Connect with us

Highlights

রংপুরে চার নারী পত্রিকা বিক্রেতাকে হেনস্থা, থানায় অভিযোগ

Published

on

রংপুরে দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকা বিক্রয়কালে চার নারীকে পথরোধ করে হেনস্থা ও পত্রিকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে মহানগরীর ১৩নং ওয়ার্ডের বদরগঞ্জ রোডস্থ সুলতান মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পত্রিকাটির জেলা সার্কুলেশন ম্যানেজার মনিরুজ্জামান বাদি হয়ে রংপুর মহানগর কোতয়ালী থানায় দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহানগর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই সরোয়ার হোসেন‌।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে পত্রিকাটির চার নারী বিক্রয়কর্মী আদুরী বেগম, মনোয়ারা বেগম, আশামনি ও মনিকা আক্তার মহানগরীর ১৩নং ওয়ার্ডের বদরগঞ্জ রোডস্থ সুলতান মোড় নামক স্থানে পত্রিকা বিক্রয়কালে পীরজাবাদ হামিউছসুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আব্দুল্লাহ, ড্রাইভার মন্টু মিয়াসহ উগ্রবাদী প্রকৃতির আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন পথরোধ করে ওই বিক্রেতাদের হাত থেকে পত্রিকা ছিনিয়ে নেয়।

এসময় ওই চার নারী বিক্রেতা প্রতিবাদ করলে এবং তাদের মধ্যে একজন মোবাইল ফোনে পত্রিকা ছিনিয়ে নেয়ার ভিডিও ধারণ করতে ধরলে বাধাদানকারীরা ওই নারীর হাতে থাকা মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় তাদেরকে শারিরিকভাবে হেনস্থা করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরে নিরূপায় পত্রিকা বিক্রেতারা আর্তচিৎকার করলে পাশে থাকা কয়েকজন লোক সাহায্যের জন্য দৌড়ে আসলে থাকলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। এসময় ওই এলাকায় পত্রিকা বিক্রি করলে জানে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা।

থানায় অভিযোগকারী দৈনিক দেশেরপত্রের জেলা সার্কুলেশন ম্যানেজার মনিরুজ্জামান বাবু জানান, দৈনিক দেশেরপত্র একটি জাতীয় দৈনিক। এই পত্রিকার মাধ্যমে দেশব্যাপী সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অপ-রাজনীতি, মাদক, ধর্মব্যবসা, ধর্মীয় উগ্রবাদ আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে গণসচেতনতা সৃষ্টির প্রচেষ্টায় কিছু ধর্মীয় প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়। যারা অন্যায়ভাবে বে-আইনী উপায়ে আমার পত্রিকা বিক্রয়কারী নারী হকারদেরকে হেনস্থা করেছে এবং পত্রিকা ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

এদিকে অভিযুক্ত পীরজাবাদ হামিউছসুন্নাহ মাদ্রাসার ওই শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মহানগর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই সরেয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *