এ ছবি তৈরির সময় কপোলাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। যেমন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র মার্লন ব্র্যান্ডোর অতি ওজন নিয়ে সেটে হাজির হওয়া, খারাপ আবহাওয়ায় দামি সেট নষ্ট হয়ে যাওয়া, প্রধান চরিত্র মার্টিন শিনের হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়া। ছবি তৈরির এসব অভিজ্ঞতা নিয়ে ১৯৯১ সালে মুক্তি পায় প্রামাণ্যচিত্র হার্টস অব ডার্কনেস: আ ফিল্মমেকার’স অ্যাপোকেলিপস

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ঢালিউড

আরাফ খানের প্রযোজনায় জুটি বাঁধলেন নায়ক রোমান খান ও বলিউড কুইন রাখি সাওয়ান্ত

Avatar photo

Published

on

দুবাইয়ের স্বনামধন্য স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাফ খানের প্রযোজনায় আরও একটি বাংলাদেশী সিনেমায় অভিনয় করবেন বলিউড কুইন রাখি সাওয়ান্ত।

বিগ বস নামের এই সিনেমায় বলিউড কুইনের সাথে নায়ক হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের গাজীপুরের সন্তান রোমান খান। রাখি সাওয়ান্ত ও রোমান খান ছাড়াও সিনেমাটিতে দেখা যাবে ঢালিউড ও বলিউডের অনেক পরিচিত মুখ।

জানা গেছে, পুরো সিনেমটির দৃশ্য ধারণ দুবাইয়ের বিভিন্ন স্পটে। ইতোমধ্যে সিনেমাটির জন্য রাখি সাওয়ান্ত ও রোমান খানের সাথে প্রযোজক আরাফ খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

এর আগে আরাফ খানের প্রযোজনায় আরও একটি সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন বলিউড কুইন রাখি সাওয়ান্ত। যেটিতে নায়ক হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের পরিচিত ও আলোচিত ইউটিউবার হিরো আলম। বিগ বস আরাফ খানের প্রযোজনার দ্বিতীয় ছবি।

Continue Reading

বিনোদন

‘বেকায়দায় পড়ে’ ক্ষমা চাইলেন রাশমিকা!

Avatar photo

Published

on

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা রাশমিকা মান্দানা। ক্যারিয়ারে বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। ধীরে ধীরে বলিউডে নিজের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করছেন তিনি।

‘গুডবাই’ সিনেমার পর আবার বলিউডে নতুন ছবি আসছে এই নায়িকার। ছবির নার ‘মিশন মজনু’। যদিও ছবিটি ওটিটি মঞ্চে মুক্তি পাবে। সোমবার ছিল এ ছবির বিশেষ স্ক্রিনিং। সেখানেই ক্ষমা চাইতে দেখা গেল রাশমিকাকে; কিন্তু কী কারণে তিনি ক্ষমা চাইলেন?

আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘মিশন মজনু’ ছবিতে সিদ্ধার্থ মালহোত্রের বিপরীতে দেখা যাবে দক্ষিণী নায়িকা রাশমিকাকে। এরপর তাকে দেখা যাবে রণবীর কাপুরের বিপরীতে ‘অ্যানিমাল’ ছবিতে।

দিন দিন রাশমিকার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, গত সোমবারের ঘটনায় তার প্রমাণ মিলল। ‘মিশন মজনু’ ছবিটি দেখতে আসেন এই নায়িকা। আলোকচিত্রীদের দেখামাত্র নিজস্ব ভঙ্গিতে ছবিও তুলতে দেন অভিনেত্রী।

এরপর ভক্তরা তাকে দেখতে পেয়েই দৌড়ে আসেন তার দিকে। রাশমিকা তড়িঘড়ি গাড়িতে উঠে পড়েন; কিন্তু তার ভক্তরা নাছোড়বান্দা। ছবি না তুলে যাবেন না। শেষমেশ নিরাপত্তার কারণেই গাড়ি নিয়ে চোখের পলকে বেরিয়ে যান তিনি। চলে যাওয়ার সময় হাতজোড় করে ক্ষমাও চেয়ে নেন ভক্তদের কাছে।

Continue Reading

বলিউড

আবারও নতুন পরিচয়ে সিবা আলী

Avatar photo

Published

on

শোবিজের রঙিন সড়কে সিবা আলী খান পা ফেলেছিলেন মডেল হিসেবে। র‌্যাম্পে নিয়মিত কাজের পর সুযোগ আসে অভিনয়ে। সিনেমা এবং নাটকে অভিনয় করে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেন। তবে আলোচনায় আসেন ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘স্টোরি অব সামারা’ সিনেমার মাধ্যমে।

এরপর বহুল আলোচিত ‘অপারেশন অগ্নিপথ’-এ শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করে নায়িকা হিসেবে পরিচিতি পান সিবা। যদিও সেই ছবিটি মুক্তির আলোয় আসেনি। অভিনয়ের অসামান্য ইচ্ছে বুকে পুষে রাখলেও নানা কারণে সে পথ দীর্ঘ হয়নি। পড়াশোনার জন্য সিবা পাড়ি জমান বিদেশে। এরপর দেশে ফিরে পড়েন মহামারিজনিত বিরতিতে। ওই বিরতি কাটিয়ে ক্যামেরার সামনে ফিরেছেন বটে। কিন্তু নিয়মিত হননি। এই ফাঁকে সিবা আলী খান নজর দিলেন নির্মাণে।

হ্যাঁ, ক্যামেরার সামনে থেকে সোজা পেছনে। নিজের গল্পণ্ডচিত্রনাট্যে চারটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ইতোমধ্যে বানিয়ে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা বানানোর ইচ্ছেও আছে তার মনে।

এদিকে আসন্ন একুশে বইমেলা উপলক্ষে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন সিবা আলী খান। প্রকাশ হচ্ছে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘আত্মা’। সাতটি অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক গল্পে বইটি সাজিয়েছেন তিনি। এটি প্রকাশ করছে অন্বেষা প্রকাশন।

অভিনয় থেকে নির্মাণ ও লেখালেখিতে আসার প্রেক্ষাপট জানিয়ে সিবা আলী খান বলেন, ‘আসলে ফিল্মমেকিং নিয়ে অনেক আগে থেকেই আমার আগ্রহ ছিলো। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণও নিয়েছি। গত বছর চারটা শর্টফিল্ম বানিয়েছি। এগুলোর গল্পণ্ডচিত্রনাট্য আমারই। তো গল্প নিয়ে এই চর্চা করতে গিয়েই মূলত লেখালেখিতে আসা। কিছু গল্প সিনেমার জন্য লিখেছিলাম, কিন্তু পরে আর বানানো হয়নি। সেগুলোকে সাজিয়েই বই করেছি।’

সিবা আলী খান নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাগুলো হলো ‘হাঙ্গার’, ‘জলিল’, ‘ফ্রিডম’ ও ‘নীতু’। এগুলো নিয়ে তার পরিকল্পনা বিস্তৃত। প্রথমে বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে পাঠাবেন, এরপর মুক্তি দেবেন অন্তর্জালে। অভিনয় ছেড়ে সিবার মনোযোগ তাহলে নির্মাণ আর লেখা ঘিরেই? এমন প্রশ্নের বিপরীতে তার জবাব, ‘হ্যাঁ, ফিল্মমেকিংয়ে পূর্ণ মনোযোগ দিতে চাই। এর পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যেতে চাই। আর অভিনয়ও যে করবো না, তা নয়। পছন্দসই ভালো প্রজেক্ট পেলে ক্যামেরার সামনেও কাজ করবো।’

এদিকে সিবা আলী খান অভিনীত দুটি সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। এগুলো হলো অনিরুদ্ধ রাসেল পরিচালিত ‘এনকাউন্টার’ ও ‘জামদানি’।

Continue Reading